ক্রিকেটে অবদানের জন্য নাইটহুড উপাধি পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের জিমি অ্যান্ডারসন। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই বোলার টেস্ট ইতিহাসে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক। তবে জাতীয় দলকে বিদায় বললেও এখনো ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ল্যাঙ্কারশায়ারে খেলেন।
যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীরা বিভিন্ন অঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নাইট প্রস্তাব করে যেতে পারেন, যা রাজা অনুমোদন করেন। গত নভেম্বরে পদত্যাগ করা ঋষি সুনাকের তালিকায় আছেন অ্যান্ডারসন।
২০০২ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্ডারসন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা রাখেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে। তবে ইংল্যান্ড তাঁকে সবচেয়ে বেশি মনে রাখবে টেস্টের জন্য।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে অবসর নেওয়ার আগে ১৮৮টি টেস্ট, ১৯৪ ওয়ানডে ও ১৯ টি-টোয়েন্টি খেলেন অ্যান্ডারসন। এর মধ্যে টেস্টে নিয়েছেন ৭০৪ উইকেট, যা টেস্টে কোনো পেসারের সর্বোচ্চ। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় তাঁকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ঋষি সুনাকের ‘রেজিগনেশন অনার্স লিস্ট’-এ একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে অ্যান্ডারসনের নাম আছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে নাইটহুড পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু স্ট্রস, অ্যালিস্টার কুক, জিওফ বয়কট, ইয়ান বোথামসহ অনেকেই।
অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান, নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডসরাও ভূষিত হয়েছিলেন নাইটে। এই উপাধি পাওয়ার ব্যক্তির নামের আগে ‘স্যার’ যুক্ত হয়।