Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই দিনে ২৯৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে

ব্রেন্ডন টেলরের ক্যাচটা দারুণ নিলেন ইমরুল কায়েস। ছবি: শামসুল হক
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে লিডটাকে বেশ বড়ই করেছে জিম্বাবুয়ে। তাইজুলের ৫ উইকেট প্রাপ্তির পরও অলআউট হওয়ার আগে ১৮১ রান করেছে দলটি। সিলেট টেস্ট জেতার জন্য ৩২১ রানের লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হওয়ার আগে তৃতীয় দিনে বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। 

জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই তাইজুলেই বেশ বিপাকে পড়েছে তারা। এই বাঁহাতি স্পিনার ৫ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর এই ইনিংসে ৫ উইকেট প্রাপ্তিতে প্রথমবারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন তাইজুল। তাইজুলের সঙ্গে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের ‘শিকারে’ নেমেছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। 

গত রাতের বৃষ্টি সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটাকে বেশ অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছিল। তবে যথাসময়ে খেলা শুরু হলে গত দিন ২ ওভার ব্যাটিং করা জিম্বাবুয়ে দিনের শুরুটা করে বেশ ধীরলয়েই। তিন স্পিনার নাজমুল, তাইজুল আর মিরাজের সঙ্গে একমাত্র পেসার আবু জায়েদও দারুণ লাইনে বোলিং করে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের প্রায় বেঁধেই রেখেছিলেন। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ব্রায়ান চারিকে দারুণ এক বলে বোল্ড করেন মিরাজ। চারি অবশ্য আবু জায়েদের বলে দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মোটামুটি সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন নাজমুল। তবে চারি শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি।

৪ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে কাঁপাচ্ছেন তাইজুল। ছবি: শামসুল হক।

চারির বিদায়ের পর উইকেটে বেশ আগ্রাসী মনোভাবেই আসেন ব্রেন্ডন টেলর। অন্যদিকে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটিংয়ে ছিল ‘ধীরে চলো’ নীতি। টেলর কতটা আগ্রাসী ছিলেন, সেটি বোঝায় যায় একটি পরিসংখ্যানেই। একপর্যায়ে ১৩ বলে ১৮ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের অন্যতম অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৫ বলে ২৪ রান করে তাইজুলকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়েই গড়বড় করে ফেলেন তিনি। ডিপ মিডঅনে বেশ খানিকটা দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন ইমরুল কায়েস।

ব্রায়ান চারিকে আউট করার পর মেহেদী হাসান মিরাজ। ছবি: শামসুল হক

এরপর টেলরের ধারাটা বজায় রাখতে ব্যর্থ হন শন উইলিয়ামস। তবে তিনি ৬৫ বল টিকে ২০ রান করেন। তাঁর আগে অবশ্য ফেরেন মাসাকাদজা। দলীয় ১০৩ রানে মিরাজের বলে এলবিডব্লু  হন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে তিনি ৪৮ রান করেন। ১২১ রানে ফেরেন উইলিয়ামস। তাঁকে বোল্ড করেন তাইজুল। ১২১ রানেই পিটার মুর তাইজুলের বলে ক্যাচ দেন লিটনকে। সিকান্দার রাজা আশা হয়ে ছিলেন। কিন্তু তাইজুলের বলে আবারও বিভ্রান্ত তিনি।

তাইজুল ১৯ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ ২ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ রান দিয়ে।