Thank you for trying Sticky AMP!!

লিটনই গড়ে দিলেন পার্থক্য

দারুণ ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার জয়ের ভিত গড়ে দিলেন লিটন। ছবি: প্রথম আলো

নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তাই যেন নিয়ম মেনেই খেলল দুই দল। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে উড়ন্ত সূচনা করা সিলেট সিক্সার্স পরে যেন জয় শব্দটাই ভুলে গিয়েছিল। আর সবাইকে চমকে দিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষে চলে এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। প্লে-অফের আগের সর্বশেষ ম্যাচেও তাই নিয়ম মেনে জিতল কুমিল্লা। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেটের হার ২৫ রানের।

কোয়ালিফায়ারের আগে অধিনায়ককে বিশ্রাম দিয়েছে কুমিল্লা। তামিম ইকবালের বদলে ওপেনিংয়ে নামা জশ বাটলার মাত্র ৩ রান করেছেন। ইমরুল কায়েসও পাততাড়ি গুটিয়েছেন ৭ রানে। তবু ১৫ ওভার শেষ হওয়ার আগে কুমিল্লার রান ১২০ ছুঁয়েছে। কারণ, মারলন স্যামুয়েলসকে নিয়ে ইনিংস গড়ার দায়িত্বটা বুঝে নিয়েছিলেন লিটন দাস। মিরপুরের এই উইকেটেও ৬ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন। ৪৩ বলে ৬৫ রান করে দলকে নিরাপদ স্কোরে পৌঁছে দিয়েছেন। ম্যাচে দুই দলের মাঝে ব্যবধান ছিল লিটনের এই ইনিংসটিই।
১৫তম ওভারের শেষ বলে যখন আউট হলেন লিটন, কুমিল্লার স্কোর তখনই ১২০। সেটা পরের ৫ ওভারে আরও ৫০ বেড়েছে স্যামুয়েলস (৪৩ বলে ৫৫) ও শোয়েব মালিকের (১৮ বলে ২৮*) সুবাদে।
১৭১ রানের লক্ষ্যে নামা সিলেট রান তাড়ার দৌড়ে ছিল না কখনোই। একমাত্র সাব্বির রহমানই যা একটু তাগাদা দেখিয়েছেন। কিন্তু ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংসটা প্রয়োজনের তুলনায় বড্ড কম ছিল। সিলেটের টপ অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যানই ইনিংস বড় করতে পারেননি। পারেননি বল ও রানের সমীকরণটা মেলাতেও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো সিলেট ৮৩ রানেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলে। শেষ ৫ ওভারে ৪৭ রান তুলেও তাই আর কোনো লাভ হয়নি সিলেটের। সিক্সার্সদের শুরুতে যে একজন লিটন ছিলেন না।