Thank you for trying Sticky AMP!!

দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ

মিরাজ নিজেও ভাবেননি, সেঞ্চুরিটা পাবেন

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়ে যাবেন, এমন ভাবতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ নিজেও। আগের সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস টপকে আজ ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসেই জয়ের মতো এক সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে যখন স্ট্রাইক পান মিরাজ, সেঞ্চুরি থেকে ১৫ রান দূরে তিনি। শার্দুল ঠাকুরের পরের ৩ বলের মধ্যে ২ ছয়ে একেবারে নাগালে চলে আসে সেঞ্চুরি, শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে বুনো উদ্‌যাপনে মাতেন পরে টানা দুই ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতা মিরাজ।

Also Read: ভারতের বিপক্ষে আরও একটি মিরাজ–মিরাকল

৬৯ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মিরাজের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড ১৪৮ রানের জুটিই বাংলাদেশকে খাদের কিনার থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় লড়াই করার মতো অবস্থানে। এরপর শেষ দিকের ঝড়ে ২৭০ পেরিয়ে ভারতকে বড় একটা চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ।

মিরাজদের উদ্‌যাপন

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেছেন, ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত খেলাই লক্ষ্য ছিল তাঁর, ‘আমার একটাই পরিকল্পনা ছিল, ৫০ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করব। রানটা যদি ২৪০-২৫০ হলে ওদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। নাসুম খুব দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। দলকে অনেক সহায়তা করেছে ওর (১১ বলে ১৮ রানের) ইনিংস। সেটির কারণেই ২৫০-এর জায়গায় ২৭০ হয়েছে।’

তবে সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন, এমন ভাবেননি মিরাজ নিজেও, ‘না। কখনোই ভাবিনি সেঞ্চুরিটা হবে। “ফ্লো” ছিল। হয়ে গেছে।’

Also Read: ছবির গল্পে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়

একসময় জাতীয় দলে বোলার হিসেবেই ভাবা হতো মিরাজকে। এ দুই ম্যাচেও তিনি খেলেছেন আট নম্বরেই। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার কারণেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে ব্যাটিং নিয়ে।

মিরাজ বলেছেন এমন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট বলেন, (অন্য) খেলোয়াড় বলেন, কোনো খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখলে সেটি নিজের মধ্যে চলে আসে। যখন আমাকে বোলার ভাবত, আমিও অমনই ভাবতাম, আমি বোধ হয় বোলারই, ব্যাটিং করতে পারি না। দেখেন আমাকে এখন ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাবা হচ্ছে। ওপেনিংয়েও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।  আত্মবিশ্বাসটা চলে আসছে, তারা আমার ওপর আস্থা রাখছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ।’

Also Read: নয়ে নামা রোহিত-শঙ্কা কাটিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত তিনি, সেটিও মনে করেন এ অলরাউন্ডার, ‘আমার যখন ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে, তখন কিন্তু বোলার হিসেবেই হয়েছে টেস্ট থেকে। ব্যাটিং অনেক পরে করতাম। নিজেকে ওভাবেই মানসিকভাবে তৈরি করেছি, যেহেতু বোলিং ভালো হচ্ছে। ব্যাটিংয়েও সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এখন তো অনেক পরিপূর্ণ হয়েছি, অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। মানিয়ে নিয়েছি কীভাবে খেললে ভালো হবে। কোথায় উন্নতি করতে হবে, সেসব নিয়েও কাজ করেছি।’