Thank you for trying Sticky AMP!!

হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা ৪ ফেব্রুয়ারি  

জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বিএনপি মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার একদলীয় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব বললেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল তাঁর। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।’

Also Read: বুকের পাটা থাকলে গণভোট দিন, জনগণ বাটপারি প্রমাণ করে দেবে: হিরো আলম

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিকেলে কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে এ সমাবেশ হয়।

আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হয় গত বুধবার। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। বগুড়া–৬ আসনে তেমন সুবিধা না করতে পারলেও বগুড়া–৪–এ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

Also Read: নির্বাচিত হলে কি যোগ্য এমপি হতেন হিরো আলম?

ওই আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান হিরো আলম। একতারা প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পাওয়া হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এমন কিছুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  

শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, পাকিস্তান আমল তো ভালো, এখন পাকিস্তানের কী অবস্থা? বাংলাদেশের ৬ মাস আমদানি করার রিজার্ভ আছে। পাকিস্তানে ৩ সপ্তাহের রিজার্ভও নেই। আজকে ক্ষুধায় সমস্ত পাকিস্তান কাঁপছে। সেই পাকিস্তান আপনার ভালো লাগে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আপনারা যদি ক্ষমতায় যান বাংলাদেশ আজকের পাকিস্তান হবে। ফখরুল সাহেবরা বাংলাদেশকে পেয়ারের পাকিস্তান বানাবে, আমরা সেটা হতে দেব না।’

Also Read: হিরো আলম বনাম ‘এলিট’ সমাজ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।