অধারাবাহিকতার খোলস থেকে প্রায় বেরিয়েই এসেছিলেন লিটন দাস। বাংলাদেশ দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে কাজ করে শট নির্বাচনের সমস্যা দূর করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো খেলছিলেন আস্থা রাখার মতো। এরপর ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। করোনায় ক্রিকেট হয় ঘরবন্দী। এরপর যখন মাঠে ক্রিকেট ফিরল, তখন লিটনকে যেন সেই অধারাবাহিকতায় আবার ফিরে গেলেন।
অবশেষে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০২ রানের ইনিংসে আবার ফিরলেন ফর্মে। লিটনের ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ হারারেতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেছে ২৭৬ রান। এরপর সাকিবের ৫ উইকেটে জিম্বাবুয়ে ১২১ রানে অলআউট হয়। ১৫৫ রানের বিরাট জয় পায় বাংলাদেশ।
খেলা শেষে ম্যাচসেরা লিটন শোনালেন করোনায় হারিয়ে যাওয়া সেই সময়ের কথা, ‘আমার চাওয়া তো সব সময়ই রান করা। শুধু আমি নই, প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই চাইবে যখনই ক্রিজে যায়, রান করতে। কিন্তু কোভিডের আগে আমি একটা ভালো ধারাবাহিকতা পেয়েছিলাম, ওই সময় কোভিড না হয়ে যদি স্বাভাবিক খেলা চলত, তাহলে হয়তো সুযোগ ছিল ভালো পারফর্ম করার। কারণ, ওই সময় আমার সময় চলছিল।’
পরিসংখ্যানও তা–ই বলে। ২০২০ বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে ১৫ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৪৫৫ রান করেছিলেন লিটন। এরপরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি বিশাল সেঞ্চুরি করেছেন। করোনায় খেলা বন্ধ হয়ে গেছে এরপরেই। লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর বড় রান পাচ্ছিলেন না লিটন। ওয়ানডেতে ৮ ইনিংসে লিটনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১০১ রান।
এ ব্যাপারে লিটন বলছিলেন, ‘কোভিডের পর আন্তর্জাতিকে ফেরাটা একটু কঠিন হয়ে যায়। কারণ, মাথায় অনেক চিন্তা ছিল, পারফর্ম করতে হবে, পরিস্থিতিও কঠিন ছিল। এভাবে দেখতে দেখতে আটটা ইনিংস গেছে। চেষ্টা করেছি, যত ইনিংসই খেলি না কেন, যেন ভালো করতে পারি, দলকে কিছু দিতে পারি। পাশাপাশি বড়রা সমর্থন দিয়ে গেছেন, পরিবার সমর্থন দিয়েছে, বিশেষ করে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছি।’
ফর্মে ফেরার ম্যাচে লিটনকে নিয়ে যোগ হয়েছে চোট–শঙ্কা। ব্যাটিংয়ের সময় কবজিতে ব্যথা পেতে দেখা গেছে তাঁকে। পরে উইকেটকিপিংও করেননি কুঁচকির চোটে। তবে দিনের খেলা শেষে লিটন জানালেন স্বস্তির খবর, ‘চোট আসলে ওই রকম কিছু নয়। কবজির চোট আগেও ছিল। যে কারণে আমি আগে খেলতে পারিনি। সে জায়গাতেই হালকা ব্যথা লাগছে। এ ছাড়া কুঁচকিতে একটু চোট লেগেছে। কিন্তু আশা করি, এটা বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।’