বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ২য় ওয়ানডেতে স্বাগতম। আবুধাবিতে আজ সিরিজে টিতে থাকার লড়াই বাংলাদেশের। ৮ অক্টোবর একই ভেন্যুতে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ‘স্বাগতিক’ আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন তিনি। টসে হারা বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন টসে জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন।
দুটি পরিবর্তন নিয়ে আজ একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ নেই আজ। তাঁদের পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী, নুরুল হাসান, তানজিম হাসান, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকউল্লাহ আতাল, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, এএম গজনফর, নানগেয়ালিয়া খারোতি ও বশির আহমেদ।
আফগানিস্তান: ১ ওভারে ৪/০
প্রথম তিন বলে কোনো রান দেননি পেসার তানজিম হাসান। শেষ তিন বলে ৪ রান নিয়েছে আফগানরা।
আফগানিস্তান: ৫ ওভারে ১৮/১
তানজিম হাসানের করা পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলটি ছিল শর্ট। লাফিয়ে ওঠা বলটি খেলার লোভ সামলাতে পারেননি রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি। ফল, ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ জাকের আলীর হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট। ১টি করে চার–ছক্কায় ১১ বলে ১১ রান করেছেন গুরবাজ।
আফগানিস্তান: ৭ ওভারে ২৮/১
প্রথম সাত ওভারে আফগানদের ডানা মেলতে দেয়নি বাংলাদেশের দুই পেসার তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। গুরবাজকে ফেরানো তানজিম ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান। মোস্তাফিজ ৩ ওভারে দিয়েছেন ৯ রান।
অষ্টম ওভারে প্রথমবার স্পিন এনেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ওভারটা। নবম ওভারে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
আফগানিস্তান: ৯ ওভারে ৪২/২
নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়ে গেলেন তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনার নবম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরিয়েছেন সেদিকউল্লাহ আতালকে। লং অনে ক্যাচটি নিয়েছেন তানজিম হাসান। ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল আফগানিস্তান। ১৩ বলে ৮ রান করেছেন আতাল।
ব্যাটিংয়ে নেমেছেন রহমত শাহ।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকুল্লাহ আতাল আউট হয়ে গেছেন। এরপর আফগানিস্তানের ইনিংসের হাল ধরেছেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। আফগানিস্তানের রান পঞ্চাশ পেরিয়েছে। ২১ বলে রহমত আর ইব্রাহিমের জুটি এখন ১৭ রানের।
ব্যথাটা পেয়েছিলেন রান নেওয়ার সময়। এরপর মাঠেই শুশ্রুষা নিলেও কাজ হয়নি। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়ে গেছেন ফিজিওর সঙ্গে। উইকেটে এসেছেন হাশমাতুল্লাহ শহীদি।
আফগানিস্তান : ১৫ ওভারে ৬৫/২
তৃতীয় উইকেট পেল বাংলাদেশ। আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে বোল্ড করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল আফগানরা। বলটাকে উইকেটে টেনে আনা শহীদি ১২ বলে করেছেন ৪ রান।
আফগানিস্তান: ১৯ ওভারে ৮১/৪
১৮তম ওভারে হাশমতউল্লাহ শহীদিকে বোল্ড করেছেন মিরাজ। পরের ওভারের চতুর্থ বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানিয়েছেন রিশাদ হোসেন। স্লিপে ক্যাচ দেওয়া ওমরজাই ফিরেছেন শূন্য রানে।
ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ নবী।
আফগানিস্তান: ২৩ ওভারে ৯১/৪
৩৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম বারের মতো ৫০ পেরোলেন আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ৫০ ছাড়ানো প্রথম ১৩ ইনিংসে ছয়বারই সেঞ্চুরি পেয়েছেন জাদরান।
আজ ৭০ বলে ফিফটি ছোঁয়া জাদরানের বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ৫০ ছাড়ানো ইনিংস।
আফগানিস্তানের জার্সিতে ১০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন জাদরান।
আফগানিস্তান: ২৬ ওভারে ১০১/৪
২৫.২ ওভারে ১০০ ছুঁয়েছে আফগানিস্তান। আবুধাবিতে আজ আফগানরা প্রথম ৫০ পেয়েছিল ১১.৩ ওভারে। ব্যাট করছেন ফিফটি পেয়ে যাওয়া ইব্রাহিম জাদরান, তাঁর সঙ্গী মোহাম্মদ নবী।
আফগানিস্তান: ৩০ ওভারে ১২৬/৫
কাভারে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে মোহাম্মদ নবীকে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বোলারের নাম তানজিম হাসান। এই পেসারের এটি দ্বিতীয় উইকেট। ১১৮ রানে পঞ্চম উইকেটে হারাল আফগানিস্তান। ৩০ বলে ২২ রান করেছেন নবী।
আফগানিস্তান: ৩৬ ওভারে ১৫০/৫
মোহাম্মদ নবীর বিদায়ের পর নানগেইয়ালা খারোতের সঙ্গেও ৩০ পেরোনো জুটি গড়ে ফেলেছেন ইব্রাহিম জাদরান। জাদরান ৮১ রানে ব্যাট করছিলেন।
আফগানিস্তান: ৩৮ ওভারে ১৫৭/৭
৩৮তম ওভারের প্রথম বলে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। কিন্তু তানজিম হাসানের সরাসরি থ্রো ভেঙে দেয় নন স্ট্রাইকার প্রান্তের উইকেট। রানআউট খারোতে। আফগানরা ১৫৪ রানে হারাল ষষ্ঠ উইকেট।
আফগানিস্তান: ৩৯ ওভারে ১৬০/৭
মেহেদী হাসান মিরাজের করা ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়েছেন নানগেইয়ালা খারোতে। আর ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন রশিদ খান। বল ব্যাট ছোঁয়ার পর বাম্প করেছে কিনা সেটি দেখে আউট নিশ্চিত করেছেন টিভি আম্পায়ার। পয়েন্ট ক্যাচটি নিয়েছেন তানভীর ইসলাম। রশিদ করেছেন ১ রান।
আফগানিস্তান: ৪২ ওভারে ১৮৩/৭
মোস্তাফিজের করা ৪১তম ওভারে ১৬ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ১৫ রানই করেছেন এএম গজনফর। ২টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন আগের ওভারে ক্যাচ তুৃলেও রিশাদের সৌজন্যে বেঁচে যাওয়া গজনফর।
আফগানিস্তান: ৪৪ ওভারে ১৮৮/৮
ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। সেটি করতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের করা ৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডিপ মিউউইকেটে রিশাদ হোসেনের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়েছেন জাদরান। লাফিয়ে উঠে ক্যাচটি নিয়েছেন রিশাদ। সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থেকে আউট হলেন জাদরান। ১৮৮ রানে ৮ উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
রিশাদের করা ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সহজ ক্যাচ তুলেও মিরাজের ব্যর্থতায় বেঁচে যান গজনফর। ২ বল পরেই সেই গজনফর লং অনে সাইফ হাসানকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন।
আল্লাগ গজনফরের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমেছিলেন রহমত শাহ। চোট পেয়ে এর আগে উঠে গিয়েছিলেন রহমত। কিন্তু এসেই প্রথম বল খেলেই মাঠে পড়ে যান একিলিসিের চোটে ভোগা রহমত। হুইলচেয়ারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
আর তাতেই ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে থামল আফগানিস্তান।
সিরিজে সমতা ফেরাতে ১৯১ রান চাই বাংলাদেশের। রহমত শাহ চোট নিয়েও ব্যাটিংয়ে ফিরেও ১ বল খেলেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আর তাতে ১৯০ রানে থমকে গেছে আফগান ইনিংস।
আফগানিস্তানের ইনিংসটা পুরোপুরিই ইব্রাহিম জাদরানময়। আফগান ওপেনার ৯৫ রান করে মিরাজের বলে রিশাদের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সুযোগ হারিয়েছেন। ১৪০ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন জাদরান।
আফগান ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন মোহাম্মদ নবী ও আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন।
আফগানিস্তান: ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ (জাদরান ৯৫, নবী ২২, গজনফর ২২, খারোতে ১৩, গুরবাজ ১১; মিরাজ ৩/৪২, তানজিম ২/৩৫, রিশাদ ২/৩৭, তানভীর ১/৩৫)।
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ৮/১
স্কোরবোর্ডের কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ফাইন লেগে বশির আহমেদকে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ হাসান। ওভারটা মেডেন পেয়েছেন ওমরজাই।
এরপর সাইফ হাসানের সঙ্গী হয়েছেন নাজমুল হোসেন।
প্রথম ৩ ওভারের ৮ রান, সেই বাংলাদেশ চতুর্থ ওভারেই যোগ করেছে ১৬ রান। দারুণ দুটি শটে বাউন্ডারিতে ৮ রান সাইফের। টানা তিন ওয়াইডে ওভার শুরু করা বশির আহমেদ ওয়াইড দিয়েছেন ৫টি।
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ৩০/২
ওমরজাইয়ের করা পঞ্চম ওভারের প্রথম ৪ বলে কোনো রান আসেনি। পঞ্চম বলে ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন। ইব্রাহিম জাদরানের থ্রো ধরে উইকেট ভেঙেছেন উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল ফিরলেন ৯ বলে ৭ রান করে। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ: ৭ ওভারে ৪০/৩
ওমরজাইয়ের বলে আপারকাট করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে বশির আহমেদের ক্যাচ হয়ে বিদায় নিলেন সাইফ হাসান। আউট হওয়ার আগের দুই বলে চার–ছক্কায় ১০ রান তুলেছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার। ৪০ রানে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ২৩ বলে ২২ রান করে ফিরলেন সাইফ।
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ৫৫/৪
আবারও উইকেট পেলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এবার আফগান পেসারের শিকার মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লু হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মিরাজ। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৫০ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
উইকেটে এসেছেন জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ৮০/৫
৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জাকের আলী ও তাওহিদ হৃদয় প্রতিরোধ গড়েছিলেন। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভেঙেছে জুটি। তাওহিদ হৃদয়কে বোল্ড করে ২৯ রানের জুটি ভেঙেছেন রশিদ খান। ৩৪ বলে ২৪ রান করেছেন হৃদয়।
রশিদ খানকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন নুরুল হাসান। ৯৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। কঠিন হয়ে গেল রান তাড়া. কঠিন হলো এই ম্যাচে সিরিজে সমতা ফেরানোর কাজও।
পরের বলেই এলবিডব্লু তানজিম হাসান। ৯৯ রানে নেই ৭ উইকেট।
পরের বলে রিশাদের উইকেটটিও পেয়ে গিয়েছিলেন রিশাদ। এলবিডব্লুর আবেদনে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন রিশাদ। বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেতে, দেখে আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত বদলাতে বলেন টিভি আম্পায়ার।
বাংলাদেশ: ২৪ ওভারে ১০০/৮
আউটের বিবরণ লিখে শেষ করা যাচ্ছে না!
৫ উইকেটে ৯৯ থেকে দেখতে না দেখতেই যে ৯৯/৮ হয়ে গেলে বাংলাদেশ। ২৩তম ওভারে রশিদ টানা দুই বলে নুরুল হাসান ও তানজিম হাসানকে ফেরানোর পর ২৪তম ওভারে জাকের আলীকে আউট করেছেন নানগেইয়ালিয়া খারোতে। শর্ট কাভারে ভালো একটা ক্যাচ নিয়েছেন রশিদ খান।
রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলাম ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশ: ২৮ ওভারে ১০৬/৯
তানভীর ইসলামকে এলবিডব্লু করে চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন রশিদ খান। ১০০ রানে নবম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ৮ বলে রান করতে না পারা তানভীর।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল আফগানিস্তান। রিশাদ হোসেনকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টেনেছেন রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর বাংলাদেশ ওয়ানডেতে টানা চতুর্থ সিরিজ হারল। যে ধারাবাহিকতার শুরু গত বছর আমিরাতে আফগানদের কাছে হেরেই। এ নিয়ে ওয়ানডে আফগানদের কাছে টানা তৃতীয় সিরিহ হারল বাংলাদেশ।
১৯১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। যা ওয়ানডে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন। রান তাড়ায় বাংলাদেশের মাত্র চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন। সর্বশেষ ১১ ওয়ানডের ১০টিতেই হারা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়।
রান তাড়ায় শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও এক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৯৯/৫। কিন্তু ৯৯ রানে দাঁড়িয়েই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১০০ রানে যায় নবম উইকেট। এরপর ১০৯ রানে অলআউট।
রশিদ খান ৮.৩–২–১৭–৫
সিরিজের পরের ম্যাচ ১৪ অক্টোবর।
আফগানিস্তান: ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ (জাদরান ৯৫, নবী ২২, গজনফর ২২, খারোতে ১৩, গুরবাজ ১১; মিরাজ ৩/৪২, তানজিম ২/৩৫, রিশাদ ২/৩৭, তানভীর ১/৩৫)।
বাংলাদেশ: ২৮.৩ ওভারে ১০৯ (হৃদয় ২৪, সাইফ ২২, জাকের ১৮, নুরুল ১৫; রশিদ ৫/১৭, ওমরজাই ৩/২৭)।
ফল: আফগানিস্তান ৮১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইব্রাহিম জাদরান