Thank you for trying Sticky AMP!!

অলরাউন্ডার সাকিবের ঝলসে ওঠার দিন

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো


৪৮ রানে নেই ৫ উইকেট। শুধু অর্ধেক ব্যাটসম্যান নয়, ঢাকা ডায়নামাইটস তখন খরচ করে ফেলেছে প্রায় ইনিংসের অর্ধেক ওভারও। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটসম্যান সাকিবের দেখা মিলল দলের সংকটময় অবস্থায়। সাতে নামা সাকিবের ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে রংপুর রাইডার্সকে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিতে পারল ঢাকা। পরে বোলিং আর নেতৃত্বেও দুর্দান্ত সাকিব দেখা দিলেন। ৭ উইকেটে ৯৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি রংপুর। ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় সেরা দল হওয়া নিশ্চিত হলো ঢাকার।

ঢাকার ৭ উইকেটে তোলা ১৩৭ রানে অবদান আছে মেহেদী মারুফের ২৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটারও। ষষ্ঠ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে তাঁর ৫৫ রানের জুটিটা ছিল ম্যাচের মোড় ঘোরানো। বিপিএলের শীর্ষ দুটি দল ফাইনালে ওঠার দুটি সুযোগ পায়। এ কারণে ঢাকার দুইয়ে থেকে শেষ করাটা ছিল জরুরি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এক নম্বর জায়গাটি নিশ্চিত করেছে আগেই। 

এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঢাকার ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই যাওয়া–আসার মধ্যে ছিলেন। দলের বিপদে হাল ধরলেন অধিনায়ক সাকিব।

বোলিংয়ে সাকিব এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই ধারাবাহিক। ১৯ উইকেট নিয়ে বিপিএলের এই আসরের সেরা বোলার তিনি। কিন্তু ব্যাটসম্যান সাকিবকে সেভাবে চোখে পড়ছিল না। এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংসই ছিল ২৩ রানের। তা ছাড়া অনেক সময় নিচে নেমে এসে খেলছেন।
আজ শুরুটা একটু দেখে-শুনে করতে হলো। আবার রানের চাকা সচল রাখার তাগিদও ছিল। শেষ পর্যন্ত দুটি করে চার-ছক্কা মেরেছেন। মারুফও বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন সাকিবকে। ১৩ ওভার শেষে মাত্র ৬১ রান তোলা ঢাকা তাই লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে। শেষ ৭ ওভারে তুলেছে ৭৬ রান।

বোলার সাকিব পরে ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।