বল নিয়ে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার সঙ্গে কথা বলেন ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল।
বল নিয়ে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার সঙ্গে কথা বলেন ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল।

শরফুদ্দৌলার সঙ্গে কী নিয়ে তর্ক করলেন ভারত অধিনায়ক

লর্ডসে ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। বল পরিবর্তন নিয়ে তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল।

লর্ডসে ভারত–ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। দ্বিতীয় দিনের সকালে আজ তাঁর সঙ্গে ভারত অধিনায়ক শুবমান গিলকে তর্ক করতে দেখা গেছে। সচরাচর গিলকে ঠান্ডা মাথায় দেখা গেলেও এ ঘটনার সময় তিনি ছিলেন বেশ উত্তেজিত।

ঘটনাটি ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৯১তম ওভারের (গতকাল হয়েছে ৮৩ ওভার)। ওই সময় ভারতের অনুরোধে মাঠের দুই আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ও পল রাইফেল বল পরিবর্তনের জন্য রিজার্ভ আম্পায়ারকে ডেকে পাঠান।

নিয়ম অনুযায়ী, টেস্টে প্রতি ৮০ ওভার পর ফিল্ডিং দলের অধিনায়ক নতুন বল নিতে পারেন। গিল তা গতকালই নিয়েছেন। তবে আজ দিনের খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর ভারত জানায়, বলের আকৃতি যেমন থাকার কথা তেমন নেই। আম্পায়াররাও সেটি আমলে নিয়ে বল পরিবর্তনের আবেদন অনুমোদন করেন।

নিয়ম হচ্ছে, মাঝপথে বল পরিবর্তন করতে হলে সেটি যত ওভার বা যতটুকু ব্যবহার হয়েছে, ততটুকু বা কাছাকাছি ব্যবহৃত হওয়া বল দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। চতুর্থ আম্পায়ারের আনা বল থেকে দুই আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ও রাইফেলও তেমনই একটি বল বাছাই করে গিলের হাতে তুলে দেন।

বলের আকার পরীক্ষা করছেন শরফুদ্দৌলা।

ঝামেলার শুরু এখানেই— আম্পায়ারদের দেওয়া নতুন বল পছন্দ হয়নি ভারত অধিনায়কের। গিল ও বোলার মোহাম্মদ সিরাজের মনে হয়েছে, আম্পায়ারদের বেছে নেওয়া বলটি ব্যবহার হওয়া বলের চেয়ে বেশি পুরোনো। এ নিয়েই শরফুদ্দৌলার সঙ্গে কথা বলেন গিল। তবে সেটা শুধু ‘আপত্তি’তে সীমাবদ্ধ থাকেনি, হাত নাড়িয়ে বেশ অসন্তোষই প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে।

ইএসপিএনক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যে গিলের আচরণের বর্ণনায় লেখা হয়, ‘গিল অখুশি। নিঃসন্দেহে আমি তাকে যতবার দেখেছি, এতটা উত্তেজিত আর কখনো দেখিনি।’

ভারত যে পরিবর্তিত বল নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট, সেটা বোঝা গেছে সিরাজের প্রতিক্রিয়ায়ও। শরফুদ্দৌলা তাঁকে দ্রুত বোলিং মার্কে ফিরে যেতে বললে স্টাম্প মাইকে ভারতীয় পেসারকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা ১০ ওভার পুরোনো বল? সিরিয়াসলি?’

অবশ্য ৯১তম ওভারে পরিবর্তন করা বলটি দিয়ে বেশিক্ষণ খেলা চলেনি। ৪৮ বল পর ভারতের আপত্তি তোলা বলটিও আবার পরিবর্তন করা হয়। মাঝের ৮ ওভারে ইংল্যান্ড ৩১ রান তোলে, হারায়নি কোনো উইকেট। ইংল্যান্ড আজ যে ৬ উইকেট হারিয়েছে, তার তিনটি ওই ৮ ওভারের আগে, তিনটি পরে পড়েছে। ৪ উইকেটে ২৫১ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রানে অলআউট হয়েছে।