
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৭৬.২ ওভারে ৩৩৪ (রুট ১৩৮*, ক্রলি ৭৬, আর্চার ৩৮; স্টার্ক ৬/৭৫, নেসের ১/৪৩, ডগেট ১/৮১)।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ২১ ওভারে ১৩০/১ ( ওয়েদারাল্ড ৫৯*, হেড ৩৩, লাবুশেন ২৭*; কার্স ১/৪৫, আর্চার ০/৯)।—দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশন পর্যন্ত।
ব্রিসবেনে দিবা–রাত্রির টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনে ২.২ ওভার টিকেছে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ৭৪ ওভারে ৯ উইকেটে ৩২৫ রান নিয়ে প্রথম দিন পার করা ইংল্যান্ডের শেষ উইকেটজুটি আজ মাত্র ৯ রান যোগ করতে পেরেছে।
দ্বিতীয় দিনে খেলার তৃতীয় ওভারে (৭৬.২) অস্ট্রেলিয়ার পেসার ব্রেন্ডন ডগেটের বলে আউট হন এগারোয় নেমে ৩৬ বলে ৩৮ করা জফরা আর্চার। এতে শেষ উইকেটজুটিতে জো রুট ও আর্চারের ৭০ রানের জুটি যেমন ভেঙেছে, তেমনি ইংল্যান্ডও অলআউট হয় ৩৩৪ রানে। ১৩৮ রানে অপরাজিত থেকে যান রুট।
অস্ট্রেলিয়া এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ২১ ওভারে নেমে ১ উইকেটে ১৩০ রান তুলে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করে। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেকে ২০৪ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক মেজাজে ব্যাট করে ওভারপ্রতি গড়ে রান তুলেছেন ৬.১৯ করে!
ক্রিজে আছেন ওপেনার জেক ওয়েদারাল্ড (৫৬ বলে ৫৯*) ও মারনাস লাবুশেন (২৯ বলে ২৭*)। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ট্রাভিস হেড ৪৩ বলে ৩৩ রানে ইংল্যান্ড পেসার ব্রাইডন কার্সের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটি গড়ে প্রথম সেশন পার করেন ওয়েদারাল্ড এবং লাবুশেন। হেড ৩ রানে থাকতে স্লিপে তাঁর ক্যাচ নিতে পারেননি ইংল্যান্ডের ফিল্ডার জেমি স্মিথ।
পার্থে প্রথম টেস্টে অভিষিক্ত ওপেনার ওয়েদারাল্ড ব্রিসবেনে এ সংস্করণে নিজের প্রথম ফিফটি পেলেন। আক্রমণাত্বক মেজাজে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে শুধু বাউন্ডারি থেকেই ৪২ রান তোলেন। হেডের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে তোলা ৭৭ রানে ওয়েদারাল্ডের অবদান ৩৬ বলে ৪০।
ধীরে–সুস্থে খেলতে অভ্যস্ত লাবুশেনও একটু আক্রমণাত্বক ঢংয়ে ব্যাটিং করেছেন। ড্রাইভের বল ছাড়েননি। উইকেটের আশায় ইংল্যান্ডের চার পেসার আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, কার্স ও বেন স্টোকস ফুল লেংথ থেকে ডেলিভারিগুলো সুইং করানোর চেষ্টা করেছেন। এতে ড্রাইভ খেলার বল পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। পুল–হুক করার মতো শর্ট বলও ছাড়েননি তাঁরা।
দিবা–রাত্রির টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস এখন রুটের। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পান ইংল্যান্ড কিংবদন্তি। আর্চারের সঙ্গে ১০ম উইকেটে তাঁর ৭০ রানের জুটি জায়গা করে নিয়েছে অ্যাশেজের ইতিহাসে। অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৯৫১ সালের পর ১০ম উইকেটে এটাই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি।