আইএল টি-টোয়েন্টিতে ভালোই ছন্দে তাসকিন আহমেদ। গত পরশু দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়া তাসকিন কাল ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে নিয়েছেন ২ উইকেট। ইকোনমি রেট বিবেচনায় কালকের রাতটাই অবশ্য সবচেয়ে ভালো কেটেছে তাসকিনের।
তাসকিন এ ম্যাচে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আউট করেছেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামান ও হাসান নেওয়াজকে। তাসকিনের এমন নৈপূণ্যের দিনে অবশ্য ৬ উইকেটে হেরেছে তাঁর দল শারজা ওয়ারিয়র্স।
দুবাইয়ে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া শারজা ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৫ রান করেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান টম অ্যাবল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথান ডিসুজার ১৮। অন্য কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি।
পুঁজি অল্প হওয়ায় শারজার শুরুতেই একাধিক উইকেট দরকার ছিল। তাসকিন বোলিংয়ে আসেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। দ্বিতীয় বলেই ফখরকে ক্যাচ বানান (৬ বলে ৬ রান)। তাসকিন নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হাসানকেও (১১ বলে ১০)। স্বল্প রান তাড়ায় ভাইপার্স ২০ রানে হারায় ২ উইকেট। তবে লক্ষ্য বড় না হওয়ায় পরের ব্যাটসম্যানরা তাড়াহুড়া করেননি।
অধিনায়ক স্যাম কারেন ৩৭ রান করলে অনেকটাই সহজ হয়ে যায় ভাইপার্সের জয়।
টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে এটি ভাইপার্সের সপ্তম জয়। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারাই আছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। তাসকিনের দল ৭ ম্যাচে জিতেছে ২টি, আছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচ খেলে তাসকিন উইকেট নিয়েছেন ৬টি।
চলতি বছরটা সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের ভালোই কাটছে। এখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচ খেলে তিনি উইকেট নিয়েছেন ৫২টি। বাংলাদেশের দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে এরচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। রিশাদের উইকেটে ৫৫টি, মোস্তাফিজের ৫৩টি।