গ্রেনাডায় রেকর্ডটা এখনো বাংলাদেশের দখলে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ড ২১৭ রান তাড়া করেছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হলে এখন নতুন রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
কারণ, তৃতীয় দিন শেষেই অস্ট্রেলিয়ার লিড ২৫৪ রান। হাতে এখনো ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। ২৬ রানে অপরাজিত আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। মানে লিড ৩০০ ছাড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু হবে না!
কঠিন উইকেটেও অস্ট্রেলিয়াকে বড় লিড এনে দেওয়ার কাজটা করেছেন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। ২৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এমন একটি জুটিই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
স্মিথ করেছেন ৭১ রান, যা তাঁর ৪৩তম টেস্ট ফিফটি। ১১৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল সাতটি চার ও একটি ছয়ে। চা–বিরতির পর নিজের ৩৭তম টেস্ট সেঞ্চুরির পথে ছিলেন, কিন্তু জাস্টিন গ্রেভসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান।
ফিফটি পেয়েছেন গ্রিনও। তিন নম্বরে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর অবশেষে ফিফটি পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। এটি গ্রিনের সপ্তম টেস্ট ফিফটি। তাঁর ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার। তাঁকে ফিরিয়েছেন শামার জোসেফ।
এই উইকেট রান করাটা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য অনেক কঠিন হবে, সেটা দিন শেষে স্মিথের কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেছেন এভাবে, ‘উইকেট কঠিন। বাউন্সগুলো অসম। আমরা ভালো অবস্থানে আছি। এই উইকেটে ব্যাটিং মনে হয় না আর সহজ হবে। নতুন বলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে আমাদের জন্য। আশা করি, আমরা লিডটা ৩০০-র কাছাকাছি নিতে পারব।’
সংক্ষিপ্ত স্কোরঅস্ট্রেলিয়া: ২৮৬ এবং ২২১/৭ (স্মিথ ৭১, গ্রিন ৫২; গ্রেভস ২/২২)ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৩ (কিং ৭৫, ক্যাম্পবেল ৪০, লায়ন ৩/৭৫, হ্যাজলউড ২/৪৩, কামিন্স ২/৪৬)তৃতীয় দিন শেষে