টপ অর্ডার, টপ অর্ডার—কয়েক দিন আগেও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় আলোচিত বিষয় ছিল এটি। টপ অর্ডারে ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে প্রশ্ন আসছিল, আদতে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা ধরতে পারছে কি না। সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে এখন অনেক বড় স্বস্তির বাতাস বইছে সেখানেই। ওপেনার লিটন দাসের কাছে অবশ্য এমন পরিবর্তনের পেছনের কারণটা সোজাসাপ্টা—‘পার্টনার বদলে গেছে, হয়ে গেছে’!
২০২১ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলেছে ১৮টি ভিন্ন ওপেনিং জুটি। এর মধ্যে ৭টিতেই ছিলেন লিটন। সর্বোচ্চ ১৩ বার মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে খেলেছেন লিটন। তবে এ সময়ে এরই মধ্যে ৫ ইনিংসেই সর্বোচ্চ রান তুলে ফেলেছেন লিটন ও রনি তালুকদারের জুটি।
Also Read: আশরাফুলের রেকর্ড এখন লিটনের
লিটন ও রনির জুটিতে ৩১৯ রান এসেছে ৬৮ গড়ে—ওভারপ্রতি তাঁরা তুলেছেন ১০.৬৩ হারে রান! অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রান এসেছিল লিটন ও নাঈমের জুটিতে, সে সময় ওভারপ্রতি এসেছিল ৫.৯০ হারে রান।
লিটন-রনি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ৯০-পেরোনো জুটি গড়লেন, প্রথম ম্যাচে ৯১ রানের পর আজ তাঁরা যোগ করেন ১২৪ রান। ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটিটিও এখন এটিই। কীভাবে ওপেনিংয়ে এই পরিবর্তন এল—এমন প্রশ্নের জবাবে আজ সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, ‘(ওপেনিং) পার্টনার বদলে গেছে, (পারফরম্যান্সেও পরিবর্তন) হয়ে গেছে।’
এর আগে ওপেনিং জুটি সেভাবে ভালো করছিল না, এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য একটু মেজাজই হারালেন লিটন, ‘আরেকটা জিনিস হচ্ছে, আপনারা যেকোনো প্রশ্ন যখন করেন, পেছনের কথা কেন টানেন? নতুন যে জিনিসটা হচ্ছে, সেটা কি ভালো লাগছে না? দুই বছর, এক বছর—দরকারই নাই। এখন ভালো খেলছি, দেখি কত দূর যাই।’
অবশ্য রনিকে নিয়ে এর চেয়ে ভালো শুরু আর হতে পারত না, লিটন মনে করেন সেটিও, ‘যেই শুরু আমরা দিয়েছি, আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে এটাই সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বড় কিছু তো আর হতে পারে না। এখন টানা প্রতিটি ম্যাচেই আপনি এই সাফল্য পাবেন না যে যাব আর দুজনই হিট করা শুরু করব। এমন সময় আসবে যে ভুগতে হবে। তবে তার সঙ্গে ব্যাটিং করে অনেক মজা পাচ্ছি।’
আগের ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ রানে নিজেদের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। আজ বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৫ ওভারেই উঠেছে ৭১ রান। পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত রান তুলতে একসময় ভুগলেও সেটা নিয়ে বাড়তি কিছু করেননি বলেই জানিয়েছেন লিটন, ‘না, এমন কিছু ছিল না। ব্যাটিংয়ে নামলে এক–দুইটা বল খেললে একটা অনুভূতি হয়। দুজনেরই সে অনুভূতিটা ভালো ছিল অনেক। আমরা মারতে পারব। সে সুযোগটাই নিয়েছি আমরা।’
Also Read: টি–টোয়েন্টিতে আবারও সর্বোচ্চ উইকেট সাকিবের