Thank you for trying Sticky AMP!!

তামিমের ১১ হাজার, সাকিবের ১০ হাজার

তামিমের ১১ হাজার রান পূর্ণ হলো আজ। সাকিবের ১০ হাজার। ছবি: প্রথম আলো

হাজার হাজার রান হয়ে গেল আজ! বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যানের অর্জন সেটিই বলছে।
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ২২ গজে দুজন সমান্তরালেই ছুটছেন। রেকর্ডের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন দারুণ বন্ধুতা। বাংলাদেশের পক্ষে তিন ধরনের ক্রিকেটে অবশ্য সবচেয়ে বেশি রান তামিম ইকবালের। ব্যাটিংয়ে তামিমের যে কীর্তি, বোলিংয়ে সেটি সাকিব আল হাসানের। তবে একটি জায়গায় তামিমের চেয়ে সাকিব এগিয়ে।

বোলিং-ব্যাটিং দুটিই রাঙাতে পারেন সাকিব। তামিম শুধুই ব্যাটসম্যান। একটা সময় ব্যাটিংয়েও বাঁহাতি ওপেনারের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। গত তিন বছর তামিমের দুর্দান্ত ফর্ম আর লোয়ার মিডল অর্ডারে দীর্ঘদিন ব্যাটিং করায় রানে একটু পিছিয়ে গেছেন সাকিব। ক্রিকেটের তিন সংস্করণে ১০ হাজার রান করতে সাকিবের তাই একটু বেশিই সময় লেগে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটার আগে ১০ হাজার রান করতে তাঁর দরকার ছিল ৬৬ রান। করেছেন ৬৭ রান।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১০ হাজার রানের কীর্তিটা তামিম গড়েছিলেন গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরেই। আজ তিনি পেরোলেন ১১ হাজার রানের মাইলফলক। ২৮৭ ম্যাচে তামিমের রান এখন ১১ হাজার ৭৭।

সাকিব-তামিমের মতো অর্জনটা অত বড় না হলেও একটা রেকর্ড ছুঁয়েছেন এনামুল হকও। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম ১ হাজার রানের রেকর্ডটি ১১ বছর নিজের অধিকারে রেখেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। এবার সেখানে ভাগ বসালেন প্রায় তিন বছর ওয়ানডে দলের বাইরে থাকা এনামুল। ১ হাজার রান করতে দুজনই খেলেছেন ২৯ ইনিংস। ৩৪ ইনিংসে ১ হাজার রান করে এই তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে আছেন নাসির হোসেন ও ইমরুল কায়েস।

তবে বিশ্ব ক্রিকেটে দ্রুততম ১ হাজার রানের রেকর্ডটি যৌথভাবে পাঁচজনের। ১৯৮০ সালে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ডটি গড়েছিলেন স্যার ভিভ রিচার্ডস। পরে সেই রেকর্ডটি ছুঁয়েছেন কেভিন পিটারসেন, জোনাথন ট্রট, কুইন্টন ডি কক ও বাবর আজম।

এনামুলের মতো রেকর্ড না ছুঁলেও সাব্বির রহমানও পূর্ণ করেছেন ১ হাজার রান। রানসংখ্যা চার অঙ্কে নিতে সাব্বিরকে খেলতে হয়েছে ৪২ ইনিংস।