Thank you for trying Sticky AMP!!

গোল্ড কোস্টের রাগবি তারকা কেভিন প্রক্টর

ম্যাচের সময় ‘ভেপ’ নিয়ে নিষিদ্ধ রাগবি তারকা

ওদিকে মাঠে হারছে দল। আর এদিকে টয়লেটে বসে ধূমপান করছেন তিনি! সেটি আবার নিজেই ভিডিও করে পোস্টও করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ফল—দল থেকে নিষিদ্ধ।

এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল রাগবি লিগের (এনআরএল) দল গোল্ডকোস্ট টাইটানসের কেভিন প্রক্টর। গতকাল ক্যান্টারবুরি-ব্যাংকসটাউন বুলডগসের বিপক্ষে ম্যাচে এমন কাণ্ডের জন্য বড় শাস্তিও পেলেন তিনি।

Also Read: হ্যামিল্টনের ৩০০তম গ্রাঁ প্রিঁ–তে ভেরস্টাপেনের হাসি

গতকাল ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়ামে এনআরএলের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ক্যান্টারবেরির কাছে ৩৬-২৬ পয়েন্টে হেরেছে গোল্ড কোস্ট। সে ম্যাচে না খেললেও দলের সঙ্গে ছিলেন প্রক্টর। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ‘ভেপ’ নিতে দেখা যায় তাঁকে। দেখে মনে হয়েছে, টয়লেটে বসে আছেন তিনি। ওই সময় ২৬-১০ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল প্রক্টরের দল গোল্ড কোস্ট।

৩৩ বছর বয়সী প্রক্টর ক্যাপশনে লেখেন, ‘হাফ টাইমের ভেপ নয়’। সাত সেকেন্ডের ওই ভিডিও অবশ্য পরে মুছে ফেলেন প্রক্টর। তবে এর আগেই ছড়িয়ে পড়ে সেটি। অস্ট্রেলিয়ার স্টেডিয়ামগুলোতে ভেপ নেওয়া নিষিদ্ধ। আবার ম্যাচের সময় খেলোয়াড়দের কাছে ফোন রাখারও নিয়ম নেই। সেদিক থেকে দুটি নিয়মই ভেঙেছেন প্রক্টর।

ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে প্রক্টর

আজ এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের এই খেলোয়াড়কে শাস্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে গোল্ড কোস্ট। জানা গেছে, প্রায় ১৫ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গতকাল বুলডগসের বিপক্ষে ১৯তম রাউন্ডের ম্যাচের ঘটনা জানার পর কেভিন প্রক্টরকে শাস্তি দিয়েছে দ্য গোল্ড কোস্ট টাইটানস। এ বছরের বাকি সময়ের জন্য দলের দায়িত্ব থেকে প্রক্টরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি দলের সঙ্গে খেলা বা অনুশীলনে ফিরবেন না। তাঁর কর্মকাণ্ড এনআরএল এবং স্টেডিয়ামের নিয়মের লঙ্ঘন।’

২০১২ সালে মেলবোর্ন স্টোর্মের হয়ে প্রিমিয়ারশিপ জিতেছিলেন প্রক্টর। ২০১৭ সাল থেকে টাইটানসের হয়ে খেলছেন সেকেন্ড-রো ফরোয়ার্ড প্রক্টর। সে সময় বেশ বড় নামই ছিলেন। গত বছরের আগপর্যন্ত দলের সহ-অধিনায়কও ছিলেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলা প্রক্টর।

Also Read: এবার আসছে শোয়েব আখতারের জীবন নিয়ে সিনেমা

অবশ্য এ ঘটনার আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে শন জনসন নামের আরেক খেলোয়াড়কে কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অবশ্য পরে তিনি ও জনসন দুজনই বলেছিলেন, ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ছিল।

এমনিতেও এ বছরই টাইটানসের সঙ্গে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা প্রক্টরের চুক্তি। নবম রাউন্ডের পর থেকে এ মৌসুমে কোনো ম্যাচ খেলেননি তিনি, টাইটানসও বছরের শেষে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার কথা নয় তাঁকে। ফলে এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেতে পারে তাঁর।