
ঋষভ পন্ত নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু যে লক্ষ্যে পারফর্ম করেন, সেটিই যে অর্জিত হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর করা প্রতিটি সেঞ্চুরির ম্যাচে জয়হীন থেকেছে ভারত।
হ্যাঁ, পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত এ কথাই বলছে। যা নিয়ে পন্ত মন খারাপ করতেই পারেন। তবে নিজে যা করেছেন, তাতে অবশ্য ক্ষতে প্রলেপ পড়তে পারে।
এই যেমন সর্বশেষ হেডিংলি টেস্টের কথা চিন্তা করুন। ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮। দুই ইনিংসের মধ্যে কম স্ট্রাইক রেট ছিল প্রথম ইনিংসে, সেটিও ৭৫.২৮।
বুঝতেই পারছেন, দাপট কতটা দেখিয়েছেন। কিন্তু দিন শেষে সেই পরাজিতদের দলে। ভারতের ৩৭১ রানের লক্ষ্য ইংল্যান্ড তাড়া করেছে ৫ উইকেট হাতে রেখে।
ইংল্যান্ডে এর আগে পন্ত টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২২ সালে, বার্মিংহামের এজবাস্টনে। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৪৬, পরের ইনিংসে ৫৭।ভারত ইংল্যান্ডকে লক্ষ্য দিয়েছিল বেশ বড়, ৩৭৮ রান। সেই রানও ইংলিশরা তাড়া করেছে ৭ উইকেট হাতে রেখে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে যা তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আর গতকাল ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছে। ব্যাট হাতে দুই ম্যাচেই পন্ত যা করার করেছেন। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের বোলাররা। তার ফল হার।
২০২২ সালে কেপটাউন টেস্টে পন্ত আরও বড় দুর্ভাগ্যের স্বীকার হন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন পন্ত। দলের ১৯৮ রানের মধ্যে একাই করেন ১০০। ভারত সেই ম্যাচও হারে ৭ উইকেটে।
পন্তের ক্যারিয়ার–সেরা ১৫৯ রানের ম্যাচটিতে ভারত জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু সেবার বাদ সাধে বৃষ্টি । ২০১৯ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টেস্টে ভারত প্রথম ইনিংসে তোলে ৬২২ রান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে অলআউট হওয়া অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ রান করে। প্রবল বর্ষণের কারণে শেষ দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
২০১৮ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি সেঞ্চুরি করেন পন্ত। সেই ম্যাচে ভারতের লক্ষ্য ছিল ৪৬৪ রান। পন্তের সেঞ্চুরির পরও ভারত অলআউট হয় ৩৪৫ রানে। ইংল্যান্ড জেতে ১১৮ রানে।