ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত শুরু। এরপর নিউজিল্যান্ড জিতেছিল টানা আরও তিনটি ম্যাচে। তখন বেশির ভাগ মানুষ ভেবেছিল সহজেই নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠবে।
কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। কিউইরা হেরে বসে টানা চার ম্যাচে। তাতে তাদের সামনে দাঁড়ায় নানা সমীকরণ। তবে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় কেইন উইলিয়ামসনের দল।
সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের সেরা দল ভারত, যারা জিতেছে টানা ৯ ম্যাচে। একদিকে কোনো বাধা ছাড়াই সেমিফাইনালে ওঠা ভারত, অন্যদিকে নানা বিপত্তি পেরিয়ে সেমিফাইনালে ওঠা নিউজিল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবে মানসিক দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে থাকার কথা কিউইদের।
যদিও নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসন বলছেন, সব ভুলে গিয়ে সেমিফাইনালে শূন্য থেকেই শুরু করবেন তাঁরা।
প্রথম পর্বে নিউজিল্যান্ড জিতেছে পাঁচ ম্যাচে। অবশ্য ভাগ্যও তাদের খুব একটু সহায়তা করেনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে তো ৪০০ রান করেও হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সেখানে অবশ্য বৃষ্টির একটা ভূমিকা ছিল। আবার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হেরে যাওয়া ম্যাচে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৩৮৩ রান। এরপরও সেই ম্যাচটিতে তারা হেরেছিল ৫ রানে।
সব মিলিয়ে কয়েকটি ম্যাচে ভালো খেলেও জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়েও ফার্গুসন এ বিষয়টাকে সামনে এনেছেন, ‘আমাদের কয়েকটি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, সেগুলোর ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। আমরা আবার শূন্য থেকেই শুরু করব। বুধবার কঠিন একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব।’
Also Read: এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নার্ভাস থাকবে ভারত
প্রথম পর্বের দেখায় ভারতের কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের করা ২৭৩ রান খুব সহজেই টপকে গিয়েছিল ভারত। যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপে এই ভারতকে হারিয়েই সেমিফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়েছিল তারা।
ফার্গুসন অবশ্য সেই অতীতকেও খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না, ‘আমাদের জন্য এটা সন্তোষজনক ফল ছিল। তবে এরপর চার বছর চলে গেছে। এর মধ্যে আমরা অনেক ক্রিকেট খেলেছি।’
শুধু ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালই নয়; ভারত আসলে নিউজিল্যান্ডকে আইসিসির কোনো ইভেন্টের নকআউট ম্যাচে কখনো হারাতে পারেনি। ২০০০ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ও ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালেও কিউইদের সঙ্গে ভারতীয়রা পেরে ওঠেনি।
২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সাতজন এবারের দলেও আছেন—অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, যশপ্রীত বুমরা, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, ও মোহাম্মদ শামি (হার্দিক পান্ডিয়া চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন)। সেই কষ্টের স্মৃতি নিশ্চয়ই এবার ফেরাতে চাইবেন না তাঁরা। আর এবার খেলা ভারতের মাঠে। শুধু ১১ জনের বিপক্ষে নয়, কিউইদের লড়াই করতে হবে গ্যালারি–ঠাসা দর্শকদের সঙ্গেও। ঘরের মাঠে হওয়া সর্বশেষ ২০১১ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন
-
চাল, আলু, বিদ্যুৎ হবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, বাদ সিগারেট, স্বীকৃতি নেই পানির
-
হাসপাতালে লিফট আটকে রোগীর মৃত্যু ‘ধাক্কাধাক্কিতে দরজা কাজ না করায়’
-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন নিক্সন চৌধুরীর বাসায়
-
নিথর জান্নাতুলের মুখ দেখেই জ্ঞান হারালেন শোকার্ত বাবা
-
ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন ‘শিবির প্রতিবাদ’–এর ধরন বেছে নিলেন মার্কিন শিক্ষার্থীরা