Thank you for trying Sticky AMP!!

দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে

ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনল আইসিসি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের টুর্নামেন্টে ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিল, যদিও সেটি ব্যাহত হয়। এ জন্য নাসিরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে আইসিসি।

Also Read: এখনো শেষ হয়ে যাননি নাসির

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এ অভিযোগ গঠন করেছে তারা। অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে নাসিরই একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এর বাইরে আছেন দলটির মালিক ও ম্যানেজার।

নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে

নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২.৪.৩ ধারায় আছে, নাসির ৭৫০ ইউএস ডলারের উপহারের রসিদ নিয়োগকৃত দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, দুর্নীতির প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের বিস্তারিত তথ্য দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দেননি তিনি। এ ছাড়া ২.৪.৬ ধারাও ভেঙেছেন তিনি। তাতে আছে, সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তে কোনো ধরনের গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানানো বা ব্যর্থ হওয়া।

Also Read: ‘স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা চায়ের দোকানের দর্শকও জানেন’

২০২১ সালে পুনে ডেভিলসের হয়ে টি-টেন লিগে খেলেছিলেন নাসির। দলকে সেবার নেতৃত্বও দেন তিনি। ৬ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৭ রান, নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।

নাসির ছাড়াও আইসিসি অভিযোগ এনেছে কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান, সানি ধিলন ও শাদাব আহমেদের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে কৃষাণ ও পরাগ দলের যৌথ মালিক, আজহার ব্যাটিং কোচ, রিজওয়ান ও সালিয়া খেলোয়াড়। শাদাব ম্যানেজার। তাঁদের মধ্যে নাসির ও শাদাব ছাড়া বাকিদের অন্তর্বর্তীকালীন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে সবাইকেই আজ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে এক সময় খেলেছেন নাসির

বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাসির সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। সর্বশেষ গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস মাস্টার্স টি-টেন লিগে খেলেছেন নাসির। যেটি টি-টেন গ্লোবাল লিগেরই অংশ।