
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যে কলম দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, সেটি স্মৃতি হিসেবে অনেকেই রাখতে চেয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, কিছু কলম জাতীয় জাদুঘরে থাকবে। আর যাঁরা দলের পক্ষ থেকে সনদে স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা যদি এই ঐতিহাসিক কলম তাঁদের কাছে রাখতে চান—তাঁদের স্মৃতি হিসেবে, দলের স্মৃতি হিসেবে—সেটাও কমিশন বিবেচনা করেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা কলম জাদুঘরে রাখা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জুলাই সনদে গণফোরামের স্বাক্ষর শেষে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, এটি এক ঐতিহাসিক কলম। সবাই যেন দেখতে পান যে এর মধ্য দিয়ে একটা ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এটা যেন সবার স্মরণে থাকে, বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন কমিশন।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার জন্য গণফোরামকে ধন্যবাদ জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। গণফোরামের পক্ষে সনদে স্বাক্ষর করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিলা গণফোরামের আহ্বায়ক সাগরিকা ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হাসান।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। এতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল-জোট সই করে। গণফোরাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সই করেনি সনদে।
এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠানে যায়নি, সনদে সইও করেনি। চারটি বাম দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জুলাই সনদে সই করেনি।