
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতায় এলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। এর আগে তাঁর দলের মহাসচিবের দায়িত্ব ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন রেদোয়ান আহমেদ। তিনি কুমিল্লা–৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হচ্ছেন।
অলি আহমদ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সে ঘোষণা এখনো দেওয়া হয়নি। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদের এলডিপি ও জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে নির্বাচনে আসন সমঝোতা হওয়ার ঘোষণা দেন।
এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ‘বীর বিক্রম’ খেতাব পান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে সাবসেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে আসা অলি আহমদ ১৯৮০ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। বিএনপির ১৯৯১–৯৬ মেয়াদের সরকারে যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন তিনি। বিএনপি ছেড়ে ২০০৬ সালে এলডিপি প্রতিষ্ঠা করেন অলি আহমদ।
গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে জামায়াতের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)—এই ছয় দল আসন সমঝোতার ভিত্তিতে সব আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার আলোচনা শুরু করে। পরে এতে যোগ দেয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। জামায়াতসহ এই আট দল বিভিন্ন দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে টানা অনেক দিন মাঠে ছিল।
আজ প্রেসক্লাবে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, আট দল একসঙ্গে ছিল। আর দুটি দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। সেগুলো হলো এনসিপি ও কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।
সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদও উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে তিনি কোনো কথা বলেননি।