Thank you for trying Sticky AMP!!

'মিরাজ খুব মজার চরিত্র'

মুশফিকের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে মিরাজের জুটিটা আজ দারুণ জমেছে। ছবি: প্রথম আলো
মেহেদী হাসান মিরাজ যখন উইকেটে এলেন, বাংলাদেশ তখন হারিয়ে ফেলেছে ৭ উইকেট। মুশফিকুর রহিম সংশয়ে পড়ে গেছেন, ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারবেন কি না। সঙ্গে মিরাজ থাকায় অবশেষে সেই সংশয় তাঁর দূর হয়েছে


মেহেদী হাসান মিরাজ যখন উইকেটে এলেন, বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে ৭ উইকেট। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ১৪৩ রানে। মিরাজ উইকেটে থিতু না হলে মুশফিককে হয়তো ফিরতে হতো ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়ার হতাশায়। মোস্তাফিজুর রহমান আর খালেদ আহমেদকে নিয়ে কতটুকুই আর এগোতে পারতেন তিনি?

সঙ্গী হিসেবে মিরাজকে উইকেটে পেয়েছিলেন বলে মুশফিক ডাবলের দিকে এগিয়ে যেতে পেরেছেন। সেই এগিয়ে যাওয়ার পথে দুজনের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে হয়েছে একটি রেকর্ড। এই জুটিতে এসেছে ১৪৪ রান, টেস্টে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ। মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ২১৯ ও মিরাজ অপরাজিত ৬৮ রানে।

মিরাজের সঙ্গে ব্যাটিং করাটা কতটা উপভোগ্য, সেটিই বললেন মুশফিক, ‘মিরাজের সঙ্গে ব্যাটিং সব সময় উপভোগ করি। সে খুবই দারুণ ছেলে। খুব মজার একটা চরিত্র। ওর মতো একজন খেলোয়াড় মাঠে থাকা সব সময়ই উপভোগ্য। ও আমাকে যেভাবে বোঝাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল, যেন সে দুই শ রানে ব্যাটিং করছে, আমি মাত্র ক্রিজে এসেছি। ওর সঙ্গ সব সময়ই উপভোগ্য। আমি সব সময়ই বলি, ওর মধ্যে অমিত সম্ভাবনা আছে। ওর মনোযোগ আর প্রত্যয় সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’

মিরাজের সঙ্গে মুশফিকের বেশ কয়েকটি জুটি হয়েছে টেস্টে। গত বছর ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে যেমন সপ্তম উইকেটে গড়লেন ৮৭ রানের জুটি। মিরাজ পেলেন তাঁর প্রথম টেস্ট ফিফটি। মুশফিক করেছিলেন সেঞ্চুরি। আজ মিরাজ পেলেন দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি, মুশফিক দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। সপ্তম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে মুশফিকের আরেকটা জুটি হয়েছিল গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে। প্রথম ইনিংসে এই জুটিতে দুজন যোগ করেছিল ১০৬ রান। সেদিন মিরাজ ৪১ রানে আউট না হলে মুশফিকের তিন অঙ্ক ছোঁয়া কঠিন হতো না।

মুশফিক জানালেন, ২২ গজে সঙ্গী হিসেবে মিরাজ ভীষণ ইতিবাচক, অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেন, ‘অনেক সময় হয়তো সে বাজে শটে আউট হয়ে যায়। আজ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে সে আগামী দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে পারে। আমি ওকে এগুলোই বলার চেষ্টা করি। ও কিন্তু সবই জানে। একটা বাইরের (স্টাম্পের) বল খেললে বলে, ভাই আমি তো দূরের বল খেলেছি! ওকে বলি, “তুই তো জানিস, তবুও কেন খেলিস?” খুব মজার ছেলে। ওর সঙ্গে ব্যাটিং করতে আমার সব সময়ই মজা লাগে। আর একটা ব্যাপার ভালো লেগেছে, টেস্টে ওর দুটি ফিফটি হয়ে গেছে। দুবারই ওর সঙ্গে ক্রিজে ছিলাম। একটা সে হাতছাড়া করেছে (ফিফটি)। (গত বছর) গলে আমাদের প্রথম টেস্টে মনে হয় ৪৫ রান (আসলে ৪১) করেছিল। ওই ম্যাচে আমার সেঞ্চুরি হাতছাড়া (করেছিলেন ৮৫) হয় ওর কারণে। সে আউট হয়ে যাওয়ার পর আমি আর কোনো সঙ্গী পাইনি। আজ ওকে বলছিলাম, “আমার ডাবল সেঞ্চুরি না হওয়া পর্যন্ত অন্তত তুই থাকিস।”’

মিরাজ পেরেছেন। মুশফিক ‘ডাবল’ করেছেন। মিরাজ নিজেও ফিফটি পেয়েছেন। আর বাংলাদেশ দল চলে গেছে ভালো অবস্থানে।