হেরেই গেল বাংলাদেশ, আমিরাতের নাটকীয় জয়

স্বাগতম

শারজায় সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আরব আমিরাত। গত শনিবার একই ভেন্যুতে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের ২৭ রানে হারিয়ে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

এই টি–টোয়েন্টি সিরিজটি দুই ম্যাচের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি বাড়তি ম্যাচ খেলবে তাঁরা। অর্থাৎ টি–টোয়েন্টি সিরিজটি এখন তিন ম্যাচের

টস

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরব আমিরাতের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। আগে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।

টসের সময় দুই দলের অধিনায়ক

বাংলাদেশ একাদশ

লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শরীফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও নাহিদ রানা।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন নেই একাদশে। গত শনিবার প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৫৪ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এ ওপেনার।

প্রথম ম্যাচ থেকে মোট চারটি পরিবর্তন আনা হয়েছে বাংলাদেশ দলে। বাদ পড়েছেন পারভেজ, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী ও হাসান মাহমুদ। দলে ঢুকেছেন শরীফুল, নাজমুল, নাহিদ ও রিশাদ।

আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এ ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হচ্ছে নাহিদ রানার।

প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেন পারভেজ

আরব আমিরাত একাদশ

মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আর্যাংশু শর্মা (উইকেটকিপার), আলিসান শারাফু, রাহুল চোপড়া, আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, মোহাম্মদ জোহাইর, হায়দার আলী, মুহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ, মতিউল্লাহ খান ও সগীর খান।

মিরাজ কেন  নেই

এপ্রিলে আইসিসির মাসসেরা স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ কেন বাংলাদেশ দলে নেই জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে:

পিএসএলে সাকিবের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছেন মিরাজ

এশিয়া কাপ নিয়ে যা হচ্ছে...

এশিয়া কাপে কি খেলবে ভারত? না খেললে এশিয়া কাপ কি হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে:

ভারত না খেললে কি এশিয়া কাপ হবে, সম্ভাবনা কতটুকু

ভারতের হামলার সময় মঈন আলীর বাবা–মা যেখানে ছিলেন...

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে আটকা পড়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মঈন আলীর মা–বাবা। মঈনের মুখে ঘটনাটি জানুন নিচের লিংকে ক্লিক করে:

ভারতের হামলার সময় কাশ্মীরে ছিলেন মা–বাবা, ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন মঈন আলী 

পারভেজ যে কারণে একাদশে নেই

প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পরও আজ দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলের একাদশে নেই পারভেজ হোসেন। কি কারণ জানতে হলে ক্লিক করুন নিচের লিংকে:

সেঞ্চুরি করেও কেন একাদশে নেই পারভেজ

তানজিদে উড়ন্ত সূচনা

বাংলাদেশ: ১ ওভারে ১৭/০।

তানজিদ ১৫ ও লিটন ১ রানে ব্যাট করছেন।

আমিরাতের পেসার মতিউল্লাহর করা ইনিংসের প্রথম ওভারে ১৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ।

হায়দার দিলেন ৬ রান

বাংলাদেশ: ২ ওভারে ২৩/০।

বাঁহাতি স্পিনার হায়দার আলী দ্বিতীয় ওভারে দিলেন ৬ রান। এ ওভারেও একটি চার মারেন তানজিদ।

তানজিদ ১০ বলে ২০ রানে অপরাজিত। লিটন ২ বলে ২ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত।

লিটন ‘জীবন’ পেলেন, উঠল ১৩ রান 

বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ৩৬/০।

তৃতীয় ওভারে স্পিনার ধ্রুব পরাশরকে নিয়ে এসেছে আরব আমিরাত। এই ওভারের প্রথম পাঁচ বলের মধ্যে তিনটি চার মারেন লিটন ও তানজিদ। শেষ বলে শর্ট ফাইন লেগে লিটনের ক্যাচ ছাড়েন জাওয়াদউল্লাহ।

লিটন ৬ বলে ১০ ও তানজিদ ১২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত।

চতুর্থ ওভারে উঠল ৩ রান

বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ৩৯/০

চতুর্থ ওভারে হায়দার আলী মাত্র ৩ রান দেন।

পেসারের বিপক্ষে এল ১৫ রান

বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ৫৪/০

তানজিদ ২৩ বলে ৪১ ও লিটন ৭ বলে ১১ রানে অপরাজিত।

পঞ্চম ওভারে নতুন বোলার—পেসার জাওয়াদউল্লাহ। তাঁর এই ওভার থেকে ১৫ রান তুলেছেন তানজিদ। তিনটি চার মেরেছেন। দারুণ টাচে আছেন এই বাঁহাতি।

এক বছর ফিফটি ও তানজিদের ফিফটি

বাংলাদেশ: ৭ ওভারে ৭২/০

তানজিদ ২৮ বলে ৫৪ ও লিটন ১৪ বলে ১৬ রানে অপরাজিত।

প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে উদ্ধোধনী জুটিতে ৫০ রান তুলল বাংলাদেশ। ১৪ ইনিংস পর উদ্ধোধনী জুটিতে ফিফটি বাংলাদেশের।

২৫ বলে ফিফটি তানজিদের। ষষ্ঠ ওভারে স্পিনার হায়দারকে ছক্কা মেরে ফিফটি তুলে নিলেন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে চতুর্থ ফিফটি তানজিদের।

অভিষেকেই ১৩ রান

বাংলাদেশ: ৯ ওভারে ৯০/০

তানজিদ ৩২ বলে ৫৯ ও লিটন ২২ বলে ২৭ রানে অপরাজিত।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হলো আমিরাতের পেসার সগীর খানের। তাঁর প্রথম ওভার থেকে ১৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারটি করেন তিনি। নবম ওভারে ধ্রুব দিয়েছেন ৫ রান।

তানজিদ আউট

৩৩ বলে ৫৯ রান করে বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তানজিদ। ১০ম ওভারের প্রথম বলে সগীরকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন এই ওপেনার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সগীরের প্রথম উইকেট!

তিনে নেমেছেন নাজমুল।

বাংলাদেশ: ৯.১ ওভারে ৯০/১।

প্রথম ১০ ওভারে ১০০ হলো না

ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ১০ ওভারে ১০০ রান হয়নি।

১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৬৬।

লিটন–নাজমুলের জুটি

১০ম ওভারের প্রথম বলে তানজিদ আউট হওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৭ বলে ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন লিটন ও নাজমুল।

বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ১২৩/১।

লিটন ৩০ বলে ৩৯ ও নাজমুল ৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত।

১৪
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এর আগে অধিনায়ক হিসেবে এটাই ছিল লিটনের সর্বোচ্চ রান। আজ তা ছাপিয়ে গেলেন।

৪০ রানে আউট লিটন

১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে জাওয়াদউল্লাহকে ডিপ মিডউইকেটে মারতে গিয়ে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন লিটন। ৩২ বলে ৪০ রানে ফিরলেন।

চারে নেমেছেন তাওহিদ হৃদয়।

বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১২৮/২।

২৪ ম্যাচ পর বাংলাদেশের দুই শ

গত বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই শ করেছিল বাংলাদেশ। টি–টোয়েন্টিতে আবার তা করতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হলো ২৪ ম্যাচ। আজ দারুণ শুরুর পর দুই শ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ ওভারশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে রান ২০১।

এর আগেই অবশ্য জাকের আলী আউট হয়ে গেছেন। ৬ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান।

সবাই মিলে দুই শ

প্রথম ম্যাচে পারভেজের সেঞ্চুরির পরও দুই শ করতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ বাকি ব্যাটসম্যানরা বড় রান পাননি। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে উল্টোটা দেখা গেল। কেউ সেঞ্চুরি পাননি, সর্বোচ্চ ৫৯ এসেছে তানজিদের ব্যাট থেকে, তবু দুই শ এর দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। কারণ? প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানই কম–বেশি রান পেয়েছেন। আর তাতে ২৪ ম্যাচ পর দলীয় দুই শ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ২৬ মাস পর দুই শ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২১১ রান করেছিল বাংলাদেশ।

আজ ২০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২০৫/৫।

৯.১ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৯০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ৩৩ বলে ৫৯ এসেছে তানজিদের ব্যাট থেকে। ৩২ বলে ৪০ করেন আরেক ওপেনার লিটন। তিনে নামা নাজমুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২৭।

২৪ বলে তাওহিদ হৃদয়ের ৪৫ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের দুই শ এর দেখা পাওয়ার ক্ষেত্রে শেষ দিকে বড় ভূমিকা রেখেছে। জাকের আলীর ৬ বলে ১৮ রানের ইনিংসের গুরুত্বও কম না।

আমিরাতের হয়ে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার জাওয়াদউল্লাহ। ৩৬ রানে ২ উইকেট অভিষিক্ত সগীর খানের।

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ২০৫/৫ (তানজিদ ৫৯, লিটন ৪০, হৃদয় ৪৫, নাজমুল ২৭; জাওয়াদউল্লাহ ৩/৪৫, সগীর ২/৩৬)।

পাল্লা দিচ্ছে আমিরাত

২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করেছে আরব আমিরাত। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ পেরিয়ে গেছে তারা, লেগেছে কেবল ৪.৩ ওভার। ৫ ওভার শেষে আমিরাতের রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬।

এদিকে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকটা ভালো হয়নি পেসার নাহিদ রানার। প্রথম দুটি বল নো করেছেন। প্রথম ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান।

৯.২ ওভারে ১০০/০

৫০ পেরিয়েছিল ৪.৩ ওভারে। এবার আরব আমিরাত এক শও পেরোল কোনো উইকেট না হারিয়ে। দুই ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম ও মুহাম্মদ জুহাইব দলকে নিয়ে যাচ্ছেন জয়ের দিকে। ২৯ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ওয়াসিম, ৩২ বলে ৩৭ রান এসেছে জুহাইবের ব্যাট থেকে।

শেষ ১০ ওভারে আমিরাতের ৯৯ রান দরকার।

বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু দিলেন তানভীর

প্রথম স্পেলে ২ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেট পাননি। দিয়েছিলেন ২২ রান। দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর আহমেদ। ৩৪ বলে ৩৮ রান করে শামীম হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোহাম্মদ জোহাইব।

আমিরাত: ১০.১ ওভারে ১০৭/১।

উইকেট পেলেন রিশাদও

আগের ওভারের প্রথম বলে উইকেট এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর আহমেদ। পরের ওভারের প্রথম বলে উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৪ বলে ২ রান করে আউট হয়ে ফিরেছেন রাহুল চোপড়া।

আমিরাত: ১১.১ ওভারে ১১০/২।

ক্যাচ ফেলে দিলেন হৃদয়

বড় উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্রুতই আরও একটি উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সুযোগ ছিল আরব আমিরাতকে আরও বেশি চেপে ধরার। কিন্তু রিশাদ হোসেনের বলে কি না মুহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ ছেড়ে দিলেন তাওহীদ হৃদয়! ৩৩ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন জীবন পাওয়া আমিরাত অধিনায়ক।

ওয়াসিমকে ফেরালেন শরীফুল

উদ্বোধনী জুটিতে এক শ পেরিয়েছিলেন মুহাম্মদ জুহাইবকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁর বিদায়ের পরও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকে। মাঝে তাওহীদ হৃদয় ক্যাচ ফেলে দেওয়ার পর মনে হচ্ছিল, সেঞ্চুরিটা বুঝি আজ পেয়েই যাবেন। তবে তা থেকে ১৮ রান দূরে থাকতে জাকের আলীর দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয়েছে ওয়াসিমকে। শরীফুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচটি নিয়েছেন জাকের।

আরব আমিরাত এখন ৩ উইকেটে ১৪৯।

ছক্কার পরের বলে আউট সগীর

আগের ওভারে তিনজন এক ক্যাচ ধরতে গিয়ে তা ফেলে দিয়েছিলেন। তারও আগে মুহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ ছেড়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে এবার আর ওই ভুল করেননি তিনি। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে রিশাদকে ছক্কা মারেন সগীর, পরের বলে আবার তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন হৃদয়ের হাতে।

শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য আমিরাতের প্রয়োজন ৩৫ রান।

২৯ রানে ৪ উইকেট হারাল আমিরাত

দারুণ একটা উদ্বোধনী জুটির পর জয়ের স্বপ্ন দেখছিল আরব আমিরাত। তা ভাঙার পরও আশাটা ছিল তাঁদের। তবে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার তা এখন অনেকটাই ক্ষীণ। ৯ বলে ১৩ রান করা আলিশান শারফু শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরত গেছেন শরিফুল ইসলামের বলে।

টি–টোয়েন্টিতে আমিরাতের কাছে বাংলাদেশের প্রথম হার

৬ বলে ১২ রান—আমিরাতের জয়ের হিসাব দাঁড়িয়েছিল এ রকম। তানিজম হাসানের প্রথম ডেলিভারিটা হয় ওয়াইড। হিসাব দাঁড়ায় ৬ বলে ১২। পরের বলে সিঙ্গেল, হিসাব বদলায়—৫ বলে ১০। পরের বলে ৬ মারেন পরাশর। এবার আমিরাতের হিসাব একদম সহজ—শেষ চার বলে ৪ রান। কিন্তু তৃতীয় বলে পরাশরকে বোল্ড করেন তানজিম। পরের বলে ১ রান নেন মতিউল্লাহ। হিসাব দাঁড়ায় ২ বলে ৩ রানের। এখানে এসে নো বল করেন তানজিম। পরের বলে হায়দার আলী ২ রান নিয়ে হিসাব মিলিয়ে ফেলেন। ১ বল হাতে রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে জেতে আরব আমিরাত।

সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল ২ ম্যাচের। কিন্তু পরে দুই দেশের বোর্ড আলোচনা করে একটি ম্যাচ বাড়ায়। আগামী পরশু শারাজায়ই হবে সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচ। আমিরাত আজকের ম্যাচটি জেতায় সিরিজে এখন ১–১–এ সমতা।