
ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর স্লো ওভার রেটের জরিমানার বিষয়ে ‘সহানুভূতিশীল’ হওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে সাবেক ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড যে মন্তব্য করেছেন, তা সমর্থন করেছেন ভারতের সাবেক কোচ গ্রেগ চ্যাপেল।
চ্যাপেল বলেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তাঁর কোচিংয়ের শুরুর দিকে সৌরভের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ব্রড মঙ্গলবার টেলিগ্রাফকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২০০৫ সালের সেই প্রস্তাবের কথা প্রকাশ করেন, যেখানে তাঁকে ভারতের অধিনায়ককে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ব্রড অবশ্য কারও নাম উল্লেখ করেননি। চ্যাপেলের দাবি, এর কয়েক মাস পরই তাঁর কাছে গাঙ্গুলীকে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ‘ব্যবস্থা’ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডালমিয়া।
চ্যাপেল ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচ ছিলেন। মঙ্গলবার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ডালমিয়ার প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চ্যাপেল বলেন, ‘আমার দায়িত্বের শুরুতে ডালমিয়া তাঁর (সৌরভ) শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারার জন্য নিষেধাজ্ঞা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম “না, আমি নিয়ম ভাঙতে চাই না, তাকে তার শাস্তি ভোগ করতে হবে।” ডালমিয়াও এতে রাজি ছিলেন বলে মনে হয়েছিল।’
সৌরভকে স্লো ওভার রেটের দায়ে ব্রড জরিমানা করেন ২০০৫ সালের এপ্রিলে, ভারত–পাকিস্তান ছয় ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের পর। একই সিরিজে সৌরভ আবারও স্লো ওভার রেটের অপরাধ করলে তাঁকে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও আপিলের পর নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে চার ম্যাচ করা হয়।
চ্যাপেল ভারত–কোচের দায়িত্ব নেন ২০০৫ সালের মে মাসে, ভারত–পাকিস্তান সিরিজ শেষ হওয়ার পর। এরপর ভারতের শ্রীলঙ্কা সফর ছিল। সেই সফরে সৌরভকে পাওয়ার জন্য কোচের কাছে ডালমিয়া ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অবশ্য সৌরভকে খেলানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যাপেলের কী ধরনের ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিল, তা স্পষ্ট নয়।
ডালমিয়া ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আইসিসির সভাপতি এবং এরপর ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে বিসিসিআই প্রধান ছিলেন ডালমিয়া কর্তৃক মনোনীত রণবীর সিং মহেন্দ্র। তিনি ২০১৫ সালে মারা যান।