Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি, সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন দাবি করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, বন্দী অবস্থায় এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। গতকাল রাতে (বুধবার) তিনি এত অসুস্থ হয়েছিলেন যে চিকিৎসকেরা সবাই বলছিলেন আর বোধ হয় বেশি সময় পাওয়া যাবে না। আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া যে তাঁকে তাঁরা (চিকিৎসকেরা) আপাতত চিকিৎসা দিয়ে সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বুধবার রাতে গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাতেই ওই বাসায় চিকিৎসকেরা গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন এবং পর্যবেক্ষণে রাখেন। রাতেই তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়।

এর আগে বুধবার বিকেলে খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হয়েছে জানিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। পরে চিকিৎসকেরা গুলশানের ওই বাসায় কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেন। শেষে হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা বদলানো হয়।

১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে হাসপাতালে ভর্তির এক দিন পরেই তিনি বাসায় ফিরেছিলেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তির পর এখন পর্যন্ত তাঁকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড গত অক্টোবরে জানায়, খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন করা জরুরি। তবে তাঁকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই বিদেশ থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ঢাকায় এনে খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা করা হয়।

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলা হয়। তাঁর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।