বিসিবির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অনিয়ম ও আর্থিক অসংগতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই অংশ হিসেবে আজ সংস্থাটির চার কর্মকর্তা এসেছিলেন মিরপুরে ক্রিকেট বোর্ড কার্যালয়ে। এর আগে সাবেক পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে মোট ২৭টি অভিযোগের রেকর্ডপত্রের কপি বিসিবির কাছে চেয়েছিল দুদক। এবার তাঁরা এসেছেন তিনটি বিষয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে।
তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে এত দিন ৫ লাখ টাকা এন্ট্রি ফ্রি ছিল। অনেকটা কাগজ–কলমে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়া ওই টুর্নামেন্টও দুদকের তদন্তের আওতার মধ্যে আছে। এ ব্যাপারে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিসের (সিসিডিএমের) কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে তারা।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘আজকে অভিযানের বিষয়টা ছিল তৃতীয় বিভাগ বাছাইপ্রক্রিয়াতে অনিয়ম। পাশাপাশি গঠনতন্ত্র এবং অন্যান্য আর্থিক অথবা বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। এর আলোকে আমরা এখান থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি, বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করলাম, বিভিন্ন ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি।’ বিসিবির আর্থিক লেনদেন গঠনতন্ত্র মেনে হয়েছে কি না এবং এফডিআরের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল কি না, তা–ও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
এর আগে বিসিবির কাছে পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণে পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগপ্রক্রিয়ার কাগজপত্র, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান সভাপতি থাকার সময়ে বিসিবির আয়–ব্যয়সংক্রান্ত অডিট প্রতিবেদন, আইসিসি ও এসিসির লভ্যাংশসংক্রান্ত নীতিমালার সত্যায়িত কপি, লজিস্টিকস ও প্রটোকল বাবদ খরচের বিবরণ, বিপিএল বাবদ খরচের বিবরণ, বিদেশি কোচ নিয়োগে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা, বিদেশি কোচ নিয়োগের নীতিমালা এবং সম্মানী বা বেতন-ভাতা পরিশোধের রেকর্ডের সত্যায়িত অনুলিপি, বিসিবির অর্থ বিভাগ, লজিস্টিকস ও বিপিএল দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্যসহ মোট ২৭টি বিষয়ে জানতে চেয়েছিল দুদক।