১৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতায় বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগত

বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগত। কলম্বোয় বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় শুরু হবে ম্যাচ। ২ জুলাই প্রথম ওয়ানডে ৭৭ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম প্রস্তুত দ্বিতীয় ওয়ানডের জন্য।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, নিয়েছেন ব্যাটিং। প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিত আসালঙ্কাও।

বাংলাদেশ দলে দুই পরিবর্তন

বাংলাদেশ দল প্রথম ওয়ানডে থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে। লিটন দাসের জায়গায় এসেছেন শামীম হোসেন, তাসকিন আহমেদের জায়গায় হাসান মাহমুদ।

মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী, তানজিম হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।

দুই বদল শ্রীলঙ্কারও

বাংলাদেশের মতো একাদশে দুই পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কাও। মিলান রত্নায়েকে ও ইশান মালিঙ্গায় জায়গায় এসেছেন দুনিত ভেল্লালাগে ও দুশমন্ত চামিরা।

চারিত আসালঙ্কা (অধিনায়ক), নিশান মাদুশকা, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, জানিত লিয়ানাগে, দুনিত ভেল্লালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহিশ তিকশানা, দুশমন্ত চামিরা ও আসিতা ফার্নান্দো।

কেন বাদ পড়লেন লিটন

শেষ ৬ ইনিংসে চারবার শূন্য করেছেন লিটন। সর্বশেষ ফিফটি ১৪ ইনিংস আগে।

বাংলাদেশের সতর্ক শুরু

২ ওভারে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন তুলেছেন ১০ রান। রানের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত। তবে বাউন্ডারি লাইনে দারুণ ফিল্ডিং করে তিনটি চার বাঁচিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা।

যেভাবে আউট তানজিদ

আসিতা ফার্নান্ডোর নাকল বলে কাভার দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন তানজিদ। তবে ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল গেছে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে। তানজিদ করেছেন ৭ রান।

বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৪।

ফার্নান্দোর বলে আউট হয়েছেন তানজিদ

চাপ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন নাজমুল–পারভেজ

প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশ ছিল বেশ চাপে। তানজিদ হাসান আউট হয়ে গেছেন। পারভেজ হোসেনের বিরুদ্ধে জোরালো আবেদনের পর রিভিউ নিয়েও সফল হয়নি শ্রীলঙ্কা। তবে পঞ্চম ওভারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। প্রথম বলটি নো করেছিলেন ফার্নান্দো, ফ্রি হিট থেকে চার পান পারভেজ। এই ওভারে আরও একটি বাউন্ডারিতে সব মিলিয়ে এসেছে ১০ রান।

বাংলাদেশের স্কোর: ৫ ওভারে ১ উইকেটে ২৭।

ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ

শুরুর দিকে বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ। আউট হয়ে গিয়েছিলেন তানজিদ হাসানও। তবে এরপর নাজমুল ও পারভেজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাঁরা। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৬৫ রান এখন বাংলাদেশের। পারভেজ ৩৬ বলে ৩৭ ও নাজমুল অপরাজিত আছেন ১৪ বলে ১২ রানে।

নাজমুল ফিরে গেলেন

প্রথম উইকেট হারানোর পর নাজমুল–পারভেজের জুটিতে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তাও খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি। চারিত আসালাঙ্কার বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেছেন ১৯ বলে ১৪ রান করা নাজমুল। পারভেজের সঙ্গে ৫৫ বলে ৬৩ রানের জুটি ভেঙে গেছে তাঁর।

বাংলাদেশের স্কোর: ১২ ওভারে ৭৪/২।

পারভেজের ফিফটি

আগের ম্যাচেই অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ওই ম্যাচে ১৩ রানেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন পারভেজ।

বাংলাদেশের এক শ

বাংলাদেশের এক শ রান হলো। শুরুর দিকের চাপ সামলে নেন পারভেজ–নাজমুল। নাজমুল আউট হয়ে গেলেও এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন পারভেজ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে সংস্করণে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। দলের এক শও পূর্ণ হয়েছে ১৬ ওভারে।

বাংলাদেশের স্কোর: ১৬ ওভারে ১০০/২।

বাউন্ডারি নেই, পারভেজ আউট

বাংলাদেশের জন্য চাপ জমছিল অনেক্ষণ ধরেই। ৩০ বল ধরে ছিল না বাউন্ডারি। এবার ওই চাপ বাড়ল আরও— হাসারাঙ্গার গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেছেন পারভেজ হোসেন। ৬৯ বলে ৬৭ রান এসেছিল এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। তাঁর বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। হাসারাঙ্গার বলে একটি চারও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, ৭ ওভার পর।

বাংলাদেশের স্কোর: ২০ ওভারে ১১৫/৩।

পারভেজ পেয়েছিলেন ওয়ানডেতে তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি

চাপ থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ

পারভেজ হোসেনের ব্যাট থেকে বাউন্ডারি আসছিল নিয়মিত। এরপর হুট করেই বাংলাদেশ চাপে পড়ে যায়, আউট হয়ে যান পারভেজ। উইকেটে এসে ৭ ওভার পর বাংলাদেশকে প্রথম বাউন্ডারি এনে দেন মিরাজ— তবে তিনিও বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না। চামিরার বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন মিরাজ।

নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন শামীম হোসেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই মাঠেই নিজের শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি। ওই ম্যাচে ৫ বলে ১ রান করে শামীম আউট হলেও বাংলাদেশ ৬ রানে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতেছিল।

বাংলাদেশের স্কোর: ২৪ ওভারে ১৩৪/৪।

হৃদয়ের মাইলফলক

১ হাজার

৯৮৫ রান নিয়ে আজ ব্যাট করতে নেমেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। দল তখনও চাপে, এখনও তা থেকে পুরোপুরি বের হতে পারেনি। তবে এর মধ্যেই ওয়ানডেতে ২৫তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যক্তিগত এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন হৃদয়। ৩৩ ইনিংসে খেলে এক হাজার রান এল তাঁর ব্যাট থেকে। হৃদয়ের চেয়ে কম ইনিংসে বাংলাদেশের দুজন এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন— শাহরিয়ার নাফিস (২৯) ও এনামুল হক (২৯)।

শামীমের স্কয়ার কাট

বাংলাদেশের স্কোর: ২৮ ওভারে ১৫৮/৪।

কামিন্দু মেন্ডিসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল। হাত ও চোখের দারুণ সমন্বয়ে স্কয়ার কাটে সেটি সীমানা ছাড়া করেছেন শামীম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সাধারণত এমন শট খেলতে দেখা যায় না। হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর ৩৩* রানের জুটিতে নতুন করে আশা দেখছে বাংলাদেশ।

আবার ভাঙল জুটি

বাংলাদেশের স্কোর: ২৯ ওভারে ১৫৯/৫।

জুটি হচ্ছে না বাংলাদেশের। নাজমুল–পারভেজের পর আবার আশা দেখাচ্ছিল শামীম ও হৃদয়ের জুটি। তবে তাও খুব বড় হলো না। ফার্নান্দোর বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছেন ২৩ বলে ২২ রান করা শামীম। ৩৭ বলে ৩৩ রানের জুটি ভেঙে গেছে তাতে।

হৃদয়–জাকের জুটি

বাংলাদেশের স্কোর: ৩৫ ওভারে ১৮৪/৫।

বাংলাদেশের শেষ আশা তাঁরা। কেউ আউট হলেই আসবেন টেল–এন্ডাররা। জাকের আলি ও তাওহীদ হৃদয় তাই এগোচ্ছেন বেশ সতর্কভাবে। এখন পর্যন্ত তাঁদের জুটিতে ৩৬ বলে এসেছে ২৫ রান।

বেঁচে গেলেন হৃদয়

বাংলাদেশের স্কোর: ৩৭ ওভারে ১৯২/৫।

চামিরার বলে সোজা খেলেছিলেন জাকের আলী। নন স্ট্রাইকে থাকা হৃদয় ততক্ষণে এগিয়ে এসেছেন অনেকটা। বলটা চামিরার হাতে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে— কিন্তু জায়গায় থেকেই পেছন দিকে ততক্ষণে ব্যাটটা ক্রিজে নিয়েছেন হৃদয়। একটু এদিক–সেদিক হলেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হতো তাঁকে।

জাকেরের বিদায়

বাংলাদেশের স্কোর: ৩৯ ওভারে ২০৪/৬।

৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের শেষ আশা ছিল তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর জুটি। ভালোভাবে এগিয়েও যাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে জাকেরের বিদায়ে এই জুটিও ভেঙে গেল— ৬১ বলে এসেছিল ৪৫ রান। ৪০ বলে ১২ রান করে ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লু হয়েছেন জাকের।

রান আউটের পর হৃদয়ের ক্ষোভ

উইকেটের একপ্রান্তে আসা–যাওয়ার মিছিল ছিল। কিন্তু তাওহীদ হৃদয় হাল ধরেছিলেন দলের। অথচ তাঁর বিদায় কি না হলো রান আউটে। ফার্নান্দোর বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে প্রথম রান নেন হৃদয়, দৌড় শুরু করেন দ্বিতীয়টির জন্যও। কিন্তু তাঁকে ‘না’ করে দেন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা তানজিম, কিন্তু ততক্ষণে মাঝ ক্রিজে পৌঁছে গেছেন হৃদয়— মাদুস্কার থ্রো ফার্নান্দোর হাত হয়ে ভেঙেছে স্টাম্প। আউট হওয়ার হতাশায় ব্যাট ছুড়ে ফেলেন হৃদয়। ৬৯ বলে ৫১ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর হাসান মাহমুদও আউট হয়ে গেছেন শূন্য রানে।

তাওহীদ হৃদয়

২৪৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ

মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে দলের সংগ্রহ বাড়াচ্ছিলেন তানজিম হাসান। চার–ছক্কায় রানও আসছিল— তবে এটিই যে ছিল শেষ উইকেট। হাসারাঙ্গার বলে মোস্তাফিজ এলবিডব্লু হতেই বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ রানে। ২ চার ও সমান ছক্কায় ২১ বলে ৩৩ রান করে আরেক প্রান্তে অপরাজিত থাকেন তানজিম। শেষ উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন তানজিম–মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের ইনিংসটা শুরু হয়েছিল চাপের মধ্যেই। ওপেনার তানজিদ হাসানের উইকেট হারানোর পর নাজমুল–পারভেজের ৬৩ রানের জুটিতে তা অনেকটা সামলে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু নাজমুল আউট হওয়ার পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া পারভেজও ৬৭ রানে আউট হন।

এরপর কখনো মিরাজ, কখনো শামীম–জাকেরকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন হৃদয়। কোনো জুটিই খুব বড় হয়নি। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে হৃদয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু তাঁকে ফিরতে হয় তানজিমের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে— বাংলাদেশের আড়াই শ পার করার সম্ভাবনাও তখন শেষ হয়ে যায় অনেকটাই, তা শেষ পর্যন্ত তাঁরা করতে পারেনি।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট পান আশিথা ফার্নান্দো, ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা।

বিরতি

খেলায় এখন ইনিংস বিরতি। এই সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন কলম্বোয় তারেক মাহমুদের নেওয়া শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়াসুরিয়ার সাক্ষাৎকার পড়ে। বর্তমানে লঙ্কানদের প্রধান কোচ কথা বলেছেন ক্রিকেটের বিবর্তন, নিজের কোচিং দর্শন এবং রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ভুল করাসহ নানা বিষয়ে।

মেয়েদের গোলবন্যা

বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের রান তাড়া শুরু হয়েছে। ২৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারে ২ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। এদিকের ফল যেমনই হোক, বাংলাদেশের মেয়েরা কিন্তু তাঁদের দুর্দান্ত খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। গত ম্যাচে মিয়ানমারকে হারিয়ে নারী এশিয়ান কাপ খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আজ ইয়াংগুনে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৭–০ গোলে এগিয়ে আছে ঋতুপর্ণারা।

তানজিম এনে দিলেন প্রথম উইকেট

শ্রীলঙ্কার স্কোর: ২ ওভারে ৬/১।

ব্যাটিংয়ে যেখানে শেষ করেছিলেন, বোলিংয়ে সেখানেই শুরু করলেন তানজিম। ২৪৯ রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে ২ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। পরের ওভার করতে আসা তানজিম শেষ বলে উইকেট পেয়েছেন। তাঁর বলে এলবিডব্লু হয়েছেন ৮ বলে ৫ রান করা পাথুম নিশাঙ্কা।

তাসকিন নেই কেন?

প্রথম ম্যাচে তানজিমের সঙ্গে মিলে শুরুতেই শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেছিলেন তাসকিন আহমেদ। পুরো ম্যাচে তিনি পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। আজও তাঁকে খুঁজতে পারেন অনেকে। তাসকিন এ ম্যাচের একাদশে নেই— কোনো চোটের কারণে যদিও নয়। কলম্বো থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লম্বা সময় পর ফেরা এই পেসারের ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্টের অংশ হিসেবে রাখা হয়নি তাঁকে।

৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার ২৯

শুরুতে একটি উইকেট তানজিম হাসান নিয়েছেন। তবে এরপর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছে শ্রীলঙ্কা। নিশান মাদুস্কা ও কুশাল মেন্ডিসের জুটিতে এগোচ্ছে তাঁরা। ২০ বলে ১৬ রানে নিশাঙ্কা আর ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত আছেন মেন্ডিস।

তানভীরের ১ ওভারে ১৭

শ্রীলঙ্কার স্কোর : ৮ ওভারে ৫৭/১।

আগের ম্যাচে ৪ ওভারেই দিয়েছিলেন ৪৪ রান। এবার তাই তাঁকে সপ্তম ওভারেই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মিরাজ। কিন্তু প্রথম ওভারটা ভালো হলো না তাঁর। দুই চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান হজম করেছেন তানভীর।

মোস্তাফিজের ওভারে ‘মেন্ডিস শো’

শ্রীলঙ্কা: ৯ ওভারে ৭৪/১।

মোস্তাফিজের করা ৯ম ওভারের প্রথম চার বলেই চার মেরেছেন কুশল মেন্ডিস। সবগুলো শটই ছিল বুদ্ধিদীপ্ত ও দৃষ্টিনন্দন। এই ওভারে একাই ১৭ রান তুলেছেন মেন্ডিস।

২০ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া মেন্ডিস এই ওভার শেষে ২২ বলে ৫২ রানে অপরাজিত। ১৭ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত মাদুস্কা।

জুটি ভাঙলেন তানভীর

শ্রীলঙ্কা: ১০ ওভারে ৭৫/২।

১০ম ওভারের তৃতীয় বলে মাদুস্কাকে তুলে নিলেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর। ইনসাইড আউট খেলতে গিয়ে ব্যাটে ঠিকমতো পাননি। তাওহিদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়েছেন পয়েন্টে। ২৫ বলে ১৭ রানে ফিরলেন মাদুস্কা। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটি ভাঙল।

আবার উইকেট পেলেন তানভীর

তানভীরের উল্লাস

শ্রীলঙ্কা: ১২ ওভারে ৮২/৩।

প্রথম ওভারে ১৭ রান দেওয়ার পর দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছেন তানভীর। মেন্ডিস–মাদুস্কা জুটিতে ক্রমেই হাত থেকে ছুটে যেতে থাকা ম্যাচে বাংলাদেশ ফিরেছে তাঁর জোড়া আঘাতে। মাদুস্কাকে ফেরানোর পর ৩১ বলে ৫৬ রান করা মেন্ডিসকেও এলবিডব্লু করেছেন তানভীর।

উইকেট পেলেন শামীম

শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১০৪/৪। ৩০ ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ১৪৫ রান।

৫ ওভারের বেশি সময় ধরে আসছিল না বাউন্ডারি। ওই চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টায় থাকা আসালাঙ্কা আউট হয়ে গেলেন। আগের ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান শামীমের বলে ১৭ বলে ৬ রান করে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তানভীরের হাতে। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বাউন্ডারিটা আজই পেয়েছিলেন শামীম, এবার পেলেন প্রথম উইকেটও।

৫১ বল পর বাউন্ডারি

১৩তম ওভারে শেষ বলে মোস্তাফিজকে বাউন্ডারি মেরেছিলেন আসালাঙ্কা। সেই শেষ— এরপর ৫১ বল ধরে আর বাউন্ডারি ছিল না শ্রীলঙ্কার। মাঝে দুটি উইকেটও হারায় তাঁরা। ৫১ বল পর তাঁদের প্রথম বাউন্ডারি এল কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে, মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করে।

জাকের ক্যাচ ছাড়লেন, কামিন্দুকে ফেরালেন তানভীর

শ্রীলঙ্কা: ২৫.৩ ওভারে ১২৭/৫। ২৪.৩ ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ১২২ রান।

শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের অনেক্ষণ ধরেই চাপে রেখেছেন স্পিনাররা। তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় আছেন তাঁরা, আসছে বাউন্ডারিও। এর মধ্যেই স্বাগতিকদের আরও চেপে ধরার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু শামীমের বলে উইকেটের পেছনে কামিন্দু মেন্ডিসের ক্যাচ ছেড়ে দেন জাকের। যদিও তাঁর আক্ষেপটা খুব লম্বা হয়নি। পরের ওভারে এসেই কামিন্দুকে আউট করেছেন তানভীর। এটি এই স্পিনারের তৃতীয় উইকেট।

ব্যর্থ রিভিউ

বল ধরেই জোরালো আবেদন শুরু করেন জাকের আলী। আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি, রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটে নয়, বল লেগেছে লিয়ানাগের প্যাডে।

চাই আর ৪ উইকেট

শ্রীলঙ্কা: ৩১ ওভারে ১৩৭/৬। জয়ের জন্য ১৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ১১২ রান।

তানভীর ইসলাম পেলেন তাঁর চতুর্থ উইকেট। বাংলাদেশের জয়ের জন্যও আর ৪ উইকেট দরকার। তানভীরের বলে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ভেল্লালাগে। কিন্তু তানভীর তাঁর বলের লেন্থ ছোট করে দেন। ঠেকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা ভেল্লালাগের ব্যাট থেকে প্যাড হয়ে যায় উইকেটকিপার জাকেরের গ্লাভসে। ১০ বলে ১ রান করে আউট হয়েছেন ভেল্লালাগে।

তানভীরের উদ্‌যাপন

হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে অবশেষে উইকেট পেলেন মিরাজ

৫ ম্যাচ ধরে ওয়ানডেতে উইকেট নেই মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর এই অপেক্ষার শেষ হলো হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে। তাঁর বলে তুলে মেরেছিলেন হাসারাঙ্গা, কিন্তু তা মিড উইকেটে বাউন্ডারির কাছে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেন তানজিম। ১৬ বলে ১৩ রান করেছেন হাসারাঙ্গা, তাঁর সঙ্গে লিয়ানাগের জুটি ছিল ২৪ রানের। ম্যাচ জিততে আর ৩ উইকেট দরকার বাংলাদেশের।

তানভীরের ৫

হতাশার সময়ে আশা দেখিয়েছিলেন জুটি ভেঙে। এরপরও শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের স্বস্তি দেননি। একে একে পঞ্চম উইকেট পেয়ে গেলেন তানভীর, মাহেশ থিকসেনা তাঁর বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিলে পূর্ণ হয়েছে তা। কোটার শেষ ওভারে উইকেট মেডেন করেছেন তানভীর, ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ১২ বলে ২ রান করে আউট হয়েছেন থিকসেনা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার আর ২ উইকেট।

দলের যখন হারটা প্রায় নিশ্চিত, তখন ডাগ আউটে বসে শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ সনাথ জয়াসুরিয়া হাই তুললেন। তেমন হলে সিরিজ নির্ধারণী পরের ম্যাচের পরিকল্পনাটাও হয়তো মনে মনে সাজিয়ে ফেলছেন!

বাংলাদেশকে ভয় ধরাচ্ছেন লিয়ানাগে

শ্রীলঙ্কা: ৪৫ ওভারে ২১২/৮। জয়ের জন্য ৩০ বলে ৩৭ রান দরকার শ্রীলঙ্কার।

ফিফটি তুলে ফেলেছেন লিয়ানাগে। বাংলাদেশকে ভয়ও ধরাচ্ছেন। হাতে যদিও দুই উইকেট। তবে ৩৬ বলে ৫১ রানের সমীকরণ থেকে হাসান মাহমুদকে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছেন লিয়ানাগে। শেষ ১৭ বলে ৩৩ রান নিয়েছেন তিনি চামিরাকে নিয়ে।

দুর্দান্ত মোস্তাফিজ

ভয় কিছুটা কমালেন মোস্তাফিজুর রহমান। আগের ওভারে ১৪ রান দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। ৩০ বলে ৩৭ রানের সমীকরণ চলে এসেছিল শ্রীলঙ্কার জন্য। তবে পরের ওভারে এসে শুধু একটা ওয়াইড ছাড়া আর কোনো রানই দেননি মোস্তাফিজ। ২৪ বলে এখন দরকার ৩৬ রান।

মোস্তাফিজই ফেরালেন লিয়ানাগেকে

প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেছিলেন। কিন্তু পরের বলে লিয়ানাগেকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজ। ১৭০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর বাংলাদেশের হাতেই ছিল ম্যাচ। কিন্তু লিয়ানাগে ভয় ধরিয়ে দেন, চামিরাকে নিয়ে লড়ে ম্যাচের মোড়ও প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। ৫৩ বলে নবম উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন লিয়ানাগে। একসময় সমীকরণ চলে এসেছিল ১৭ বলে ২১ রানে। তবে লিয়ানাগেকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন মোস্তাফিজ। আর ১ উইকেট দরকার তাঁদের, ২ ওভারে স্বাগতিকদের দরকার ১৯ রান।

সিরিজে সমতা ফিরল

আগের বলেই ক্যাচ ছেড়েছিলেন। পরের বলে তানজিম হাসান বোল্ড করলেন চামিরাকে। ১৬ রানের জয় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের, সিরিজে ফিরল সমতা।

ইনিংসের শুরুতেও আঘাত হেনেছিলেন তানজিমই। এরপর কুশাল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা দারুণভাবে এগোচ্ছিল। এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ম্যাচেে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম— ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের নায়কও তিনি। তানভীরের সঙ্গে মিরাজ–শামীমের ঘূর্ণিতে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরে বাংলাদেশ।

১৭০ রানে ৮ উইকেট তুলে নিলেও শেষদিকে ভয় ধরিয়ে দেন লিয়ানাগে। নবম উইকেটে চামিরাকে নিয়ে ৫৩ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। একসময় ১৭ বলে ২১ রানের সমীকরণে চলে আসে ম্যাচ। চামিরাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন মোস্তাফিজ। শেষে জয়টা নিশ্চিত করেন তানজিম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ (পারভেজ ৬৭, হৃদয় ৫১, তানজিম ৩৩*, জাকের ২৪, শামীম ২২; আসিতা ৪/৩৫, হাসারাঙ্গা ৩/৬০, আসালাঙ্কা ১/২৪, চামিরা ১/৩৭)।

শ্রীলঙ্কা: ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ (লিয়ানাগে ৭৮, মেন্ডিস ৫৬, কামিন্দু ৩৩; তানভীর ৫/৩৯, তানজিম ২/৩৪, শামীম ১/২২, মিরাজ ১/৩৭, মোস্তাফিজ ১/৫৬)।

ফল: বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তানভীর ইসলাম।

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১–১–এ সমতা।

জয়ে শেষ হলো অপেক্ষা

৭ ম্যাচ পর ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ এই সংস্করণে ম্যাচ জিতেছিল তাঁরা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয়ে শ্রীলঙ্কায় এসে জয় পেল বাংলাদেশ।

অধিনায়কত্বের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পাননি, হেরেছেন এক বছরের জন্য দায়িত্ব পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও।

১৩

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৩ ওয়ানডে খেলে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এই মাঠে ১৫ ম্যাচে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়। আগেরটি ছিল ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে।

ম্যাচের পর...

ম্যাচের পর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, ২৪৮ রান তাড়া করা কঠিন ছিল তাঁদের জন্য। তবে ইতিবাচক ভাবনা রেখেছেন। প্রথম ম্যাচ হারার পর ফিরে আসা তাঁদের জন্য কঠিন ছিল, তবে তা তাঁরা করতে পেরেছেন।

সিরিজে এখন ১–১ সমতা। প্রথম ম্যাচ ৭৭ রানে হারের পর আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামী মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। ওই আয়োজনেও থাকবে প্রথম আলোর সরাসরি এই আয়োজন, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!