Thank you for trying Sticky AMP!!

আকাশে মাহমুদউল্লাহদের জন্য 'মেঘদূতের' আয়োজন

বিমান থেকে নামার পর উঞ্চ অভ্যর্থনা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ছবি: বিসিবি
>জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে আকাশে ওড়ার উপলক্ষটাকে বিমান কর্তৃপক্ষ স্মরণীয় করে রাখল দারুণ আনন্দঘন এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে। উড়োজাহাজেই কেক কাটলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ

শুরুটা দারুন হলো মাহমুদউল্লাহদের। পাকিস্তান সফরের যাত্রা–পথ নিয়ে শঙ্কা ছিল। ঢাকা থেকে পাকিস্তানের কোনো শহরেই আকাশপথে সরাসরি যাওয়া যায় না। মধ্যপ্রাচ্য কিংবা প্রাচ্য ঘুরে পাকিস্তান–যাত্রার দীর্ঘপথ নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন প্রায় সবাই। সে শঙ্কা মিটে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিশেষ উড়োজাহাজ ভাড়া করার মধ্য দিয়ে। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭–৩০০ উড়োজাহাজ ‘মেঘদূতে’ স্বস্তির সঙ্গে যে আরও কিছু অপেক্ষা করে ছিল, সেটা হয়তো ক্রিকেটাররাও ভাবেননি। জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে আকাশে ওড়ার উপলক্ষটাকে বিমান কর্তৃপক্ষ স্মরণীয় করে রাখল দারুণ আনন্দঘন এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে। উড়োজাহাজেই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে কেক কাটানো হলো। পাকিস্তান সফরের জন্য শুভ কামনাটা দেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থার ‘মেঘদূত’ জানালো দারুণভাবেই।

বিমানের ভেতর কাটা হয় কেক। ছবি: সংগৃহীত

লাহোরে নেমেই সৈন্য–বন্দুক পরিবেষ্টিত হয়ে চলতে হবে—এমন মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন ক্রিকেটাররা। কেবল ক্রিকেটাররাই নন, দলের সঙ্গে কর্মকর্তা হিসেবে যারা গেছেন, তারাও এরকমই ভেবে রেখেছেন। আগামী কয়েকদিনের ‘বন্দীদশা’ শুরু হওয়ার আগে বিমান–কর্তৃপক্ষের এ শুভেচ্ছা–আয়োজন কিছুটা হলেও চাঙ্গা করবে ক্রিকেটাররাদের। ভাড়া করা উড়োজাহাজে বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন বিমানের চাকুরে সাবেক দুই ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেন ও হাসানুজ্জামান। দুজনই নিজেদের ‘কেবিন ক্রু’ সত্তা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন কিছু সময়ের জন্য। তারাও যেন ফিরে গিয়েছিলেন অতীতে! সানোয়ার দেশের হয়ে টেস্ট–ওয়ানডে খেলেছেন, ছিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপ দলে। হাসানুজ্জামান জাতীয় দলে না খেললেও নব্বইয়ের দশকে ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল তাঁর বিচরণ। প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলেছেন ৩৯টি, আছে ডাবল সেঞ্চুরিও। বিমান–কর্তৃপক্ষ হয়তো এসব বিবেচনা করেই এ দুজনকে দায়িত্বে দিয়েছিলেন তামিম–মাহমুদউল্লাহদের পাকিস্তান–যাত্রাপথে। জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়কও ছিলেন একই বিমানে। তবে তাদের পরিচয় এখন ভিন্ন। আকরাম খান বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান, মিনহাজুল আবেদীন প্রধান নির্বাচক।

ঢাকা থেকে সরাসরি লাহোরের আকাশপথ তিন ঘণ্টার একটু বেশি সময়ের। ১৬২ আসনের বোয়িং উড়োজাহাজটিতে বিসিবি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা সংস্থার ব্যক্তিবর্গ, সংবাদকর্মী মিলিয়েও যাত্রী সংখ্যা ৮০ জনের কম। প্রচুর ফাঁকা আসন থাকায় বেশ আরাম–আয়েশেই ভ্রমনটা হয়েছে সবার। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের সময় কেটেছে নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করে। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ একটু চুপচাপই ছিলেন। কেক কাটার সময়টুকু বাদ দিয়ে বেশিরভাগ মগ্ন ছিলেন কানে হেডফোন লাগিয়ে সিনেমা দেখায়। তামিম ইকবাল অবশ্য ছিলেন যথারীতি আড্ডার মেজারে। কখনো এই আসন, কখনো সেই আসন। আড্ডার মধ্যেও অবশ্য ক্রিকেটীয় আলোচনাটা ছিল। মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানরা না থাকায় পাকিস্তান সফরে যে মাঠের বাইরেও তাঁর একটা বাড়তি দায়িত্ব আছে, তামিম সেটা ভোলেননি।

বিমানের ভেতর তামিম-সৌম্যরা। ছবি: সংগৃহীত

রাতে লাহোর পৌঁছার পর বিমানবন্দরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা জানান পিসিবির কর্মকর্তারা। লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়াম কাল সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টি। তার আগে আজ বিকেলে একই মাঠে বাংলাদেশ দলের একমাত্র অনুশীলণ পর্ব।