বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স

পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেলেন সিমন্স

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের রেশ কাটার আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে খুব একটা লড়াইও করতে পারেনি লিটন দাসের দল। বলা যায়, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ একরকম অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে।

এমন বিব্রতকর হোয়াইটওয়াশের পরও অবশ্য ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ইতিবাচক হলো, আমরা চেষ্টা করছিলাম এই উদ্বোধনী জুটিকে কার্যকর করতে। তারা দেখিয়েছে, একসঙ্গে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে ওরা।’

সিরিজের তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেছেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন। জুটিতে প্রথম ম্যাচে ১৪, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৪ রান ওঠার পর তৃতীয় ম্যাচে উঠেছে ১০.৪ ওভারে ১১০ রান।

বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ ও পারভেজে ইতিবাচক দিক খুঁজছেন সিমন্স

এই সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নতুন যাত্রা শুরুর কথা বলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টানা তিন ম্যাচ হেরে বড় ধাক্কাই খেয়েছেন লিটনরা। এ নিয়ে হতাশা থাকলেও সেটা খুব বেশি নয় বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।

সিমন্স আরও যোগ করে বলেন, ‘যেকোনো সিরিজ হারই হতাশাজনক। আমরা চেষ্টা করছি, কিছু জিনিস গড়ে তুলতে ও কিছু ব্যাপার বদলাতে। দলে তরুণ ক্রিকেটার আছে বেশ কজন। হতাশা আছে, তবে ততটা নয়। থিতু হওয়া একটা দল নিয়ে হারলে বরং বেশি হতাশ লাগত।’

দেশে ফেরার দিন দশেক পরই আবার শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। তিন সংস্করণেরই ম্যাচ আছে সিরিজটিতে। শুরুটা হবে লাল বল দিয়ে।

এই সিরিজের আগেই দলে উন্নতি চান সিমন্স, ‘অবশ্যই দ্রুত উন্নতি করতে চাইব আমরা। সাদা বলের সিরিজের আগে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে শ্রীলঙ্কায়। সেই সিরিজ চলতে থাকার সময় অন্য কাজও চলতে থাকবে। আমাদের উন্নতি করতেই হবে।’