
১৯৯৪ সালের রোমারিও আর ২০১৪ সালের অস্কার। দুজনেই ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশনে অংশ নিয়েছেন ১১ নম্বর জার্সি গায়ে। ১৯৯৪ সালে রোমারিওর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। অস্কারও এবার তেমন কিছু করতে পারবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে উদ্বোধনী ম্যাচে দারুণ একটা গোল করে রোমারিওর স্মৃতি সত্যিই ফিরিয়ে এনেছেন অস্কার।
১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পায়ের ডগা দিয়ে দারুণ একটি গোল করেছিলেন রোমারিও। ফুটবলের ভাষায় যেটাকে বলা হয় ‘টো-পোক’ গোল। অস্কারকে রোমারিও কায়দায় গোল করতে দেখে সাংবাদিকেরা তো ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন। এটা কি রোমারিওরই অনুপ্রেরণা, নাকি এমনিতেই হয়ে গেছে? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে অস্কারের জবাব, ‘হ্যাঁ, ওটা সত্যিই টো-পোক ছিল। রোমারিও স্টাইল! আমাদের দলের অনেকেই ফুটসাল খেলে। ফুটসাল খেললে পায়ের ডগা দিয়ে শট নেওয়া শিখে ফেলা যায়।। সেই সময়ে আমার সামনে এই একটা পথই খোলা ছিল।’
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি গোল করে বেশি আলো কেড়েছেন নেইমার। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের মিশনে অস্কার যে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ, সেটা ভালোভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। আজ মেক্সিকোর বিপক্ষেও কি একই মেজাজে পাওয়া যাবে অস্কারকে?