
মোহাম্মদ নেওয়াজের কি ম্যাচের ফল নিয়ে আক্ষেপ হচ্ছে?
ইনিংসের দশম ওভারে স্কয়ার লেগে তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু নেওয়াজ সেটি নিতে পারেননি। তখন ১৫ রানে ব্যাট করা ডি কক এরপর বলার মতো আর কোনো সুযোগই দেননি কাউকে। মাঠ ছেড়েছেন অপরাজিত থেকে, হাসিমুখে।
ফয়সালাবাদে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ডি ককের ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান করেছিল ৯ উইকেটে ২৬৯। রান তাড়ায় ডি কক একপ্রান্ত আগলে রেখে প্রোটিয়াদের জিতিয়েছেন ৫৯ বল বাকি রেখেই। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতাও এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাজ সহজ হয়ে যায় উদ্বোধনী জুটিতেই। লুহান ডি–প্রিটোরিয়াস ও ডি ককের প্রথম উইকেট জুটিতে ১১.৫ ওভারেই ওঠে ৮১ রান। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪০ বলে ৪৬ রান করেন প্রিটোরিয়াস।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে টনি ডি জর্জিকে নিয়ে ডি কক গড়েন ১৫৩ রানের জুটি। ডি জর্জ ৬৩ বলে ৭৬ রান করে ফাহিম আশরাফের শিকার হলেও ডি কককে কেউ থামাতে পারেননি।
২০২৩ বিশ্বকাপের পর অবসরে চলে যাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডেতে ফিরেছেন। প্রথম ম্যাচে ৬৩ রান করার পর আজ মাঠ ছেড়েছেন প্রায় দ্বিগুণ (১২৩) রান নিয়ে। ১১৯ বল খেলা ইনিংসটিতে ছিল ৭টি ছয় ও ৮টি চার। এটি তাঁর ২২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
এর আগে পাকিস্তানের রান ২৬৯–এ পৌঁছায় সালমান আগা, নেওয়াজ ও সাইম আইয়ুবের তিন ফিফটির সৌজন্যে। ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তান চতুর্থ উইকেটে সাইম ও সালমান আগার জুটি থেকে পায় ৯২ রান।
সাইম ৬৬ বলে ৫৩ রান করে ফেরার পর আরও কিছুক্ষণ দলকে টেনেছেন সালমান। ১০৬ বলে ৬৯ রান করে তিনি করবিন বশের বলে বোল্ড হলে পরের পথটা টেনে নেন নেওয়াজ। শেষ দিকে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৯ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। যদিও ব্যাটিংয়ের ওই ভালো লাগা পরে ডি ককের ক্যাচ মিস ও তার প্রভাবের কারণে মিইয়ে যাওয়ার কথা।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শনিবার।
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৬৯/৯ (সালমান ৬৯, নেওয়াজ ৫৯, সাইম ৫৩, আশরাফ ২৮; বার্গার ৪/৪৬, পিটার ৩/৫৫)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪০.১ ওভারে ২৭০/২ (ডি কক ১২৩*, ডি জর্জি ৭৬, প্রিটোরিয়াস ৪৬; আশরাফ ১/৪০)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১–১ সমতা।