
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পাকিস্তানি সমর্থকের একটি ভাইরাল ভিডিও আছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের পর যারপরনাই হতাশ ওই দর্শক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন, ‘এক দম সে ওয়াক্ত বদল দিয়া, যাজবাত বদল দিয়ে, জিন্দেগি বদল দি’। যার বাংলা দাঁড়ায় ‘একেবারে সময় বদলে দিল, অনুভূতি বদলে দিল, জীবন বদলে দিল।’
বৈভব সূর্যবংশীকে ঘিরে এই কথাটা আজ মনে পড়তে পারে অনেকেরই। মাত্র তিন দিন আগে আইপিএলে রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ক্রিকেটবিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ১৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। তাঁর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দর্শক-বিশ্লেষক সবাই।
সেই সূর্যবংশী দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার পরের ম্যাচেই আজ আউট হয়েছেন শূন্য রানে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে দুই বলে ‘জিরো’ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন দীপক চাহারের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে আইপিএল নিলামে ডাক পাওয়া আর অভিষেকে প্রথম বলেই ছয় মেরে আলোচনায় উঠে আসা সূর্যবংশী সোমবার জয়পুরে গুজরাটের বিপক্ষে খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। ৩৫ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন।
সূর্যবংশীর ওই ইনিংসে এমন হইচই ওঠে যে, সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেইন বলে দেন, সম্ভবত শচীন টেন্ডুলকারের চেয়েও আলোড়ন তোলা আবির্ভাব ঘটেছে এই কিশোরের।
তবে উল্টো পিঠ দেখতে এক সপ্তাহ সময়ও লাগল না। আজ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে সূর্যবংশী ব্যাট করতে নামেন মুম্বাইয়ের ২১৭ রান তাড়ায়।
চাহারের তৃতীয় বলে স্ট্রাইক নিয়ে ইয়র্কারে রান বের করতে পারেননি। পরের বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, গতিও ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের মতো। মিড অনের ওপর দিয়ে সূর্যবংশী তুলে খেলতে গেলে ব্যাটে-বলে টাইমিং ভালো হয়নি। ক্যাচ যায় উইল জ্যাকসের হাতে।
সূর্যবংশীর এমন বাজে দিনে তাঁর দলও জেতেনি। ১৬.১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে ১০০ রানে। এই হারে লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে রাজস্থানের।
১১ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থানের অবস্থান ৮ নম্বরে। সমান ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।