১৪ বছর বয়সে আইপিএলে সেঞ্চুরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী
১৪ বছর বয়সে আইপিএলে সেঞ্চুরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী

গুগল সার্চে সেরা ১৪ বছরের সূর্যবংশী

২০২৫ সালটা যেন বৈভব সূর্যবংশীরই। মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরেও রেকর্ড ভাঙছেন তিনি। বয়স মাত্র ১৪। এই বয়সেই ব্যাট হাতে যা করছেন, তাতে অবাক না হয়ে উপায় নেই।

আইপিএল, ভারত ‘এ’ দল কিংবা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট—সবখানেই তাঁর ব্যাটে রানের ফোয়ারা। এর ফলও মিলল হাতেনাতে। ভারতের মানুষ গুগলে তাঁকেই সবচেয়ে বেশি খুঁজেছে। গুগল ট্রেন্ডসের ‘ইয়ার ইন সার্চ ২০২৫’–এর তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে সবার ওপরে এই কিশোর ক্রিকেটার।

চলতি বছরে সূর্যবংশী সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে মাত্র ৩৮ বলে ১০১ রান করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আবার রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে করেছিলেন ৪২ বলে ১৪৪ রান! ভাবা যায়? এখানেই থামেননি। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি।

গুগল ট্রেন্ডস: শুধুই ক্রিকেটারদের দাপট

গুগল ট্রেন্ডসের এই তালিকায় দ্বিতীয় নামটি প্রিয়াংশ আর্যের। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লির হয়ে খেলা এই তরুণ ব্যাটসম্যানও বেশ আলোচনায় ছিলেন। তিনে আছেন ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা। ২০২৫ সালে তিনি আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরেও উঠেছিলেন।

মেয়েদের মধ্যে বিশ্বকাপজয়ী জেমিমা রদ্রিগেজ ও স্মৃতি মান্ধানা ছিলেন সেরা দশে। এ ছাড়া তালিকায় আছেন করুণ নায়ার, ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ও চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার আয়ুশ মাতরে, গুজরাটের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান উর্বিল প্যাটেল ও মুম্বাই-কেরালার স্পিনার ভিগনেশ পুথুর।

আইপিএলের দল পাঞ্জাব কিংসের ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য

২৪ বছর বয়সী প্রিয়াংশ তাঁর প্রথম আইপিএল মৌসুমেই চমক দেখিয়েছেন। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ১৭ ম্যাচে করেছেন ৪৭৫ রান। ওদিকে আয়ুশ মাতরের বয়স মাত্র ১৭। ৪৮ বলে ৯৪ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলে সবার নজরে আসেন। ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। মজার ব্যাপার হলো, ভারতের সেরা ১০ ট্রেন্ডিং ব্যক্তিত্বের সবাই ক্রিকেটার! ক্রিকেটপাগল দেশ বলে কথা!

২০২৫ সালে ভারতের মানুষ গুগলে সবচেয়ে বেশি খুঁজেছে আইপিএলকে। সব বিষয় মিলিয়ে এটিই সবার ওপরে। এরপরই ছিল গুগল জেমিনি। সেরা পাঁচে আরও আছে এশিয়া কাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও প্রো কাবাডি লিগ। মেয়েদের বিশ্বকাপ ছিল সাত নম্বরে।