জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ৭৬ রান। তা-ও ভারতীয় দলের শরীরী ভাষায় ফুটে বের হচ্ছিল আত্মবিশ্বাস। এর কারণ অবশ্যই ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামের উইকেট। যেখানে গত দুই দিনেই পড়েছে ৩০ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে ভারতের দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা আর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পক্ষে নাগপুর কিংবা দিল্লির মতো কিছু একটা করে ফেলা অসম্ভব কিছুই নয়—এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিল ভারত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ইন্দোরে ‘অসম্ভব’ কিছু করতে দেয়নি ভারতকে। ধীরে-সুস্থে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ৬ বছর পর ভারতের মাটিতে এটি প্রথম টেস্ট জয় অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের মাটিতে ৫৫ টেস্ট খেলে এটি অস্ট্রেলিয়ার ১৪তম জয়।
আজ তৃতীয় দিনে স্কোরবোর্ডে রান তোলার আগেই বিদায় নেন উসমান খাজা। ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখাই শুরু করেছিল। অশ্বিনের অফ স্টাম্পের একটি বল রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন খাজা। উইকেটের পেছনে শ্রীকর ভরত ভুল করেননি সেটি গ্লাভসবন্দী করতে। কিন্তু এরপর ভাগ্য আর ভারতের সঙ্গে হাত মেলায়নি। দুই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড আর মারনাস লাবুশেন ঠান্ডা মাথায় দলকে জয়ের বন্দরে যান। হেড ৫৩ বলে ৪৯ আর লাবুশেন ৫৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম ইনিংসে ভারত ১০৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়াও ১৯৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে আর ৪৭ রানে এগিয়ে থেকে কাল দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া ভেঙে পড়ে হুড়মুড় করে। ১১ রান তুলতেই তারা হারায় ৬ উইকেট। ভারতের সামনে সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ ইনিংসে আরও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ জানানোর, কিন্তু সেটি হয়নি অফ স্পিনার নাথান লায়নের কল্যাণে। তিনি ৮ উইকেট নেন ৬৪ রানে। ভারত গুটিয়ে যায় ১৬৩ রানেই। চেতেশ্বর পূজারা একটু লড়েছিলেন। তিনি করেন ৫৯ রান।
আরও পড়ুন
-
নারী আম্পায়ারের ম্যাচ আসলেই কি খেলতে চাননি মুশফিক–মাহমুদউল্লাহরা
-
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা: প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট
-
রাফায় এক পরিবারের ৯ জন নিহত, শুধু বেঁচে রইল মেয়েশিশুটি
-
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আবারও বিএসইসি চেয়ারম্যান, যেমন ছিল তাঁর আগের ৪ বছর
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে