Thank you for trying Sticky AMP!!

অধিনায়ক তামিমকে ভালো লাগে ইমরুলের

বিপিএলে ভালো কিছুর আশায় ইমরুল। ছবি: প্রথম আলো
>তামিমের অধীনে খেলতে ইমরুলের অনেক ভালো লাগে। অধিনায়ক যে তাঁকে বোলিং করতে দেন।

ইমরুল কায়েসকে কখনো বোলিং করতে দেখেছেন? মনে করাটা একটু কঠিনই। অফ স্পিনার হিসেবে টেস্টে বোলিং করেছেন ৪ ওভার। ওয়ানডে কিংবা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কখনোই নয়। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে এক টুর্নামেন্টেই তাঁকে বোলিং করতে দেখে গেছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। সেবার খেলেছিলেন ইউসিবি বিসিবি একাদশে। আর এই দলের অধিনায়ক ছিলেন তামিম ইকবাল।

তামিমের অধিনায়কত্বে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন, সেটি ভীষণ আপ্লুত করে ইমরুলকে। গত বিপিএল থেকে তামিমের অধীনে কুমিল্লায় খেলছেন বাঁহাতি ওপেনার। এবারও খেলছেন। তামিমের অধীনে খেলাটা তিনি ভীষণ উপভোগ করেন, কেন জানেন? অধিনায়ক তাঁকে বোলিং করতে দেন বলে, ‘(তামিমের অধীনে খেলতে) আমি সব সময় উপভোগ করি। এর আগেও ওর অধীনে খেলেছি। ভালো লাগে। বিশেষ করে ও আমাকে বোলিং দেয়।’ নিতান্তই রসিকতা করে বলা।

‘ও আমাকে বোলিং দেয়’ বলতে ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতেই। ৩ ইনিংসে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন, মোট ৫ ওভার করে ৩৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। বোলিংয়ে তাঁর প্রতি দলের খুব একটা প্রত্যাশা নেই। প্রত্যাশা ব্যাটিংয়ে, তিনি খাঁটি ব্যাটসম্যান। দলে, দলের বাইরে ব্যাটিংয়ে তাঁর অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী। চ্যালেঞ্জটা আবারও নিচ্ছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত খেলা ইমরুল, ‘অবশ্যই নিজের সেরাটা দেব।’

এরপর যোগ করলেন, ‘ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আপনি যদি দেখেন বিপিএল থেকে কিন্তু আমাদের অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসছে। প্রতি বিপিএলেই আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা সেরা পাঁচে থাকে। এটি অবশ্যই আমাদের ক্রিকেটের জন্য একটি ভালো দিক। আশা করি, এ বছরও সেরা পাঁচে থাকবে আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা। আর এত বড় বড় ক্রিকেটারের সঙ্গে খেললে এবং ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়।’

হয় না, হয় না কুমিল্লা দলটা শেষ পর্যন্ত তারকা ঠাসা হয়েছে। তামিম, স্টিভ স্মিথ, ইমরুল, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার, এনামুল হক (বিজয়), শহীদ আফ্রিদি, এভিন লুইস, শোয়েব মালিককে নিয়ে কুমিল্লা এখন শিরোপার দাবিদার। শুরু থেকেই কুমিল্লার হয়ে খেলা ইমরুলের আশা, এবার তাঁরা ভালো কিছুই উপহার দেবেন, ‘গত বছরটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল। প্রথম রাউন্ড দেখেছিলেন যে আমরা বেশ ভালোভাবে শেষ করেছি। দুটি ম্যাচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা হেরে গিয়েছি। আমাদের সব সময় লক্ষ্য থাকে ভালো কিছু করার। কুমিল্লায় আমি গত চার-পাঁচ বছর খেলেছি, প্রতিবছরই লক্ষ্য থাকে ফাইনালে খেলা। এই বছরও আমাদের সবার লক্ষ্য ফাইনালে খেলা। ওভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত আছে সবাই। এবারের টুর্নামেন্টে কুমিল্লা ভালো একটি দল তৈরি করেছে। দলের সবাই আশাবাদী যে ভালো কিছু করতে পারব।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), স্টিভ স্মিথ, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার, এনামুল হক (বিজয়), মেহেদী হাসান, জিয়াউর রহমান, মোশাররফ হোসেন, মোহাম্মদ শহীদ, শামসুর রহমান, সানজিৎ সাহা, শহীদ আফ্রিদি, এভিন লুইস, শোয়েব মালিক, লিয়াম ডসন, থিসারা পেরেরা, ওয়াকার সালমাখাই ও আমির ইয়ামিন।