বিপিএল নিলামেসবচেয়ে বেশি দাম পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় তাকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।
বিপিএল নিলামেসবচেয়ে বেশি দাম পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় তাকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।

বিপিএল নিলাম

সবচেয়ে দামি ১ কোটি ১০ লাখ টাকার মোহাম্মদ নাঈম, অন্যদের দাম কত

বিপিএল নিলামে স্বাগত

বিপিএল তো প্রতি বছরই ফেরে। তবে এবারের ফেরা একটু অন্যরকম। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া দ্বাদশ বিপিএল ফিরছে নিলাম নিয়ে।

বিপিএলের শুরুটা হয়েছিল নিলাম পদ্ধতি নিয়েই। কিন্তু প্রথম দুই আসরের পর প্লেয়ার ড্রাফট পদ্ধতিতে হাঁটে বিসিবি। সর্বশেষ একাদশ আসর পর্যন্ত খেলোয়াড় কিনতে ড্রাফট আয়োজন করা হত। খেলোয়াড়দের দাম থাকত পূর্বনির্ধারিত, দলগুলো খেলোয়াড় নেওয়ার সুযোগ পেত ড্র–য়ের ক্রম অনুসারে। অর্থাৎ, পছন্দের খেলোয়াড় কেনার বিষয়টি অনেকটা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করত। তবে নিলাম পদ্ধতি। একজন খেলোয়াড়কে কেনার সুযোগ থাকবে সবারই, শুধু অন্যদের তুলনায় টাকার পরিমাণটা বেশি দিতে হবে।

রোমাঞ্চকর উত্তেজনার এই বিপিএল নিলাম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঢাকার হোটেল র‍্যাডিসন ব্লুতে। নিলামের তাৎক্ষণিক ঘটনাপ্রবাহ জানাতে আপনাদের সঙ্গে আছে প্রথম আলোর ক্রীড়া বিভাগ। সবাইকে স্বাগত।

কিছুক্ষণ পরই শুরু হবে বিপিএলের নিলাম

নিলামে কী থাকছে

বিপিএল নিলামের খুঁটিনাটি জানতে পড়তে পারেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন: বিপিএল নিলাম: কীভাবে হবে, খরচ কত টাকা আর চোখ থাকবে কাদের ওপর

ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির লোগো সম্বলিত ব্যাটের রেপ্লিকা

সরাসরি চুক্তি করেছেন যাঁরা

নিলামের বাইরেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে মোট চারজন খেলোয়াড় সরাসরি চুক্তিতে সই করানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫টি দলই দুজন করে স্থানীয় ও দুজন করে বিদেশি মিলিয়ে মোট ২০ জন খেলোয়াড়কে আগেই দলভুক্ত করেছে। অপর দলটি দুই স্থানীয় খেলোয়াড় নিলেও বিদেশি নিয়েছে একজন।

থাকছেন না অভিযুক্তরা

ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার সন্দেহে ৯ ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে কাল নিলামের জন্য চূড়ান্ত খেলোয়াড় তালিকা প্রকাশ করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। 

জেনে নিন ৯ ক্রিকেটারের বিপিএলের নিলাম থেকে বাদ পড়ার ৩ কারণ

নিলামে জায়গা না পাওয়া অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা কে কী বলছেন

বিপিএলে ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের বাদ দিয়েই স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিলামের তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি। স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আর ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের পরামর্শের ভিত্তিতেই তাঁদের এবারের বিপিএল থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হলেও বিসিবি তাঁদের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে দেখছে।

তবে এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা। তাঁদের অভিযোগ, প্রমাণ ছাড়াই নিলামের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সামাজিকভাবে ‘মানহানি’ করা হয়েছে।

পড়ুন নিলামে জায়গা না পাওয়া অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা কে কী বলছেন

রোমাঞ্চিত নাজমুল

সম্প্রচারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। সরাসরি চুক্তিতে তাঁকে দলে নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। নিলাম নিয়ে রোমাঞ্চিত জানিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘নিলাম তো একটু কঠিন। প্রতিটা দলই ভালো। এটার পেছনে অনেক সময় ব্যয় করেছে। নিলামের প্রস্তুতি ভালো আছে।’

হাইকোর্টে খারিজ ক্রিকেটারদের রিট

ফিক্সিং সন্দেহের তালিকায় থাকা ৯ ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে হচ্ছে বিপিএলের নিলাম। বাদ পড়া ক্রিকেটাররা আজ নিলামে তাঁদের অন্তর্ভুক্তির জন্য হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। তবে তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি ও রাজিউদ্দীন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিপিএলের নিলাম শুরু হচ্ছে

বিপিএল নিলামের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা মঞ্চে যাচ্ছেন। দলগুলোও প্রস্তুত নিলামের জন্য। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই নিলামে তোলা হবে ক্রিকেটারদের।

মেয়েদের বিপিএল করার ঘোষণা আমিনুলের

র‍্যাডিসন হোটেলে অনুষ্ঠানের শুরুতে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের বিপিএলে অংশ নেওয়া দলগুলো আগামী ৫ বছরও থাকবে। ফেব্রুয়ারিতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্যও বিপিএলকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি।

এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে নিজ নিজ বিভাগে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন আমিনুল। তিন ভেন্যুতেই দর্শকদের আকৃষ্ট করতে জার্সি উপহার দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। এবার যেন বিপিএল স্বচ্ছ হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন আমিনুল।

মেয়েদের বিপিএল করার ঘোষণাও দিয়েছেন আমিনুল। এমন প্রতিশ্রুতি বিসিবির পক্ষ থেকে আগেও দেওয়া হয়েছিল, তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

নিলামের মঞ্চে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা

শুরু হচ্ছে নিলাম

বিপিএলের নিলাম শুরু হচ্ছে। নিলাম পরিচালনা করবেন আরমান রাফী নিজাম। স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে নিলাম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুরুতে নিলাম হবে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাসের। তাঁদের মধ্যে কার নাম আগে উঠবে, তা নিয়ে হচ্ছে লটারি। নিলাম শুরু হচ্ছে মোহাম্মদ নাঈমকে দিয়ে।

নাঈমের দাম ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, লিটন ৭০, অবিক্রিত মাহমুদউল্লাহ

নাঈমের জন্য নিলামে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিলেট, রংপুর ও নোয়াখালী। তিন দলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়টা হয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালসের। তিন দলের লড়াইয়ে জিতেছে তারা। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় তাঁরা দলে নিয়েছে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে। গত আসরের প্রায় ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে ৫১১ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।

৭০ লাখ টাকায় রংপুর রাইডার্স দলে নিয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরি থাকা অন্য ক্রিকেটার লিটন দাসকে। জাতীয় দলের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক গত আসরে ছিলেন ঢাকা ক্যাপিটালসে।

তাঁদের দুজনের নিলামের পর ‘বি’ ক্যাটাগরিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তোলা হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর নাম। কিন্তু তাঁকে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি ৬ ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ। অবিক্রিত থেকেছেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমও। দুজনের ভিত্তিমূল্যই ছিল ৩৫ লাখ টাকা।

তবে অবিক্রিত ক্রিকেটারদের পরে আবার নিলামে তোলা হবে। তবে তখন তাঁদের তোলা হবে ‘সি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবে।

হৃদয় রংপুরে, শামীম ঢাকায়, পারভেজ সিলেটে

ক্যাটাগরি ‘বি’ তে আছেন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ কয়েকজন ক্রিকেটার। তাঁদের সবার ভিত্তিমূল্য ছিল ৩৫ লাখ। তাওহিদ হৃদয়কে ৯২ লাখে দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স, শামীম হোসেনকে ৫৬ লাখে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ৩৫ লাখে ওপেনার পারভেজ হোসেন গিয়েছেন সিলেট টাইটানসে। সাইফউদ্দিনকে ৬৮ লাখে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।

বাধ্য হয়ে নোয়াখালীতে জাকের ও মাহিদুল

বি ক্যাটাগরি থেকে কোনো ক্রিকেটারকে নিলামের শুরুতে দলে নিতে পারেনি নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তবে নিয়ম অনুযায়ী সবগুলো দলই ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে বাধ্যতামূলক দুজন ক্রিকেটারকে নিতে হবে। নিলামে উঠা শেষ দুই ক্রিকেটার জাকের আলী ও মাহিদুল ইসলামকে ভিত্তিমূল্য ৩৫ লাখ টাকাতে দলে নিতে বাধ্য হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বেশ কাড়াকাড়ি হয়েছে। সিলেট, নোয়াখালী ও ঢাকার কাড়াকাড়িতে তাঁর দাম উঠেছে ৫২ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত মিঠুনের ঠিকানা হয়েছে ঢাকা।

এদিকে অবিক্রিত থেকে গেছেন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা জাতীয় দলের পেসার ইবাদত হোসেন। আরেক পেসার নাহিদ রানা ৫৬ লাখ টাকায় গেছেন রংপুর রাইডার্সে। গত আসরেও একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি।

কার কাছে আছে কত টাকা

প্রথম তিন ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের সবাইকে নিলামে তোলা হয়েছে। এখন হবে ‘ডি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের নিলাম। ১৮ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্য থাকবে তাঁদের।

কার কাছে আছে কত টাকা

চট্টগ্রাম রয়্যালস ৫ জন ক্রিকেটার কিনেছে, তাদের হাতে আছে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ঢাকা ক্যাপিটালসও ৫ খেলোয়াড় কিনেছে, তাঁদের হাতে চট্টগ্রামের চেয়ে ১ লাখ টাকা বেশি আছে। নোয়াখালীর হাতে আছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, তারা মাত্র দুজন খেলোয়াড় কিনেছে। রংপুরের হাতে আছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, তারা ৪ জন খেলোয়াড় কিনেছে। সমান খেলোয়াড় কেনা রাজশাহীর হাতে ২ কোটি ৮২ ও সিলেটের হাতে আছে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা।

হাবিবুরকে ৫০ লাখ টাকায় নিল নোয়াখালী

সর্বশেষ রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার হাবিবুর রহমান। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে টি–টোয়েন্টিতে দেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। ডি ক্যাটাগরিতে তাঁর ভিত্তিমূল্য ছিল ১৮ লাখ টাকা। তাঁকে দলে নিতে নোয়াখালী এক্সপ্রেস খরচ করেছে ৫০ লাখ টাকা। একই টুর্নামেন্টে চমক দেখানো পেসার আব্দুল গাফফারকে ৪৪ লাখ টাকায় নিয়েছে রাজশাহী। আরেক তরুণ ওপেনার জিসান আলমকেও ১৮ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যে নিয়েছে তারা।

গত আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসে খেলেছিলেন সাব্বির রহমান। তাঁকে ২৮ লাখ টাকায় ধরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখ টাকায় ঢাকা কিনেছে এক সময় জাতীয় দলে খেলা তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেন।

সিলেট কিনল ইবাদতকে

প্রথম ডাকে অবিক্রিত থাকা ক্রিকেটারদের আবার নিলামে তোলা হয়েছে।

শুরুতে অবিক্রিত থাকলেও পরে ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যে পেসার ইবাদত হোসেনকে দলে নিয়েছে সিলেট টাইটানস, দ্বিতীয় ডাকে নোয়াখালী নিয়েছে রেজাউর রহমানকে। প্রথম ডাকে অবিক্রিত থাকা স্পিনার নাঈম হাসানকে দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স, তাঁকেও ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখ টাকায় পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

কোন দল কাকে নিল

স্থানীয় ক্রিকেটারদের ৪টি ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের নিলাম হয়েছে। এখন চলছে ১০ মিনিটের বিরতি। কেমন হলো কোন দল, দেখে নিন এক নজরে—

ঢাকা ক্যাপিটালস

সরাসরি চুক্তিতে স্থানীয় খেলোয়াড়: তাসকিন আহমেদ ও সাইফ হাসান

সরাসরি চুক্তিতে বিদেশি খেলোয়াড়: অ্যালেক্স হেলস ও উসমান খান

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় খেলোয়াড় : শামীম হোসেন, সাইফউদ্দিন, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, ইরফান শুক্কুর

সিলেট টাইটানস

সরাসরি চুক্তিতে স্থানীয় খেলোয়াড়: মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ

সরাসরি চুক্তিতে বিদেশি খেলোয়াড়: মোহাম্মদ আমির ও সাইম আইয়ুব

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় খেলোয়াড় : পারভেজ হোসেন, খালেদ আহমেদ, আফিফ হোসেন, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, রুয়েল মিয়া, আরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন

রংপুর রাইডার্স

সরাসরি চুক্তিতে স্থানীয় খেলোয়াড়: মোস্তাফিজুর রহমান ও নুরুল হাসান

সরাসরি চুক্তিতে বিদেশি খেলোয়াড়: খাজা নাফি ও সুফিয়ান মুকিম

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় খেলোয়াড় : লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, নাঈম হাসান, কামরুল ইসলাম

নোয়াখালী এক্সপ্রেস

সরাসরি চুক্তিতে স্থানীয় খেলোয়াড়: হাসান মাহমুদ ও সৌম্য সরকার

সরাসরি চুক্তিতে বিদেশি খেলোয়াড়: জনসন চার্লস ও কুশল মেন্ডিস

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় খেলোয়াড় : মাহিদুল ইসলাম, জাকের আলী, হাবিবুর রহমান, মুশফিক হাসান, শাহাদাৎ হোসেন, রেজাউর রহমান

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স

সরাসরি চুক্তিতে স্থানীয় খেলোয়াড়: নাজমুল হোসেন ও তানজিদ হাসান

সরাসরি চুক্তিতে বিদেশি খেলোয়াড়: সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় খেলোয়াড়: তানজিম হাসান, ইয়াসির আলী, আকবর আলী, রিপন মণ্ডল, জিসান আলম, হাসান মুরাদ, আবদুল গাফফার, মেহরব হাসান

চট্টগ্রাম রয়্যালস

সরাসরি চুক্তিতে স্থানীয় খেলোয়াড়: মেহেদী হাসান ও তানভীর ইসলাম

সরাসরি চুক্তিতে বিদেশি খেলোয়াড়: আবরার আহমেদ

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় খেলোয়াড়:  মোহাম্মদ নাঈম, শরীফুল ইসলাম, আবু হায়দার, মাহমুদুল হাসান, মাহফিজুল ইসলাম, সুমন খান, জিয়াউর রহমান, আরাফাত সানি

নিলামে অবিক্রিত মুশফিক লিখলেন—আলহামদুলিল্লাহ

নিলামের প্রথম ডাকে অবিক্রিত রয়ে গেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছে, ‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’

তাঁর এখনও দল পাওয়ার সুযোগ আছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৩৫ লাখ ভিত্তিমূল্যের মুশফিককে ‘সি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয়বার নিলামে তোলা হবে ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যে।

দল পেলেন মাহমুদউল্লাহ–মুশফিক

অবশেষে দল খুঁজে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ডাকে অবিক্রিত ছিলেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। নিয়ম অনুযায়ী, ৩৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা মুশফিক–মাহমুদউল্লাহকে ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে নিলামে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তাঁদের প্রতি ‘সম্মান’ দেখিয়ে তা করা হয়নি। ৩৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যে মাহমুদউল্লাহকে রংপুর রাইডার্স ও মুশফিকুর রহিমকে কিনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুমিনুল হকও প্রথম ডাকে অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন। তাঁকে ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যে নিয়েছে সিলেট টাইটানস।

এখন হবে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিলাম

এই মুহূর্তে বিপিএল নিলামে বিরতি চলছে। একটু পর শুরু হবে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিলাম। প্রায় আড়াইশর বেশি বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে নিলামের চূড়ান্ত তালিকায়। প্রতিটি দলকে অন্তত দুজন করে বিদেশি নিতে হবে। নিলামের বাইরেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যত ইচ্ছে বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিবন্ধন করতে পারবে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা বিদেশিদের ভিত্তিমূল্য ৩৫ হাজার ডলার।

নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আগ্রহ কম

বিদেশি ক্রিকেটারদের নিলাম থেকে নেওয়ার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ভারতে জাতীয় দলে খেলা পিযূশ চাওলা নাম লিখিয়েছিলেন। তাঁকে দলে নেয়নি কেউ। তবে তিন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দল পেয়েছেন। শুরুটা হয় নিরোশান ডিকভেলাকে দিয়ে, ৩৫ হাজার ডলারে তাঁকে দলে নেয় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। এছাড়া ম্যাথুসকে সিলেট টাইটানস ও দাসুন শানাকাকে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।

২ জন করে বিদেশি নিল দলগুলো

নিলাম থেকে ২ জন করে বিদেশি ক্রিকেটার নেওয়াও শেষ হয়েছে দলগুলোর। শুরুতে কারও জন্যই বিড করেনি রংপুর রাইডার্স। তাঁদের দুজন ক্রিকেটার নিতেই হতো। শেষ পর্যন্ত ইতালির হয়ে তিনটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এমিলিয়া গে ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ আখলাককে নিয়েছে রংপুর।

এর মধ্যে দিয়েই শেষ হয়েছে বিপিএলের এবারের আসরের নিলাম। স্থানীয় ১৪ জন ও বিদেশি ২ জন করে ক্রিকেটার নিয়েছে দলগুলো।

কোন দল কেমন হলো

বিপিএলের ১২তম আসরের নিলাম শেষ হয়েছে। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় চট্টগ্রাম রয়্যালস দলে নিয়েছে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে। তাওহিদ হৃদয় ৯২ লাখ ও লিটন দাস ৭০ লাখে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার হিসেবে গেছেন রংপুর রাইডার্সে। এক নজরে দেখে নিন নিলাম শেষে কেমন হলো দলগুলো।

রংপুর রাইডার্স

সরাসরি চুক্তি: নুরুল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, খাজা নাফি, সুফিয়ান মুকিম

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার: লিটন দাস (৭০ লাখ), তাওহিদ হৃদয় (৯২ লাখ), নাহিদ রানা (৫৬ লাখ), রাকিবুল হাসান (৪২ লাখ), আলিস আল ইসলাম (২৮ লাখ), মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (১৮ লাখ), নাঈম হাসান (১৮ লাখ), মেহেদী হাসান সোহাগ (১১ লাখ), মাহমুদউল্লাহ (৩৫ লাখ), আব্দুল হালিম (১১ লাখ), এমিলিও গে (১০ হাজার ডলার), মোহাম্মদ আখলাক (১০ হাজার ডলার)

ঢাকা ক্যাপিটালস

সরাসরি চুক্তি: তাসকিন আহমেদ, সাইফ হাসান, উসমান খান, অ্যালেক্স হেলস

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার: শামীম হোসেন (৫৬ লাখ), সাইফউদ্দিন (৬৮ লাখ), মোহাম্মদ মিঠুন (৫২ লাখ), তাইজুল ইসলাম (৩০ লাখ), সাব্বির রহমান (২৮ লাখ) , নাসির হোসেন (১৮ লাখ), তোফায়েল আহমেদ (১৮ লাখ), ইরফান শুক্কুর (১৮ লাখ), আবদুল্লাহ আল মামুন (১৪ লাখ), মারুফ মৃধা (১৪ লাখ), জায়েদ উল্লাহ (১১ লাখ), দাসুন শানাকা (৫৫ হাজার ডলার), জুবাইরউল্লাহ আকবর (২০ হাজার)

সিলেট টাইটানস

সরাসরি চুক্তি: নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ আমির

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার: পারভেজ হোসেন (৩৫ লাখ), খালেদ আহমেদ (৪৭ লাখ), আফিফ হোসেন (২২ লাখ), রনি তালুকদার (২২ লাখ), জাকির হাসান (২২ লাখ), রুয়েল মিয়া (২৩ লাখ), আরিফুল ইসলাম (২৬ লাখ), ইবাদত হোসেন (২২ লাখ), শহীদুল ইসলাম (১৪ লাখ), রাহাতুল ফেরদৌস (১৪ লাখ), তৌফিক খান (১৪ লাখ), মুমিনুল হক (২২ লাখ), রবিউল ইসলাম (১১ লাখ), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (৩৫ হাজার ডলার), অ্যারন জোন্স (২০ হাজার ডলার)

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স

সরাসরি চুক্তি: নাজমুল হোসেন, তানজিদ হাসান, সাহিবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ নেওয়াজ

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার: তানজিম হাসান (৬৮ লাখ), ইয়াসির আলী (৪৪ লাখ), আকবর আলী (৩৪ লাখ), রিপন মণ্ডল (২৫ লাখ), জিসান আলম (১৮ লাখ), হাসান মুরাদ (১৮ লাখ), আবদুল গাফফার (৪৪ লাখ), এসএম মেহেরব হাসান (৩৯ লাখ), ওয়াসী সিদ্দিকী (১৯ লাখ), মোহাম্মদ রুবেল (১১ লাখ), মুশফিকুর রহিম (৩৫ লাখ), দুশান হেমান্ত (২৫ হাজার ডলার), জাহানদাদ খান (২০ হাজার ডলার)

চট্টগ্রাম রয়্যালস

সরাসরি চুক্তি: মেহেদী হাসান, তানভীর ইসলাম, আবরার আহমেদ

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার: মোহাম্মদ নাঈম (১ কোটি ১০ লাখ), শরীফুল ইসলাম (৪৪ লাখ), আবু হায়দার (২২ লাখ), মাহমুদুল হাসান (৩৭ লাখ), সুমন খান (৩২ লাখ), জিয়াউর রহমান (৩০ লাখ), আরাফাত সানি (১৮ লাখ), মুকিদুল ইসলাম (৩৩ লাখ), সালমান হোসেন (১৪ লাখ), শুভাগত হোম (১৪ লাখ), জাহিদুজ্জামান (১১ লাখ), নিরোশান ডিকভেলা (৩৫ হাজার ডলার), অ্যাঞ্জেলো পেরেরা (২০ হাজার ডলার)

নোয়াখালী এক্সপ্রেস

সরাসরি চুক্তি: হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস

নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার: জাকের আলী (৩৫ লাখ), মাহিদুল ইসলাম (৩৫ লাখ), হাবিবুর রহমান (৫০ লাখ), নাজমুল ইসলাম (১৮ লাখ), আবু হাশিম (১৮ লাখ), মুশফিক হাসান (১৮ লাখ), শাহাদাত হোসেন (১৮ লাখ), রেজাউর রহমান (১৮ লাখ), মেহেদী হাসান (১৪ লাখ), সৈকত আলী (১৪ লাখ), সাব্বির হোসেন (১৪ লাখ), ইহসানউল্লাহ (২৮ হাজার ডলার), হায়দার আলী (২৫ হাজার ডলার)

কোন দল কত টাকা খরচ করল

বিপিএল নিলামে স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করতে পারত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কিন্তু কেউই তা করেনি। ১২ ক্রিকেটার নিতে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা খরচ করেছে রংপুর রাইডার্স।

নিলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাকা খরচ করেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা খরচ করেছে তাঁরা। এর মধ্যে প্রথম ডাকে মোহাম্মদ নাঈমকে কিনতেই ১ কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সবচেয়ে বেশি ১৩ ক্রিকেটার নেওয়া রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

নিলামে সবচেয়ে কম টাকা খরচ করেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা খরচ করে স্থানীয় ১২ ক্রিকেটারকে কিনেছে তারা। ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা খরচ করেছে সিলেট টাইটানস। ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা খরচ করেছে ঢাকা ক্যাপিটালস।

বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে দলগুলো খরচ করতে পারত ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত। কিন্তু নোয়াখালী এক্সপ্রেস, রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ৫০ হাজার ডলারও খরচ করেনি। সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ডলার খরচ করেছে ঢাকা ক্যাপিটালস, নিলাম থেকে একমাত্র তাঁরাই তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার কিনেছে।