
তাঁকে মাঠে যেমন আক্রমণাত্মক দেখা যায়, বাইরে তেমন নন। বিরাট কোহলিকে নিয়ে কথাটা অনেকবার অনেকেই বলেছেন।
পুরোনো সেই কথাই আজ আবার বললেন লিটন দাস। দিনটিতে অবশ্য দুজন দাঁড়িয়ে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে—লম্বা সময়ের জন্য প্রথমবার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার পর মিরপুরে প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন লিটন, অন্যদিকে কোহলি ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট থেকে অবসরের।
কোহলির এ সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে কিছুটা হলেও বিস্ময়ের। বয়স এখনো ৩৬, বিশ্বের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার। সামনে অনেক রেকর্ডের হাতছানি, এমন অবস্থায় কিনা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আর মাঠে নামবেন না।
কোহলির অবসরের খবরটা কি বিস্ময়ের ছিল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটনের জন্য? আজ মিরপুরে আমিরাত সফর–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে লিটনের উত্তর, ‘এই অধিকার সবারই আছে যে কোন সময়টা তারা ক্রিকেট খেলবে, কোন সময়টা খেলবে না। তিনি যথেষ্ট পরিণত। তাঁর সিদ্ধান্তকে আমার প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাঁর সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই।’
তবে কোহলি তো আর পাঁচজন সাধারণ ক্রিকেটারের মতো নন। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের বাইরেও একটা ছাপ রেখে যাচ্ছেন তিনি। এই সংস্করণে খেলার ধরনে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে এসেছেন। ১২৩ টেস্টের মধ্যে ৬৮টিতেই খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে, জয় ৪০টিতে। ৩০ সেঞ্চুরি আর ৯২৩০ রান তো আছেই।
কোহলির কীর্তি স্মরণ করে লিটন বলেছেন, ‘সে যা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, সেটা শুধু ভারতের জন্য নয়। টেস্ট সংস্করণকে অনেকখানি আক্রমণাত্মক করেছে। তার আচরণ বলেন, ক্রিকেটের জ্ঞান বলেন, এ রকম একজন খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেট খেলবে না!’
ভবিষ্যতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামলে কোহলি থাকবেন না বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শিবিরে। এতে খুশি হওয়ার কথা বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারেরই।
কিন্তু কোহলির প্রতি সম্মান জানাতেই কি না, লিটন বললেন, ‘একটা সময় তো সব খেলোয়াড়কেই অবসরে যেতে হয়, কিন্তু যদি আমি কখনো ভারতের সঙ্গে খেলি, আমি অবশ্যই মিস করব (কোহলিকে), যেহেতু আমি অনেক দিন খেলেছি।’
সেই অভিজ্ঞতা থেকে মাঠের বাইরের কোহলি সম্পর্কেও জানালেন বাংলাদেশ দলের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘সে অনেক ভদ্র। মাঠের মধ্যে অনেক সময় অনেক আক্রমণাত্মক মনে হয়। কিন্তু সেটা শুধু ক্রিকেটের জন্যই করে। মাঠের বাইরে অনেক ভালো একজন মানুষ। অনেক কথোপকথনই হয়েছে (কোহলির সঙ্গে)।’