বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল।

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশিবার ৫০ ছাড়িয়েছেন কে, বাংলাদেশের কে, কোথায়

সিপিএলে আজ ৪৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যা হেলসের ৯৫তম ৫০ ছাড়ানো ইনিংস। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে হেলসের চেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস আছে মাত্র পাঁচজনের।

হেলস টি-টোয়েন্টিতে দারুণ এক ব্যাটসম্যান, বিধ্বংসী তো বটেই! তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কথা বললে এর চেয়ে আরও বড় বড় নাম আলোচনায় আসবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসলে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস কাদের সবচেয়ে বেশি? কারা আছেন শীর্ষে পাঁচে?

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ৪২৪ ম্যাচে এই ওপেনার ১২১টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন। এর আটটিতে নিয়ে যেতে পেরেছেন তিন অঙ্কের ঘরে।

সবচেয়ে বেশি ফিফটি ডেভিড ওয়ার্নারের।

পরের নামটা বিরাট কোহলির। টি-টোয়েন্টিতে ৪১৪ ম্যাচে ৫০ বা এর চেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন ১১৪ বার। তাঁর সেঞ্চুরি আছে ৯টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে মানুষের ঘরে ঘরে নিয়ে গেছেন যিনি, সেই ক্রিস গেইল আছেন তালিকার তিনে। ৪৬৩ ম্যাচে ১১০টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন গেইল। তাঁর ফিফটি ৮৮টি, সেঞ্চুরি ২২, যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

তালিকার পরের নামটা আপনাকে হয়তো চমকে দেবে। তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন বাবর আজম। তাঁর সেঞ্চুরি আছে ১১টি, ফিফটি ৯৩টি। মানে ১০৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন বাবর। শীর্ষে পাঁচে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে গেইল ছাড়া শুধু বাবরেরই ১০টির বেশি সেঞ্চুরি আছে। বাবর ম্যাচও খেলেছেন অনেক কম, ৩২০টি।

গেইল ও কোহলি দুজনেই আছেন সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার তালিকায়।

বাবরের পরেই আছেন জস বাটলার। ৯৬ ফিফটি ও ৮ সেঞ্চুরিতে তাঁরও পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস ১০৪টি। তবে তিনি ম্যাচ খেলেছেন ৪৬৬টি। শীর্ষ পাঁচে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে বাটলারের স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে বেশি—১৪৫.৮৯। সবচেয়ে কম বাবরের —১২৯.৩৩।

বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল। তামিমের ৪টি সেঞ্চুরি ও ৫৫টি হাফ সেঞ্চুরি আছে। সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থান ৩০তম। মুশফিকুর রহিমের কোনো সেঞ্চুরি নেই, তাঁর ফিফটি আছে ৩৪। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তৃতীয় সর্বোচ্চ সাকিব আল হাসানের, তাঁর ফিফটি আছে ৩৩টি।