হজযাত্রীরা ৪০ থেকে ৫০ দিন সৌদি আরবে অবস্থান করেন। এর মধ্যে জিলহজ মাসের ৭ থেকে ১২ তারিখ হজের আনুষ্ঠানিকতায় পূর্ণ থাকে। আর আছে মদিনায় মসজিদে নববিতে আট দিন ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। বাকি দিনগুলো ইবাদত-বন্দেগি আর স্বাভাবিক জীবনযাপনে কাটে হজ পালনকারীদের। হজ পালন করতে গিয়ে মক্কা–মদিনায় সাধ্যমতো ইবাদত করা ভালো। একজন হজযাত্রীর রুটিন কেমন হতে পারে। এই লেখায় একটা ধারণা দেওয়া হলো। স্থান, কাল, পাত্রভেদে সুবিধামতো আমলগুলো করার চেষ্টা করবেন। সব নামাজ মক্কায় থাকলে মসজিদুল হারামে আর মদিনায় অবস্থান করলে মসজিদে নববিতে জামাতে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা। এ ছাড়া ইশরাক, চাশ্ত, আউয়াবিন, তাহাজ্জুদ নামাজ এবং প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে তাওয়াফ করা, জমজমের পানি খাওয়া এবং ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে যেতে পারেন। এই অভিজ্ঞতাগুলো লিখেও রাখতে পারেন।
ভোররাত: তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়। মক্কা-মদিনায় জামাতে ফজরের নামাজ
আদায় করা। তাওয়াফ করা, জমজম পানি পান, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা।
প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে তাওয়াফ করা, জমজমের পানি খাওয়া এবং ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে যেতে পারেন। এই অভিজ্ঞতাগুলো লিখেও রাখতে পারেন।
সকাল: জমজমের পানি পান, সকালের নাশতা খাওয়া, ঐতিহাসিক স্থানে বেড়ানো, ব্যক্তিগত কাজ বা বিশ্রাম।
দুপুর: জামাতে জোহরের নামাজ আদায়। জমজমের পানি পান, দুপুরের খাবার খাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া।
বিকেল: জমজমের পানি পান, মক্কা-মদিনায় জামাতে আসরের নামাজ আদায়।
সন্ধ্যা: জামাতে মাগরিবের নামাজ আদায় করা। তাওয়াফ করা, জমজমের পানি পান, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা, আল্লাহর জিকির করা।
রাত: মক্কা-মদিনায় জামাতে এশার নামাজ আদায়। তাওয়াফ করা। জমজমের পানি পান, নফল নামাজ আদায়, বিতরের নামাজ আদায় করা। রাতের খাবার খাওয়া। রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি। আল্লাহর জিকির করা।