
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি হলো আজ। ২০০০ সালের এই দিনে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক বাংলাদেশের। ২৫ বছরের পথযাত্রায় টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা কেমন ছিল আর সেই পথচলায় পরিসংখ্যানের আলোয় সবচেয়ে উজ্জ্বলই–বা ছিলেন কারা। গ্রাফিকস: মো. আসাদ আলী
১৫৪ টেস্টে বাংলাদেশের জয় ২৩টি। এই ২৩ জয়ের ৩টি বাংলাদেশ পেয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। সবচেয়ে বড় জয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
টেস্টে বাংলাদেশের ১১২ হারের ৪৭টিই ইনিংস ব্যবধানে। সবচেয়ে বড় জয়ের মতো সবচেয়ে বড় হারটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
টেস্ট অভিষেকে প্রথম ইনিংসেই ৪০০ করেছিল বাংলাদেশ। তবে ৫০০–এর দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১২ সাল পর্যন্ত। মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ৫০০ করে বাংলাদেশ। চার মাস পরই ২০১৩ সালের মার্চে ৬০০–এর দেখাও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করে ৬৩৮ রান। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিসং সেটিই। এরপর আরও ১০ বার ৫০০ ছুঁলেও আর ৬০০ ছোঁয়া হয়নি।
১০০ রানের নিচে অলআউট হতে কেমন লাগে, সে অভিজ্ঞতা প্রথম টেস্টেই হয়েছিল বাংলাদেশের। অভিষেকের প্রথম ইনিংসে ৪০০ করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ৯১ রানে। এরপর আরও ১২ বার টেস্টে ১০০ রানে নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এর একটিই ৫০ রানের কমে, ২০১৮ সালে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৯৮টি টেস্ট খেলেছেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। সবকিছু ঠিক থাকলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেই ১০০ টেস্টের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন সাবেক অধিনায়ক।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার মতো টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টসও করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৪ টেস্টে অধিনায়কত্ব করা মুশফিকের নেতৃত্বেই সবচেয়ে বেশি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ—৭টি।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহিমই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। একমাত্র তাঁরই ৬ হাজার রান আছে। ৩৮.১২ গড়ে ৬৩২৮ রান করা মুশফিকের সেঞ্চুরি ১২টি, এর ৩টি আবার ডাবল সেঞ্চুরি।
সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডের মতো ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও মুশফিকুর রহিমের। ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি উপহার দেওয়া মুশফিক ২০১৮ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন রেকর্ড ২১৯ রানের ইনিংস।
টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটিতেও আছেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৩৫৯ রান যোগ করেন মুশফিক।
টেস্টে বোলিংয়ে বাংলাদেশের ১ নম্বর সাকিব আল হাসান। ৭১ টেস্টে ২৪৬ উইকেট তাঁর। আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল আর ১০ উইকেট পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন সাকিবকে। এই দুজনের বাইরে ২০০ উইকেট আছে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের।
টেস্টে ইনিংস–সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা ২০১৪ সাল থেকেই তাইজুল ইসলামের। মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভেঙেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
টেস্টে এক ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো বোলার সর্বোচ্চ ১২ উইকেট পেয়েছেন তিনবার, দুবারই মেহেদী হাসান মিরাজ। সেরা ১১৭ রানে ১২ উইকেট, ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। টেস্টে আটবার বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচে ১০ বা এর বেশি উইকেট পেয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড জমেছে বেশ। ৪২ ক্যাচ নিয়ে সবার ওপরে মুমিনুল হক, ৪১ ক্যাচ নিয়ে এরপরই আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
উইকেটকিপার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল লিটন দাসের—১১৪টি। ৯৯টি ক্যাচ নেওয়া লিটন স্টাম্পিং করেছেন ১৫টি।