বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

৮১৪তম ম্যাচে প্রথম টাই বাংলাদেশের, সবচেয়ে বেশি টাই কোন দলের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর ৩৯ বছর পর প্রথম ‘টাই’–এর দেখা পেল বাংলাদেশ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৮১৪তম ম্যাচে এসে প্রথম ‘টাই’ লেখা হলো বাংলাদেশের ফলের ঘরে।

আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবার শেষে টাইয়ের দেখা পেল। ২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়া আয়ারল্যান্ডের ম্যাচও টাই হয়েছে পাঁচবার। আইরিশদের সঙ্গেই টেস্ট মর্যাদা পাওয়া আফগানিস্তানও তিনবার ম্যাচ টাই করেছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ম্যাচ টাই হয়েছে ৯৩টি; ওয়ানডে ৪৭টি, টি-টোয়েন্টি ৪৪টি আর টেস্ট টাই হয়েছে ২টি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ টাই হয়েছে ভারতের ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের ১৮টি ম্যাচ টাই হয়েছে।

তিন সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ভারতের ম্যাচ টাই হয়েছে

১০টি ওয়ানডে, ৭টি টি-টোয়েন্টি ও ১টি টেস্ট টাই হয়েছে ভারতের। টেস্টে টাই হওয়া বিরল ঘটনা। এখন পর্যন্ত টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দুটি ম্যাচ টাই হয়েছে। যার সর্বশেষটি ভারতের, ১৯৮৬ সালে, চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। প্রথম টাই টেস্ট দেখা গেছে ১৯৬০ সালে। সেই টেস্টটি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে।

ভারতের পর সবচেয়ে বেশি টাই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ। কিউইরা তিন সংস্করণে টাই করেছে ১৭টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টিতে ১০ ম্যাচ টাই করা নিউজিল্যান্ড ওয়ানডেতে টাই করেছে ৭ ম্যাচে। তালিকার ৩ নম্বরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মিরপুরের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি তাদের ১৬তম টাই। ক্যারিবীয়রা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ টাই করেছে ওয়ানডেতে, ১২ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টাই করেছে ৩ ম্যাচ, টেস্টে ১টিতে।

অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের ম্যাচ টাই হয়েছে যথাক্রমে ১৪টি ও ১৩টি ম্যাচ। টাই হওয়া দুই টেস্টেই থাকা অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডেতে নয়বার ম্যাচ টাই করেছে, টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার টাই হয়েছে তিনটি ম্যাচ। পাকিস্তান ওয়ানডেতে ৯টি ম্যাচ টাই করার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে ৪টি ম্যাচ টাই করেছে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ৬টি করে টাই করেছে শ্রীলঙ্কা।

ইংল্যান্ড সব মিলিয়ে টাই করেছে ১১টি ম্যাচে। ওয়ানডেতে ৯টি টাই করা ইংলিশরা টি-টোয়েন্টিতে ২ ম্যাচ টাই করেছে। জিম্বাবুয়ের টাই ম্যাচের সংখ্যা ১০, এর মধ্যে ওয়ানডে আছে ৮টি, টি-টোয়েন্টি ২টি।

দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতেই টাই করেছে বেশি, ৬টি। দলটির ওয়ানডে টাই হয়েছে মাত্র একটি। আইরিশরা দুটি টি-টোয়েন্টির সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে টাই করেছে। আর আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টিতে দুটির সঙ্গে একটি ওয়ানডে টাই করেছে।