Thank you for trying Sticky AMP!!

১৭ বছর বয়সী এ পেসার ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি গতি তুলেছেন?

মাথেসা পাথিরানা। অনেকের চোখেই ‘নতুন মালিঙ্গা’। ছবি: টুইটার
>

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে লঙ্কান পেসার মাথেসা পাথিরানার একটি ডেলিভারির গতি উঠেছে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। স্পিডগানে কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও আইসিসি এখনো এ নিয়ে কিছু বলেনি

দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার আগেই আলাদা করে নজর কেড়েছেন শ্রীলঙ্কান পেসার মাথেসা পাথিরানা। ইন্টারনেটে তাঁর বোলিং অ্যাকশন দেখে ‘নতুন মালিঙ্গা’ তকমা দিয়েছেন অনেকে। ৬ ফুট উচ্চতার এ পেসারের অ্যাকশন অবিকল মালিঙ্গার মতোই, মারতে পারেন টানা ইয়র্কারও। এবার যুব বিশ্বকাপেও অ্যাকশন দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন ১৭ বছর বয়সী এ পেসার। তবে পরশু ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর পাথিরানা সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন অন্য কারণে। স্পিডগানে তার একটি ডেলিভারির গতি উঠেছে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার!

ভ্রুকুটির আগে ঘটনাটা জেনে নেওয়া ভালো। ব্লুমফন্টেইনে ভারতের যুবাদের কাছে শ্রীলঙ্কার হারের পাথিরানার ডেলিভারিটি আলোচনার জন্ম দেয়। ভারতের ইনিংসে চতুর্থ ওভারে তার পঞ্চম ডেলিভারিটি ওয়াইড দেন আম্পায়ার। স্কোরবোর্ডের পাশে রাখা স্পিডগানে সে ডেলিভারিটির গতি ওঠে ১৭৫ কিমি (ঘণ্টায় ১০৮ মাইল)। এতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়াই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব পর্যায়ে সবচেয়ে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড এখনো শোয়েব আখতারের দখলে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিমি গতিতে বল করেছিলেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি।অথচ শোয়েবকে বড় ব্যবধানে টপকে গেলেন কি না, এক কিশোর!

সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পাথিরানার ডেলিভারিটি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তবে বেশির ভাগের মতামত, স্পিডগানে কোনো কারিগরি ত্রুটির কারণে গতির হিসেবটা সম্ভবত ভুল ছিল। কারণ ডেলিভারিটি দেখে অনেকেই বলছেন তা ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের আশপাশে ছিল। যদিও আইসিসি এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। অর্থাৎ গতির হিসেবটা সঠিক না ভুল ছিল তা নিয়ে এখনো কিছু বলা হয়নি।

তরুণ ডানহাতি এ পেসার গড়ত বছরের সেপ্টেম্বরে লঙ্কান ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন। ক্যান্ডিতে ট্রিনিটি কলেজের হয়ে এক ম্যাচে ৭ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অন্যতম সেরা পেসার মালিঙ্গাকে ছোটবেলা থেকে আদর্শ মেনেই তাঁর মতো অ্যাকশনে বোলিং করা শুরু করেন পাথিরানা। এখন তিনি কত দূর যেতে পারেন সেটিই দেখার বিষয়।

পাথিরানার আলোচিত সেই ডেলিভারিটির ভিডিও লিংক: