
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর, আয়ারল্যান্ডের সিরিজ জয় নিশ্চিত করার।
আজও জিতে গেলে তৃতীয় চেষ্টার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতবে আয়ারল্যান্ড।
আগের ম্যাচের তুলনায় আজ দর্শক কমেছে আরও। আকাশে কুয়াশা ভেসে বেড়াচ্ছে। মাঠে ফিল্ডিং অনুশীলন করছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।
প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে সেই ফিল্ডিংই পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন। প্রথম ম্যাচ খেলা জাকের আলী, রিশাদ হোসেন ও শরীফুল ইসলাম নেই আজ। তাঁদের বদলে দলে ঢুকেছেন নুরুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান।
আয়ারল্যান্ড দলে একটি বদল। কার্টিস ক্যাম্ফারের জায়গায় ঢুকেছেন বেন কালিজ। আয়ারল্যান্ডের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন কানাডায় জন্মগ্রহণ করা এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান,নুরুল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান।
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), টিম টেক্টর, হ্যারি টেক্টর, লোরকান টাকার, বেন কালিজ, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডাইর, ব্যারি ম্যাকার্থি, ম্যাথু হামফ্রিস ও জশ লিটল।
অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের করা প্রথম ওভারে ১৩ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড। ওভারে তিনটি চার মেরেছেন টিম টেক্টর।
আয়ারল্যান্ড: ২.১ ওভারে ২৮/০
১৪ রান তুলে নাসুম আহমেদকে স্বাগত জানিয়েছে আইরিশরা। এবার একটি করে চার–ছক্কা মেরেছেন পল স্টার্লিং।
তৃতীয় ওভারে এক বল হওয়ার পর ফ্লাডলাইড–বিভ্রাটে খেলা বন্ধ আছে।
প্রায় অন্ধকার হয়ে গেছে পুরো মাঠ। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে জড়ো হয়েছেন মাঝখানে। গ্যালারির দর্শকরা মোবাইলের ফ্লাশলাইট জ্বালিয়েছেন
প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান জানালেন দুই দলের ক্রিকেটাররাই এখন তাঁদের ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন
আয়ারল্যান্ড: ৩ ওভারে ৩২/০
১০ মিনিট বন্ধ থাকার পর খেলা আবার শুরু হয়েছে।
তানজিম হাসানের করা প্রথম ওভারে ৫ রান এসেছে। ৫ রানই অতিরিক্ত।
আয়ারল্যান্ড: ৪ ওভারে ৪৮/০
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা প্রথম ওভারে ১৬ রান এসেছে। ২ চার ও ১ ছক্কায় এর ১৫–ই পল স্টার্লিংয়ের।
আয়ারল্যান্ড: ৫ ওভারে ৬২/১
তানজিম হাসানের বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে পল স্টার্লিংকে ফিরিয়েছেন সাইফ হাসান। ডিপ স্কোয়ার লেগে সামনে দু হাত বাড়িয়ে ক্যাচি নিয়েছেন সাইফ। ৫৭ রানে প্রথম পড়ল প্রথম উইকেট। ১৪ বলে ২৯ রান করেছেন স্টার্লিং। উইকেটে এসেছেন টিম টেক্টরের ভাই হ্যারি টেক্টর।
আয়ারল্যান্ড: ৯ ওভারে ৮৯/৩
নবম ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসানের বলে স্টাম্পড হয়েছেন টিম টেক্টর। ২৫ বলে ৩৮ রান করেছেন টিম। চার বল পর হ্যারি টেক্টরকেও (১১ বলে ১১ রান) বোল্ড করেছেন মেহেদী।
৮৮ রানে দ্বিতীয় ও ৮৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ড: ১১ ওভারে ১০৪/৪
বেন কালিজকেও স্টাম্পিং করেছেন মেহেদী হাসান। টিভি রিপ্লে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থার্ড আম্পায়ার। ১০৩ রানের চতুর্থ উইকেট হারাল আয়ারল্যান্ড। কালিজ ৯ বলে করেছেন ৭ রান।
আয়ারল্যান্ড: ১৮ ওভারে ১৫৬/৪
প্রথম ম্যাচে ১৮১ রান করেছিল আইরিশরা। আজও সেই তেমনকিছু করার দিকেই এগোচ্ছে দলটি। ১৭ ওভার শেষে দলটির স্কোর ৪ উইকেটে ১৪৬। লোরকান টাকার ৩৩ ও জর্জ ডকরেল ১৪ রানে ব্যাট করেছিলেন।
পরের ওভারে ১০ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ড: ১৯ ওভারে ১৬২/৫
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে লং অনে বাঁ দিকে দৌড়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে পঞ্চম উইকেট এনে দিয়েছেন তানজিদ হাসান। বল লোফার চেয়ে চেয়ে ফলো থ্রুতে ভারসাম্য বজায় রাখাতেই বেশি নম্বর দিতে হবে। ১৮.২ ওভারে ১৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট খোয়াল আয়ারল্যান্ড। ডকরেল ফিরলেন ২১ বলে ১৮ করে। তাতে ভাঙল টাকার–ডকরেলের ৫৬ রানের জুটি।
প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১১ রান কম লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। আইরিশরা ইনিংস শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১৭০ রান তুলে। মোস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারের শেষ বলে রানআউট হয়েছেন লোরকান টাকার। ৩২ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
পাওয়ার প্লেতে ৭৫ রান তোলা আয়ারল্যান্ড শেষ ১৫ ওভারে করেছে ৯৫ রান। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে আইরিশদের রানের চাকায় লাগাম দিয়েছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান।
খারাপ করেননি পেসার তানজিম হাসানও। ৩ ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট।
আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭০/৬ (টাকার ৪১, টেক্টর ৩৮, স্টার্লিং ২৯, ডকরেল ১৮; মেহেদী ৩/২৫, তানজিম ১/১৭, সাইফউদ্দিন ১/৪০)।
বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিসের করা প্রথম ওভারে ১২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এর ১১ রানই ওভারে শেষ দুই বলে চার–ছক্কায় ১০ রান তোলা পারভেজ হোসেনের। ওভারের শেষ বলে স্লগ সুইপ করে ছক্কাটি মেরেছেন পারভেজ।
পেসার মার্ক অ্যাডাইরের করা পরের ওভারে এসেছে ৯ রান। পারভেজ মেরেছেন একটি চার। ওভার শেষে পারভেজের ১৬ ও তানজিদের ৩ রান।
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ২৭/১
বোলার ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরে ফেলেছেন বল, তবু কী মনে করে রানের জন্য ছুটলেন স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান। ফেরার চেষ্টা করেও পারেননি। আইরিশ পেসার ব্যারি ম্যাকার্থি সরাসরি থ্রোতে রানআউট করে দিলেন তানজিদকে। ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। তানজিদ ফিরলেন ১০ বলে ৭ রান করে।
আইরিশরা পাওয়ার প্লেতে করেছিল ১ উইকেট ৭৫ রান। বাংলাদেশ করেছে ১ উইকেটে ৬৬ রান। পারভেজ হোসেন ১৫ বলে ৩১ ও লিটন দাস ১১ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশ: ৯ ওভারে ৮৩/১
অষ্টম ওভারের শেষ বলে আইরিশ লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডেলানিকে ছক্কা মেরেছেন পারভেজ হোসেন। ইনিংসে এটি তাঁর দ্বিতীয় ছক্কা। ২৫বলে ৪২ রান করেছেন পারভেজ। ৫৭ রানের জুটিতে তাঁর সঙ্গী লিটন ১৯ বলে করেছেন ২৪ রান।
৬৬ বলে ৮৮ রান দরকার বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৮৬/২
১০ম ওভারে পঞ্চম বলে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দারুণ খেলতে থাকা পারভেজ হোসেনকে ফিরিয়েছেন গ্যারেথ ডেলানি। ৮৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ। ২৮ বলে ৪৩ রান করা পারভেজ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন জর্জ ডকরেলকে। তাতে ভাঙল লিটন–পারভেজের ৬০ রানের জুটি।
উইকেটে এসেছেন সাইফ হাসান।
একাদশ ওভারে তৃতীয় বলে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন সাইফ হাসান। পল স্টার্লিং ডান হাতে বলটিকে শুধু ছুঁতে পেরেছেন। শূন্য রানে জীবন পেলেন সাইফ।
বাংলাদেশ : ১২ ওভারে ১০৮/২
সাইফ জীবন পাওয়ার পরের বলেই বেঁচে গেলেন লিটন দাস। সেটি অদ্ভুতুড়ে ভাবেই। গ্যারেথে ডেলানি ডিপ মিডউইকেট সীমানায় ক্যাচটি নিয়ে ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারায় বল ওপরে ছুড়ে দেন। এরপর আবার ভারসাম্য ফিরিয়ে মাঠে বসেই ক্যাচটি নেন। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখায় ডেলানির ট্রাউজারের পেছনে থাকা ছোট তোয়ালেটি সে সময়ে সীমান দড়ি ছুঁয়ে ছিল। আর এ কারণেই বেঁচে গেলেন ৩৩ রানে দাঁড়ানো লিটন, পেয়ে গেলেন ছক্কা!
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১১৫/২
ফিফটি থেকে ৭ রান দূরে লিটন, সাইফ ব্যাট করছেন ১৩ রানে।
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ১২৯/২
ম্যাথু হামফ্রিসকে ছক্কা মেরে ৫০ পেরিয়েছেন লিটন দাস। ১১৯ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে লিটনের এটি ১৬তম ফিফটি। সাত ইনিংস পর এই সংস্করণে ফিফটি পেলেন লিটন। ১৪ ওভারে ১৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
শেষ ৬ ওভারে ম্যাচ জিততে ৪২ রান দরকার লিটনদের।
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ১৩৮/৩
দলকে ১৩৮ রানে রেখে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নিলেন লিটন দাস। ৩৭ বলে ৫৭ রান করা লিটন ফিরেছেন মার্ক অ্যাডাইরের বলে এলবিডব্লু হয়ে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ১৪২/৪
লিটন দাসের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়া সাইফ হাসানও বিদায় নিয়েছেন। অধিনায়কের ফেরার তিন বল পর ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন সাইফ। ১৪০ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। সাইফ ফিরলেন ১৭ বলে ২২ রান করে। উইকেটে এসেছেন নুরুল হাসান।
২৪ বলে ২৯ রান দরকার বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ১৪৬/৪
আইরিশ পেসার ব্যারি ম্যাকার্থির করা ১৭ ওভারে ৪ রান তুলতে পেরেছেন নুরুল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৫৫/৫
তাওহিদ হৃদয়কে রানআউট করে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরাল আয়ারল্যান্ড। ১৮তম ওভারে চতুর্থ বলটাকে কাভারে ঠেলেই ১ রান নিতে চেয়েছিলেন নুরুল হাসান। ফিল্ডারের ছোড়া বল ধরে লোরকান টাকার যখন উইকেট ভাঙলেন তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটের সামনের অংশ শূন্যে ভেসে ছিল। ১৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। হৃদয় ফিরলেন ৯ বলে ৬ রান করে।
১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নুরুল হাসানকে বোল্ড করেছেন মার্ক অ্যাডাইর। ১৫৭ রানে ৬ উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ।
ব্যাট করছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান।
১০ বলে দরকার ১৪ রান।
ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরেছেন সাইফউদ্দিন, শেষ বলে চার। তাতে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে বাংলাদেশের।
৬ বলে দরকার ৩ রান।
তাওহিদ হৃদয় ও নুরুল হাসানের বিদায়ে একটু চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দূর করেছেন সেই চাপ। ১৯তম ওভারে শেষ ৩ বলে চার–ছক্কায় নিয়েছেন ১০ রান। তাতে শেষ ওভারে ৩ রান দরকার হয় বাংলাদেশের। জশ লিটলের করা ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মেহেদী হাসান। এর আগে ওভারে তিন বলে আসে ২ রান। সাইফউদ্দিন ৭ বলে ১৭ ও মেহেদী ৩ বলে ৬ রান করে অপরাজিত রইলেন।
২ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। তাতে ২ ডিসেম্বরের তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে গেলে ‘ফাইনাল’।
আজ রান তাড়ায় শুরু থেকেই দারুণ ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। মাঝে দ্রুত কিছু উইকেট হারালেও তাই বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি জয় পেতে। ৩৭ বলে ৫৭ রান করে দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন দাস। ওপেনার পারভেজ হোসেন ও চারে নামা সাইফ হাসানও ভালো সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ককে। শেষ দিকে অল্প ব্যবধানে ২ উইকেট খোয়ানোর পর শেষটা টেনেছেন সাইফউদ্দিন।
আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭০/৬ (টাকার ৪১, টেক্টর ৩৮, স্টার্লিং ২৯, ডকরেল ১৮; মেহেদী ৩/২৫, তানজিম ১/১৭, সাইফউদ্দিন ১/৪০)।
বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৭৪/৬ (লিটন ৫৭, পারভেজ ৪৩, সাইফ ২২, সাইফউদ্দিন ১৭*; ডেলানি ২/২৮, অ্যাডাইর ২/৩৬)।
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩–ম্যাচ সিরিজে ১–১ সমতা।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লিটন দাস।