জয় দিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ
জয় দিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

জয়ে শুরু চট্টগ্রামের, অভিষেকে ড্র ময়মনসিংহের, ৩ রানের আক্ষেপ জিশানের

বরিশাল বিভাগকে কাল অনায়াসে হারিয়েছে খুলনা বিভাগ। আজ রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগও বড় জয় পেল। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডের বাকি দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। অভিষিক্ত ময়মনসিংহ বিভাগ সিলেট বিভাগের বিপক্ষে এবং ঢাকা বিভাগ রংপুর বিভাগের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে।

রাজশাহীতে চট্টগ্রামের হাসি

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড লক্ষ্য (৪৮৩) তাড়া করে জিততে হতো রাজশাহীকে। প্রীতম কুমার ও মেহেরব হাসানের অপরাজিত ফিফটিকে ৪ উইকেটে ২১৯ রান তুলে কাল তৃতীয় দিন শেষ করায় জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও উঁকি দিচ্ছিল।

তবে আজ শেষ দিনে মেহেরবকে বেশি দূর এগোতে দেননি চট্টগ্রামের অফ স্পিনার নাঈম হাসান। সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা প্রীতমকেও (৮৩) ফিরিয়েছেন নাঈম। এরপর শাখির হোসেন ফিফটি করলেও তা যথেষ্ট হয়নি। নিজেদের মাঠ রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ৩৭০ রানে অলআউট হয়ে চট্টগ্রামের কাছে ১১২ রানে হেরেছে রাজশাহী। স্বাগতিকদের শেষ ৩ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে ইয়াসির আলী (মাঝে)

চট্টগ্রামের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন মূলত ইয়াসির আলী। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে ১২৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯২ রান করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার তাঁর হাতেই উঠেছে।

ময়মনসিংহের ড্রয়ে নায়ক আরিফুল

ম্যাচটা যে ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে, তা আগের দিনই বোঝা গিয়েছিল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ প্রত্যাশিত ফলটাই এল। স্বাগতিক সিলেটের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে নবাগত ময়মনসিংহ।

আরিফুল ইসলাম ও আবু হায়দারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান করেছিল ময়মনসিংহ। জবাবে সৈকত আলী ১৭৫ রানের সুবাদে ৪৮৯ রান তুলে ৮৮ রানের লিড নেয় সিলেট। কার ময়মনসিংহ বিনা উইকেটে ৫৮ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল। তবে আজ তাদের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে আরিফুল ইসলাম

দুই স্পিনার নাবিল সামাদ ও আসাদুল্লাহ আল গালিবের ঘূর্ণিতে ১০৩/০ থেকে ১৬৪/৬–এর দলে পরিণত হয় ময়মনসিংহ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া আরিফুল। তাহজিবুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসানকে নিয়ে দুটি ছোট; কিন্তু কার্যকর জুটি গড়েন তিনি।

ময়মনসিংহের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আরিফুল আউট হওয়ার (১৫৮ বলে ৬২ রান) কিছুক্ষণ পরেই ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক। ময়মনসিংহ দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৯ উইকেটে ২৭২ রান। সিলেটের নাবিল ৪ ও গালিব ৩ উইকেট নেন।

জিশানের ৩ রানের আক্ষেপ

লক্ষ্য ১৯৭ রান, হাতে ওভারও ছিল যথেষ্ট। সিলেট একাডেমি মাঠে ঢাকার বিপক্ষে শেষ দিনে তাই জয়ের চেষ্টা ভালোভাবেই করেছিল রংপুর। এক পর্যায়ে ১৩ ওভারে ৭৪ রান তুলে ফেলেছিল আকবর আলীর দল।

কিন্তু এরপর দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে ফেললে আর জয়ের চেষ্টা করেনি রংপুর। শেষ পর্যন্ত ২৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৫ রান করে তারা। মাঠ ছাড়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে।

তবে দিনটা আলোচিত হয়ে আছে জিশান আলমের আক্ষেপের কারণে। ৩ রানের জন্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি মিস করেছেন ঢাকার এই ব্যাটসম্যান।

জিশান আলম ৯৭ রান করেছেন

কাল ২ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ঢাকা। জিশান অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে। তানভীর হায়দারের বলে মিম মোসাদ্দেকের হাতে ধরা পড়ার আগে আজ তিনি যোগ করতে পারেন আরও ১৭ রান। লেগ স্পিনার তানভীরের দারুণ বোলিংয়েই ঢাকা ৮১ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারায়।