একজন ব্যাটসম্যান চাইলে সর্বোচ্চ ১১টি ব্যাটিং পজিশনে ব্যাট করতে পারেন। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ একটুর জন্য এই কীর্তি গড়তে পারেননি বলা যায়। তিনি ব্যাটিং করেছেন ৮টি ব্যাটিং পজিশনে।
ওপেন করেছেন তবে কখনো স্ট্রাইক নেননি। এর বাইরে ১০ ও ১১ নম্বরে নামেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে মিরাজ কোন পজিশনে ব্যাট করবেন, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ, এই সিরিজ থেকে ওয়ানডেতে তিনিই যে বাংলাদেশের অধিনায়ক।
মিরাজ তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আট নম্বরে। সবচেয়ে বেশি ব্যাটিংও করেছেন এ পজিশনে। ৩৪ ইনিংসে তাঁর রান ৬৫২। ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটিও এসেছে এই পজিশনে। তবে দলের প্রয়োজনে প্রায়ই ওপরে উঠে আসতে হয়েছে তাঁকে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মিরাজের অন্য সেঞ্চুরিটি এসেছে ওপেনিংয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০২৩ এশিয়া কাপে ওপেন করে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। মিরাজ সেই এশিয়া কাপেই ভারতের বিপক্ষে ৫ নম্বরে ব্যাটিং করেন। এশিয়া কাপের পরই হয়েছিল বিশ্বকাপ, সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মিরাজকে আবার তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে এমন ওঠানামার মধ্যেই থেকেছেন এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার।
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহরা তখন ওয়ানডে দলে ছিলেন। এখন তাঁরা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই মিরাজের ওপরে ব্যাটিং করতে হবে।
ধারাবাহিকতার একটা ছাপও এসেছে মিরাজের ব্যাটিংয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে চারে ব্যাট করেন মিরাজ। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করেছেন তিনে।
তানজিদের সঙ্গে ওপেনিং কে করবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। দলে ফেরা লিটন দাস বা মোহাম্মদ নাঈম নাকি পারভেজ হোসেন? নাজমুল হোসেনও হাত তুলতে পারেন। নিজেদের সর্বশেষ ওয়ানডেতে যে ওপেনিংয়ে নেমে ৭৭ রান করেছেন নাজমুল। মিরাজের ব্যাটিং অর্ডার তাই লিটন-নাজমুলদের ওপরও নির্ভর করছে।
গড় ও স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় ওপেনিংয়েই মিরাজ ভালো। ৪ ম্যাচ খেলে ৮২ স্ট্রাইক রেটে ১৭২ রান করেছেন। চার নম্বরে করেছেন ৮ ম্যাচে ২৭৬ রান। স্ট্রাইক রেট মাত্র ৬৮.১৪। অধিনায়ক হয়ে মিরাজ নিজের স্থায়ী ব্যাটিং পজিশন চাইতেই পারেন। আবার এটাও হতে পারে যে এমন ওঠানামাতেই তাঁর আনন্দ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগামীকাল শুরু হচ্ছে কলম্বোয়। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায়।