১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস যখন ৬০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারাল, ইডেন গার্ডেনের দর্শকদের মনে তখন বইতে লাগল স্বস্তির সুবাতাস। সুনীল নারাইন যে তখনো বোলিংয়ে আসেননি!
নারাইনের মহামূল্যবান ৪ ওভার বহুবার ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আজ তাঁর সব ওভার বাকি থাকায় সমর্থকেরা কলকাতার নাইট রাইডার্সের জয় সময়ের ব্যাপার বলেই ধরে নিয়েছিলেন।
কিন্তু ‘বেবি এবি’ বোধহয় রাতটা নিজের করে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামলেন। এবি ডি ভিলিয়ার্সকে শুধু অনুসরণ নয়; হুবহু অনুকরণ করেন বলে তাঁকে ডাকা হয় এই নামে।
সেই ডেভাল্ড ব্রেভিস ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন। চারটি করে চার ও ছক্কায় চেন্নাইকে উপহার দিলেন ২৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেলেন ইমপ্যাক্ট বদলি নামা শিবম দুবে। আর শেষ ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনির ঠান্ডা মাথার ফিনিশিং।
ব্যস, কলকাতার দেওয়া লক্ষ্যটা ২ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখে টপকে গেল চেন্নাই। ২০১৯ আইপিএলের পর প্রথমবারের মতো দলটি ১৮০ রান তাড়া করে জিতল। প্লে–অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে পড়া ধোনিদের জন্য এই ম্যাচ নিছক আনুষ্ঠানিকতার হলেও রাসেল–নারাইনের জন্য ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, প্লে–অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে কলকাতাকে ম্যাচটা জিততে হতো। আজ হারের পর সেই সম্ভবনা জিইয়ে রইল শুধুই কাগজে–কলমে; অর্থাৎ অনেক ‘যদি–কিন্তু’র হিসাব মেলানোর ওপর। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও হয়তো প্লে–অফে ফেলা হবে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতার।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৭৯/৬
(রাহানে ৪৮, রাসেল ৩৮, পান্ডে ৩৬, নারাইন ২৬; নুর ৪/৩১, জাদেজা ১/৩৪, কম্বোজ ১/৩৮)।
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৯.৪ ওভারে ১৮৩/৮
(ব্রেভিস ৫২, দুবে ৪৫, উরভিল ৩১, জাদেজা ১৯, ধোনি ১৭*; অরোরা ৩/৪৮, বরুণ ২/১৮, হর্ষিত ২/৪৩, মঈন ১/২৩)।
ফল: চেন্নাই সুপার কিংস ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নুর আহমেদ।