১৮ বছরের অপেক্ষা শেষের পর আনুশকার সঙ্গে কোহলি
১৮ বছরের অপেক্ষা শেষের পর আনুশকার সঙ্গে কোহলি

কোহলির আইপিএল শিরোপা জেতায় যে ভূমিকা আনুশকার

‘মোরা কেঁদেছি একই দুঃখে, হেসেছি একই সুখে’—বাংলা ব্যান্ড ওয়ারফেজের গানের লাইন। বিরাট কোহলি কিংবা আনুশকা শর্মার তা শোনার সম্ভাবনা কম। সুদূর ভারত আর হিন্দি ভাষী দুই তারকা বাংলা ব্যান্ডের এই গান শুনবেন না হয়তো পরের দুটি লাইনের জন্যও, ‘কখনো ভাবিনি তুমি চলে যাবে/এভাবে রেখে আমায় একাকী।’

এমন কিছু তো তাঁদের সম্পর্কে ঘটেনি কখনোই। একসঙ্গে তাঁরা হেসেছেন, একসঙ্গে কেঁদেছেন—এভাবেই কাটিয়ে দিচ্ছেন বছরের পর বছর। আইপিএল এসেছে, কোহলি রান করেছেন, কিন্তু শিরোপা জিততে পারেননি। ছকে বাধা ওই নিয়তির সময়গুলোতে বহুবারই ভেঙে পড়েছেন কোহলি। কিন্তু তাঁর পাশ থেকে কখনোই সরে দাঁড়াননি স্ত্রী আনুশকা।

১৮ বছরের আক্ষেপ দূর করে কোহলি যখন কাল আইপিএল জিতলেন, ছল ছল চোখ সঙ্গী করে আলিঙ্গনে স্ত্রীর প্রতি যেন সেই কৃতজ্ঞতা জানালেন। আনুশকার জন্যও মুহূর্তটা বেশ দামি। বেঙ্গালুরুতেই বেড়ে উঠেছেন, ২০১৪ সাল থেকে দলটিকে সমর্থনও করছেন। এখন দেখেছেন শিরোপা জয়।

ট্রফি নিয়ে উদযাপনে পুরো বেঙ্গালুরু দলের সঙ্গী কোহলি

সব মিলিয়ে সেসব অভিজ্ঞতা জানিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘ক্লান্তিহীনভাবে আনুশকা খেলা দেখতে এসেছে। কঠিন ম্যাচগুলো দেখেছে, অল্পের জন্য আমাদের জিততে না পারাও দেখেছে। আমি যেন খেলে যেতে পারি, এ জন্য আমার জীবনসঙ্গী যে ত্যাগ, নিবেদন ও সমর্থন জুগিয়েছে, এসব আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। যখন আপনি পেশাদার খেলোয়াড় হবেন, শুধু তখন বুঝতে পারবেন কত কিছু পর্দার আড়ালে করতে হয় ও কিসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়।’

মাঠে তো বটেই, আইপিএলে মাঠের বাইরেও কোহলিকে যেতে হয়েছে অনেক কঠিন মুহূর্তের ভেতর দিয়ে। একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ১৮ বছর খেলছেন। তিনবার ফাইনালে গিয়েও শিরোপা জেতা হয়নি। বহুবার নিশ্চয়ই আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার অবশেষে আরাধ্য সেই ট্রফিটা জিতলেন কোহলি।
কোহলি আরও বলেন, ‘আনুশকার সঙ্গে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যোগাযোগও অনেক, এখানেই বেড়ে উঠেছে। তার জন্যও এটা খুব খুব বিশেষ কিছু।’