
বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এককভাবে নির্বাচন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজার এলডিপির কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
অলি আহমদ বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এলডিপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করবে। দলের যেসব প্রার্থী নির্বাচন করতে ইচ্ছুক, তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। এলডিপি এককভাবে মাঠে থেকে নির্বাচন করবে।’
এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বলেন, ‘যখন বিএনপির বিপদের দিন ছিল, তখন সবাই আমার বাসায় দৌড়ে আসত। সবাই টেলিফোন করত, কিন্তু এখন কোনো বিএনপি নেতার সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়নি। সামনাসামনি হয়তো অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের কাছে আমি শর্টলিস্ট দিলাম, তারা অন্তত একটা টেলিফোন করে বলতে পারত যে আপনাদের প্রতিনিধি পাঠান আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা ১৪টা, ১২টা আসন দিতে হবে বলছি না, অন্তত ৮ থেকে ৯টা আসন দিলে আমাদের দলটা টিকে যেত, কিন্তু মাত্র ১টা আসন দিয়েছে।’
এভাবে অবমূল্যায়ন করা হবে, কল্পনাও করেননি উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে গতকাল আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে চার ঘণ্টার আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে দলের মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ প্রস্তাব রাখেন এলডিপি এককভাবে নির্বাচন করবে। কোনো জোটের সঙ্গে থাকবে না। তখন সবাই একমত হয়ে দস্তখত করেছেন। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, ‘মনোনয়ন নিয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ আলাপ করে নাই। আমি নিজে তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাহউদ্দিন আহমদের কাছে দলের মনোনয়নের লিস্ট পাঠিয়েছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। তাই আমাদের সামনে আর কোনো রাস্তা খোলা ছিল না। আমরা এককভাবে নির্বাচন করব।’
‘আমরা এলডিপিকে বিলুপ্ত করতে চাই না’ উল্লেখ করে দলটির সভাপতি অলি আহমদ বলেন, এলডিপির জন্ম হয়েছিল সুশাসন, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, চাঁদাবাজ মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। দলটি সেই জায়গাতেই আছে।
এদিকে এলডিপি থেকে দলটির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ পদত্যাগ করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
পরে দলটির মহাসচিবের পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, ‘পদত্যাগপত্র আমার কাছে আসে নাই। সুতরাং আমি এটা বলতে পারব না।’