দ্বিতীয় দিনের শেষটা ভালোই করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আজ শেষ বিকেলে ম্নান আলোতে ২৩ ওভার ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১০ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও জন ক্যাম্পবেল।
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে। দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে। কিং ৫৫ রানে ও ক্যাম্পবেল ৪৫ রানে অপরাজিত আছেন।
নিউজিল্যান্ড প্রায় দুই ঘণ্টা সময় পেয়েছিল। তবে জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফোকসদের বেশ সাবলীলভাবে খেলেছেন কিং ও ক্যাম্পবেল। কিংয়ের ফিফটি আসে মাত্র ৬২ বলে, যেখানে ছিল ৯টি চার। ক্যাম্পবেলের ৪৫ রান আসে ৬০ বলে, ইনিংসে ছিল ৭টি চার। বেশ ইতিবাচক ক্রিকেটই খেলেছেন তাঁরা। দারুণ ব্যাটিং করা ক্যাম্পবেল ভুগছেন চোটে।
ম্যাচের আগে নেটে অনুশীলনের সময় ডান হাতে আঘাত পান ক্যাম্পবেল। সেই চোট নিয়েই তিনি ব্যাট করতে নামেন। চোটে জর্জর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অন্য কোনো বিকল্প থাকলে, হাতে তীব্র ফোলা ও ব্যথার কারণে ক্যাম্পবেল হয়তো এই টেস্টে বসেই থাকতেন। এ ছাড়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভোগা কেমার রোচ ব্যাট করতে পারবেন কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। দলের প্রধান ব্যাটসম্যান শাই হোপ অসুস্থ থাকায় শুক্রবার টিম হোটেলেই ছিলেন।
দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রিভস বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও দিনটি তাদের জন্য ইতিবাচক ছিল, ‘গতকাল আমাদের বাজে দিন গেছে, তবে আজ ৮ উইকেট নিয়েছি, আমাদের ছেলেরা অসাধারণ লড়াই করেছে। কেমার রোচ না থাকায় আজ সবাইকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে।’
নিউজিল্যান্ড দিন শুরু করেছিল ১ উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে। বাঁহাতি ওপেনার ডেভন কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ১৭৮ রানে। তিনি খেলেন ২২৭ রানের ইনিংস ২০২১ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির পর এটি তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে গতকাল ১৩৭ রানে আউট হয়েছিলেন টম ল্যাথাম। আজ ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন রাচিন রবীন্দ্র।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিনজন বোলার দুটি করে উইকেট নেন। গ্রিভস ছিলেন সবচেয়ে সফল, ২৯ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ২ উইকেট। জেইডেন সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপিও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে রাচিন রবীন্দ্র দিন শেষে বলেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে আমরা খুশি। ডেভ অসাধারণ ইনিংস খেলেছে, ডেভ ও টমিই মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসেই এমন বড় স্কোর করে ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া সত্যিই বিশাল সাফল্য।’
নিউজিল্যান্ড: ১৫৫ ওভারে ৫৭৫/৮ (কনওয়ে ২২৭, ল্যাথাম ১৩৭; গ্রিভস ২/৮৩, সিলস ২/১০০)।ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৩ ওভারে ১১০/০ (কিং ৫৫*, ক্যাম্পবেল ৪৫*; ডাফি ০/৩৭, ফোকস ০/৩৯)।(দ্বিতীয় দিন শেষে)।