
আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
রোমাঞ্চকর এই ফাইনাল শুরু হতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। ক্রিকেট বিষয়ক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, ফাইনালের ভেন্যু নাবি মুম্বাইয়ে এখনো চলছে বৃষ্টি। এখন পর্যন্ত টসও হয়নি।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। যদি আজ বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে, তাহলে ম্যাচ কাল একই অবস্থা থেকে পুনরায় শুরু হবে।
সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার আগে খেলা শুরু করা গেলে ওভার কমানো হবে না।
কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচের জন্য খেলা শুরুর শেষ সময় রাত ৯.৩৮ মিনিট। তখনও খেলা শুরু করা না গেলে ম্যাচ যাবে রিজার্ভ ডে তে।
মেঘলা আকাশের কথা মাথায় রেখে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা ভলভার্ট।
বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৫টায় শুরু হবে খেলা। আবারও বৃষ্টি বাধা না হলে খেলা হবে পুরো ৫০ ওভারই।
শেফালি বর্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমাইমা রদ্রিগেজ, হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), রিচা ঘোষ (উইকেটকিপা), দীপ্তি শর্মা, আমানজোত কৌর, রাধা যাদব, ক্রান্তি গৌড়, শ্রী চরণী ও রেনুকা সিং।
লরা ভলভার্ট (অধিনায়ক), তাজমিন ব্রিটস, আনিকা বশ, সুনে লুস, মারিজান কাপ, আনেরি ডের্কসেন, সিনালো জাফতা (উইকেটকিপার), ক্লোয়ি ট্রাইওন, নাদিন ডি ক্লার্ক, আয়াবঙ্গা খাকা ও ননকুলুলেকো এমলাবা।
বিশ্বকাপ ফাইনালে দারুণ শুরু করেছে ভারত। নাবি মুম্বাইয়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটি প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকেরা। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৪রান তুলেছে দলটি। স্মৃতি মান্ধানা ২৭ রানে ও শেফালি বর্মা ২৯ রানে ব্যাট করছিলেন।
শেফালি বর্মা নাকি স্মৃতি মান্ধানা, কে আগে ফিফটি করবেন? ভারতীয় সমর্থকেরা নিশ্চয় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন।
তবে সমর্থকদের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হলো না। শেফালি ফিফটি পেলেও ৫ রান দূরে থাকতে আউট হলেন মান্ধানা।
এর আগে দুজন মিলে গড়েছেন রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন শেফালি–মান্ধানার ১০৪ রানই উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ। সব ফাইনাল মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ ১৬০ রানের রেকর্ডটা অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলি ও র্যাচেল হেইন্সের, ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে।
ভারত: ২৮ ওভারে ১৬৬/২
৫৬ রানে থাকতে জীবন পেয়েছিলেন শেফালি বর্মা। ডিপ মিড উইকেটে তাঁর দেওয়া সহজ ক্যাচটা ছেড়ে দেন আনেকে বশ।
জীবন পাওয়ার পর বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট করছিলেন শেফালি। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে দ্বিতীয়বার ক্যাচ তুলে দিয়ে পার পেলেন না ভারতীয় ওপেনার। ধরা পড়লেন সুনে লুসের হাতে।
আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৮ বলে ৮৭ রান করলেন শেফালি।
এখন ব্যাটিংয়ে সেমিফাইনালে বীরত্ব দেখানো জেমাইমা রদ্রিগেজ ও অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
ভারত: ৩০ ওভারে ১৭২/৩
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অপরাজিত ছিলেন ১২৭ রানে। তাঁর ওই ইনিংসের সুবাদে মেয়েদের ওয়ানডেতে রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত।
তবে ফাইনাল বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না জেমাইমা রদ্রিগেজ। দক্ষিণ আফ্রিকার আইয়াবোঙ্গা খাকার বলে কাভারে লরা ভলভার্টকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে ২৪ রান করলেন জেমাইমা। তাঁর ইনিংসে বাউন্ডারি মাত্র একটি।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কত রানের লক্ষ্য দিতে ভারত কে জানে! তবে আজকের ফাইনালটি আগের ইতিহাস মেনে চললে জয়ের জন্য যথেষ্ট রান তুলে ফেলেছে ভারত। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে এর আগে ১৬৭ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁয়ে জিততে পারেনি কোনো দল। তবে রেকর্ড মানেই তো ভাঙা–গড়ার খেলা। নাবি মুম্বাইয়ে আজ নতুন রেকর্ডই গড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মা দারুণ শুরু এনে দেওয়ার পর ভারত হারিয়েছে ৪ উইকেট। সর্বশেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন হারমানপ্রীত কৌর। ভারত অধিনায়ক ২৯ বলে করেছেন ২০ রান, এমলাবার বলে বোল্ড হয়েছেন দলীয় ২২৩ রানে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন আরেক কৌর, আমানজোত। তাঁর সঙ্গী দীপ্তি শর্মা ফিফটির কাছাকাছিই আছেন।
ভারত: ৪৪ ওভারে ২৫৩/৫
হারমানপ্রীতের পর গেলেন আমানজোত কৌরও। ৪৪তম ওভারে নাদিন ডি ক্লার্ককে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন আমানজোত। ১৪ বলে ১২ রান করেছেন এই ব্যাটার। আউট হয়েছেন দলকে ২৪৫ রানে রেখে। ওই ওভারেই ২৫০ পেরিয়েছে ভারত। আমানজোত ফেরার ২ বল পরেই বিশাল এক ছক্কা মেরে দলকে এই মাইলফলক পাড় করিয়েছেন রিচা ঘোষ।
৪৮ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান তুলেছে ভারত। নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ৩০০ রান করার দ্বিতীয় উদাহরণ গড়তে শেষ দুই ওভারে ১৪ রান দরকার ভারতের। ২০২২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬৫ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
রিচা ঘোষ ২০ বলে ৩৩ ও দীপ্তি শর্মা ৫৩ বলে ৫০ রান করে ব্যাট করছিলেন।
৩০০ করতে পারল না ভারত। ৭ উইকেটে ২৯৮ রান তুলে ইনিংস শেষ করেছে দলটি। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
নারী ওয়ানডের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই এত বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। দলটি সর্বোচ্চ ২৭৫ রান তাড়া করে জিতেছে। তবে ২০২২ বিশ্বকাপের সেই জয়টিই অনুপ্রেরণা হতে পারে দলটি। ক্রাইস্টচার্চে সেই ম্যাচে দলটির প্রতিপক্ষ ছিল এই ভারতই। দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়টিও ভারতের বিপক্ষে। ২০২১ সালে লক্ষ্ণৌয়ে ২৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ভারতকে হারিয়েছিল দলটি।
টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া ভারতকে দারুণ শুরু এনে দেন স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মা। ১৭.৪ ওভারের দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৪ রান। ৫ রানের জন্য ফিফটি পাননি স্মৃতি। তবে প্রতীকা রাওয়ালের চোটে কারণে দলে ঢোকা শেফালি ফিরেছেন ওয়ানডেতে নিজের সর্বোচ্চ ৮৭ রান করে। সেটিও মাত্র ৭৮ বরে।
ভারতের ইনিংসে দ্বিতীয় ফিফটিটি দীপ্তি শর্মার। ৫৮ বলে ৫৮ রান করে ভারতের ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ২৪ বলে ৩৪ রান করেছেন রিচা ঘোষ।
ভারত কি পারবে এই রান করে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে, নাকি রান তাড়ায় দারুণ কিছু করে প্রথমবার ট্রফি হাতে তুলবে দক্ষিণ আফ্রিকা?
ভারত: ৫০ ওভারে ২৯৮/৭ (শেফালি ৮৭, দীপ্তি ৫৮, স্মৃতি ৪৫, রিচা ৩৪, জেমাইমা ২৪; খাকা ৩/৫৮, ট্রাইঅন ১/৪৬, এমলাবা ১/৪৭, ডি ক্লার্ক ১/৫২)।
২৯৯ রানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য ছুঁতে নেমে ভালো শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার লরা ভলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস ৯ ওভারে দলকে ৫১ রান এনে দিয়েছেন। ব্রিটস ২৩ ও ভলভার্ট ২৪ রানে ব্যাট করছিলেন।
ভাঙল দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটি। রেনুকা সিংয়ের করা ১০ম ওভারের তৃতীয় বলটা মিড অনে ঠেলেই ১ রান নিতে চেয়েছিলেন তাজমিন ব্রিটস। আমানজোত কৌরের সরাসরি থ্রো ভেঙে দেয় নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট। ৫১ রানে প্রথম উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৩ রান করেছেন ব্রিটস।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৩ ওভারে ৬৯/২
ভালো শুরুর পর দ্রুত ২ উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ম ওভারে তাজমিন ব্রিটস রানআউট হওয়ার পর দ্বাদশ ওভারে আউট আনিকা বশ। শ্রী চরণির বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে কোনো রান করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডাউন ব্যাটার। ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল দলটি।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১১৩/২
তিন ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা হয়ে টিকে আছেন অধিনায়ক লরা ভলভার্ট। ফিফটি পেয়ে গেছেন দলের সেরা এই ব্যাটার। দক্ষিণ আফ্রিকাও পেরিয়ে গেছে ১০০ রানের মাইলফলক। তাঁকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছেন চার নম্বর ব্যাটসম্যান সুনে লুস।
চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ ৩০ ওভারে ১৮৬ রান করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করার পর বল হাতেও ভারতকে উইকেট এনে দিলেন শেফালি বর্মা। ২১তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই দ্বিতীয় বলে সুনে লুসের ফিরতি ক্যাচ নিয়েছেন শেফালি। ৩১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ার এই খন্ডকালীন অফ স্পিনারের এটি মাত্রই দ্বিতীয় উইকেট।
লুস ফিরেছেন ৩১ বলে ২৫ রান করে দলকে ১১৪ রানে রেখে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে। যাওয়ার আগে অধিনায়ক লরা ভলভার্টকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫১ বলে ৫২ রান যোগ করেছেন লুস।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৩ ওভারে ১২৪/৪
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট পেলেন শেফালি বর্মা। মারিজান কাপকে উইকেটকিপার রিচা ঘোষের ক্যাচ বানিয়ে দলকে চতুর্থ উইকেট এনে দিয়েছেন এই অফ স্পিনার। ওয়ানতে ক্যারিয়ারে এই প্রথম এক ম্যাচে একাধিক উইকেট পেলেন শেফালি। ১২৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির ভরসা হয়ে এখনো টিকে আছেন অধিনায়ক লরা ভলভার্ট (৬৫*)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩০ ওভারে ১৫০/৫
অধিনায়ক লরা ভলভার্টকে এক পাশে রেখে একের পর এক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ফিরে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গেলেন সিনোলা জাফটা। ৩০তম ওভারে দীপ্তি শর্মার বলে রাধা যাদবকে ক্যাচিং প্র্যাকটিস করিয়েছেন জাফটা।
১৪৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭২ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত আছেন ভলভার্ট।
১২০ বলে ১৪৯ রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার।
শেষ ১৫ ওভারে ১১৬ রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার। দলটির হাতে আছে ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করতে এখনো ভরসা হয়ে আছেন লরা ভলভার্ট। ইনিংস ওপেন করা অধিনায়ক ৮৬ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত আছেন। তাঁর সঙ্গী আনিরা ডার্কসেন ১৯ বলে করেছেন ২৩ রান।
আনেরি ডার্কসেনকে বোল্ড করে ভারতকে ষষ্ঠ উইকেট এনে দিয়েছেন দীপ্তি শর্মা। ২০৯ রানে ৬ উইকেট হারাল আফ্রিকানরা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করেছেন ডার্কসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪০ ওভারে ২১১/৬
অস্ট্রেলিয়া অ্যালিসা হিলির পর নারী বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি পেয়েছেন লরা ভলভার্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ৪০তম ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক। নারী ওয়ানডেতে বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি পাওয়া চতুর্থ খেলোয়াড় ভলভার্টের এটি এই সংস্করণে একাদশ সেঞ্চুরি।
৬০ বলে ৮৮ রান দরকার ভলভার্টদের।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪২ ওভারে ২২১/৮
লরা ভলভার্ট ক্যাচ তুলেছেন, সেই ক্যাচ কি ছাড়া যায়! আমানজোত কৌরও ছাড়েননি। তবে ক্যাচটি নেওয়ার আগে ভারতীয় সমর্থকদের হৃৎযন্ত্রের বড় পরীক্ষাই নিয়েছেন আমানজোত। তিন–তিনবারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ক্যাচটি নিতে পেরেছেন। ভলভার্ট ফিরেছেন ৯৮ বলে ১০১ রান করে দলকে ২২০ রানে রেখে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে।
ওই ওভারেই তিন বল পরেই স্কোরটা ২২১/৮ হয়ে গেছে। দীপ্তি শর্মা এলবিডব্লু করেছেন ক্লোয়ি ট্রাইঅনকে। ভারতীয় অফ স্পিনারের এটি চতুর্থ উইকেট।
৮ ওভারে ৭৮ রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার।
সহজ দুটি ক্যাচ মিস করলেও দুর্দান্ত এক রানআউট করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছেন ভারতের ফিল্ডার। শর্ট থার্ডম্যান থেকে দীপ্তি শর্মার থ্রো ধরে উইকেটকিপার রিচা ঘোষ আউট করেছেন আয়াবঙ্গা খাকাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। নাবি মু্ম্বাই বা নতুন মুম্বাইয়েই নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পর চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্ককে এক্সট্রা কাভারে হারমানপ্রীত কৌরের ক্যাচ বানিয়ে ভারতকে জয়ে এনে দিয়েছেন দীপ্তি শর্মা। ভারতীয় অফ স্পিনারের এটি পঞ্চম উইকেট।
ভারত ২৯৮ রান করার পরই মূলত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হতে অবিশ্বাস্যইকিছুই করতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অধিনায়ক লরা ভলভার্টের ব্যাটে সেই স্বপ্নই দেখছিল দলটি। অন্য পাশে নিয়মিত উইকেট পতন হলেও ভলভার্ট পথের কাঁটা হয়ে ছিলেন ভারতের। ৪২তম ওভারে তিনবারের চেষ্টায় ক্যাচ নিয়ে সেই কাঁটা উপরে ফেলেন আমানজোত কৌর। এরপর দ্রুতই দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করেছে ভারত। সেঞ্চুরি করেও শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ভলভার্টকে।
ভারত: ৫০ ওভারে ২৯৮/৭ (শেফালি ৮৭, দীপ্তি ৫৮, স্মৃতি ৪৫, রিচা ৩৪, জেমাইমা ২৪; খাকা ৩/৫৮, ট্রাইঅন ১/৪৬, এমলাবা ১/৪৭, ডি ক্লার্ক ১/৫২)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ (ভলভার্ট ১০১, ডার্কসেন ৩৫, লুস ২৫, ব্রিটস ২৩; দীপ্তি ৫/৩৯, শেফালি ২/৩৬)।
ফল: ভারত ৫২ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল: শেফালি বর্মা
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: দীপ্তি শর্মা