খুব একটা ভালো সময় কাটছে না আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খানের। সর্বশেষ আইপিএলে রশিদ ছক্কা হজম করেন ৩৩টি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক মৌসুমে এত ছক্কা আর কেউ হজম করেননি। এবার ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ‘দ্য হানড্রেড’–এর ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন আফগান কিংবদন্তি।
কাল বার্মিংহামে বার্মিংহাম ফোনিংক্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে (২০ বলে) ৫৯ রান দিয়েছেন ওভাল ইনভিন্সিবলসের এই বোলার, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। রশিদের আগে এত দিন রেকর্ডটি দখলে ছিল ৪ ওভারে ৫৩ রান দেওয়া নামিবিয়ার ডেভিড ভিসার।
রশিদের এমন বেধড়ক পিটুনি খাওয়ার দিনে হেরেছে তাঁর দল ওভাল। ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বার্মিংহামের শেষ ২৫ বলে রান লাগত ৬১। তখন তাঁর করা ওভারে ৩টি ছক্কা ও ২টি চারে ২৬ রান তোলেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
এরপর সমীকরণটা সহজ হয়ে যায় বার্মিংহামের জন্য। শেষ পর্যন্ত দলটি জেতে ৯৮ বল খেলে, মানে ২ বল বাকি থাকতে। ২০ বল করে রশিদ বাউন্ডারিই হজম করেন ১০টিতে। ৪টি চারের সঙ্গে ছক্কা হজম করেন ৬টি।
২৭ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে কাল ম্যাচসেরা হন লিভিংস্টোন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রশিদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান লিভিংস্টোনেরই। এখন পর্যন্ত ১০২ বল খেলে রশিদের বিপক্ষে ২০০ রান করেছেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। রশিদের বিপক্ষে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৯৬, এটিও সর্বোচ্চ।
কীভাবে রশিদকে বেধড়ক পিটুনি দিয়েছেন লিভিংস্টোন, সেটি ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘আমি আগেও ওর বিরুদ্ধে খেলেছি, তাই আত্মবিশ্বাস ছিল। র্যাশের (রশিদ) বিরুদ্ধে স্লগে আমার ভালো রেকর্ড আছে। কিছু বল আমি সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার কাছে স্লগ করে খেলাটাই নিরাপদ মনে হয়েছে।’
সর্বশেষ দুই ম্যাচে অবশ্য রশিদ ভালো করেছিলেন। নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। তবে এরপরই ফিরে আসল খারাপ সময়। গত আইপিএলে ৩৩টি ছক্কা খাওয়া রশিদ উইকেটও তেমন একটা পাননি। ১৫ ম্যাচে রশিদের উইকেট মাত্র ৯টি। গড়ে ৫৭ রান খরচায় নিয়েছেন একটি করে উইকেট। এরপর হানড্রেডেও তাঁর বাজে দিনেই কাল ম্যাচ হেরেছে ওভাল। ধার কি রশিদের কিছুটা কমেই গেল?